• হোম
  • স্কুল ১-১২
  • সাধারণ
  • নবম-দশম শ্রেণি

বাংলাদেশের স্বাধীনতা

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

বাংলাদেশের স্বাধীনতা

মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি, সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি রমনার রেসকোর্স ময়দানে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্যগণকে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শপথ পাঠ করান। এতে ৬ দফা ও ১১ দফার প্রতি অবিচল থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়। পাকিস্তানি সামরিক শাসকচক্র আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা চক্রান্ত শুরু করে।

১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন। পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকায় অধিবেশনে যোগদান করতে অস্বীকার করেন। অন্যান্য সদস্যকেও তিনি হুমকি দেন। এসবই ছিল ভুট্টো-ইয়াহিরার ষড়যন্ত্রের ফল। ইয়াহিয়া খান ১লা মার্চ ভুট্টোর ঘোষণাকে অজুহাত দেখিয়ে ৩রা মার্চের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন।

সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে কোনো প্রকার আলোচনা না করে অধিবেশন স্থগিত করার পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। অধিবেশন স্থগিত করার প্রতিবাদে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে ২রা মার্চ ঢাকায় এবং ৩রা মার্চ সারা দেশে হরতাল পালিত হয়। ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বে ছাত্রসমাজ স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। ৩রা মার্চ পল্টন ময়দানের সমাবেশে ছাত্রনেতা শাজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন। সকল সরকারি কার্যক্রম অচল হয়ে পড়ে।

পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গুলিতে বহুলোক হতাহত হয়। এমন পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিশাল এক জনসভায় ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এ ভাষণে তিনি স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে সকল বাঙালিকে অংশগ্রহণে আহ্বান জানান। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

পূর্ববর্তী