• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • নবম-দশম শ্রেণি
  • কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ ও সাইবার নিরাপত্তা
কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ ও সাইবার নিরাপত্তা

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ ও সাইবার নিরাপত্তা

ফেইক নিউজ

সংবাদ হিসেবে উপস্থাপিত কোনো মিথ্যা বা বিভ্রান্তিক তথ্য যা মানুষকে প্রতারিত করা বা মানুষের মতামতকে প্রভাবিত করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয় তাই-ই ফেইক নিউজ। এটি সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট গল্প বা বিকৃত তথ্যের রূপ নিতে পারে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ওয়েবসাইট বা অন্যান্য চ্যানেলের মাধ্যমে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করা বা একটি নির্দিষ্ট অ্যাজেন্ডা প্রচার করার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অত্যধিক ব্যবহারের এই যুগে, ফেইক নিউজ বিস্তার অত্যন্ত দ্রুততার সাথে ঘটছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘটা ফেইক নিউজের ফলে পৃথিবীব্যাপী অনেক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংঘাতের জন্ম দিয়েছে। 'চিলে কান নিয়ে গেছে' এমন সংবাদে চিলের পিছে না দৌঁড়ে সবার আগে কানে হাত দিয়ে দেখা উচিত। ঠিক একইভাবে অনলাইনে কোনো পোস্ট বা খবর দেখলে তা যাচাই করে বিশ্বাস করা উচিত। সাধার-ণত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নকল অর্থাৎ ছদ্ম নাম ধারণ করে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা খবর বা গুজব রটিয়ে দেওয়া হয়। বাংলাদেশে তথ্য ও প্রযুক্তি আইন ২০০৬ মোতাবেক সাইবার বুলিং এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ফেইক নিউজ ছড়ানোর জন্য অপরাধীর সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে অথবা সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা সাইবার আক্রমণের শিকার হলে নিচের কাজগুলো করা যেতে পারে। যথা-

১। যত দ্রুত সম্ভব ন্যাশনাল হেল্পলাইন ১০৯, ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ অথবা আইসিটি হেল্পলাইন-এ যোগাযোগ করতে হবে।

২। প্রযুক্তিতে দক্ষ এমন কারোর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।

৩। প্রমাণক সহ www.rab.gov.bd ওয়েবসাইটে অভিযোগ পাঠাতে হবে।

৪। পিতা-মাতা বা পরিবারের সদস্যদের সাথে শেয়ার করতে হবে।

৫। ডিজিটাল ডিভাইস বন্ধ করে রাখতে হবে।

৬। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC)-বরাবর লিখিত অভিযোগ জানাতে হবে।

৭। বিষয়টি অপরিচিত কারো সাথে বা উন্মুক্তভাবে সবার সাথে শেয়ার করা যাবে না।

৮। নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি বা জিডি করতে হবে।

৯। ভোক্তা অধিকারের চর্চা করতে হবে।

১০। অপরাধের প্রমাণগুলো সংগ্রহ করতে হবে।

আমরা এই ধরনের ঘটনার শিকার হলে তা নিজের মধ্যে না রেখে মা-বাবা এমনকি শিক্ষককে জানিয়ে খুব দ্রুতই নিকটস্থ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করব। আমাদের দেশে এখন অনলাইনেই জিডি বা সাধারণ ডায়েরি করা যায়। এ জন্য আমাদের যে কোনো ইন্টারনেট ব্রাউজারের অ্যাড্রেস বারে https://gd.police gov.bd লিখে সার্চ করতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট যেমন: র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব), কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিইউ), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং মেট্রোপলিটন পুলিশসহ প্রায় সকল ইউনিটের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার (অ্যাপ) যেমন- Report to RAB, Hello CT App ইত্যাদি প্লেস্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিজের মোবাইলে রেখে বিপদের সময় অপরাধ দমনে কাজে লাগাতে পারি। সাইবার জগতে কেউ দুর্ঘটনার শিকার হলে নিকটস্থ থানায় জিডি করে জিডির কপি এবং নিচের তথ্যগুলো সহ Hello CT (Counter Terrorism) বা Report to RAB অ্যাপ্লিকেশনে অপরাধের তথ্য পাঠাতে হবে অথবা জিডির কপিসহ নিকটস্থ থানার সাইবার ক্রাইম হেল্পডেস্কে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ