• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • নবম-দশম শ্রেণি
  • অর্থের সময়মূল্য
অর্থের সময়মূল্য

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

অর্থের সময়মূল্য

অর্থের সময়মূল্যের সূত্র

পূর্বের উদাহরণে আমরা জেনেছি যে সুদের হার শতকরা ১০ ভাগ হলে এখনকার ১০০ টাকা, আগামী বছরের ১১০ টাকার সমান মূল্য বহন করে। এই ১০০ টাকাকে বলা হয় বর্তমান মূল্য এবং ১১০ টাকাকে বলা হয় ভবিষ্যৎ মূল্য।

ভবিষ্যৎ মূল্য ও বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি

বর্তমান মূল্য জানা থাকলে ১নং সূত্র ব্যবহার করে ভবিষ্যৎ মূল্য বের করা যায়।
সূত্র-১: ভবিষ্যৎ মূল্য (FV) বর্তমান মূল্য (১+ সুদের হার) বাৎসরিক মেরাস বা, FV = PV (১+i)"
এখানে FV হচ্ছে Future Value এবং PV হচ্ছে Present value বর্তমানের ১০০ টাকার ১ বছর পরের ভবিষ্যৎ মূল্য = ১০০ (১+০.১০)১ = ১০০ x ১.১০ = ১১০ টাকা = ১০০ (১+০.১০) = ১০০ × ১.২১ = ১২১ টাকা

বর্তমানের ১০০ টাকার ২ বছর পরের ভবিষ্যৎ মূল্য

ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণের জন্য উপরোক্ত উদাহরণে যে প্রক্রিয়াটি ব্যবহৃত হয়েছে, তাকে বলা হয় চক্রবৃদ্ধিকরণ পদ্ধতি। এখানে লক্ষণীয় যে, এক বছর পরে ১১০ টাকা ভবিষ্যৎ মূল্যের মধ্যে আসল ১০০ টাকা ও সুদ ১০% হারে ১০ টাকা। একইভাবে দ্বিতীয় বছর আরও ১০ টাকা সুদ হলে দ্বিতীয় বছরে ভবিষ্যৎ মূল্য হওয়া উচিত ১২০ টাকা কিন্তু দ্বিতীয় বছরের ভবিষ্যৎ মূল্য হয়েছে ১২১ টাকা। এর কারণ দ্বিতীয় বছরের শুরুতে আসল ধরা হয় ১১০ টাকা এবং তাতে করে দ্বিতীয় বছরে ১০% হারে সুদ হয় ১১ টাকা। এভাবে প্রথম বছরের সুদাসলকে দ্বিতীয় বছরের আসল ধরে তার উপর দ্বিতীয় বছরের সুদ ধার্য করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় চক্রবৃদ্ধিকরণ পদ্ধতি। চক্রবৃদ্ধিকরণ পদ্ধতিতে প্রতিবছর সুদাসলের উপর সুদ ধার্য করে ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণ করা হয়। অর্থাৎ সুদ আসলের উপর যে সুদ প্রদান করা হয় তাকে চক্রবৃদ্ধি সুদ বলা হয়। কিন্তু সরল সুদের ক্ষেত্রে কেবল আসলের উপর সুদ গণনা করা হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ