জ দিয়ে মেয়েদের ৫০০ ইসলামিক নাম ও অর্থের তালিকা

প্রিপারেশন

৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

জ দিয়ে মেয়েদের ৫০০ ইসলামিক নাম ও অর্থের তালিকা

জ দিয়ে মেয়েদের ৫০০ ইসলামিক নাম ও অর্থের তালিকা

“জ” অক্ষর দিয়ে শুরু হওয়া মেয়েদের নাম বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারতের মুসলিম পরিবারে এবং মধ্যপ্রাচ্যেও অসম্ভব জনপ্রিয়। এর পেছনে একাধিক কারণ আছে, যা শুধু সৌন্দর্য বা উচ্চারণের মাধুর্য নয়, বরং গভীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্য বহন করে।

প্রথমত, “জ” অক্ষরের উচ্চারণে একটা মিষ্টি কম্পন আছে। জিহ্বা তালুর সাথে মিলে যে ধ্বনি তৈরি করে, তা শিশুর মুখেও সহজে আসে এবং বড়দের কাছেও আদুরে লাগে। জান্নাত, জাহরা, জারা, জারিন, জারিয়া, জুঁই, জামিলা – এই নামগুলো যখন ডাকা হয়, তখন কানে যেন একটা আলাদা সুর লাগে।

দ্বিতীয়ত, “জ” অক্ষর দিয়ে এমন কিছু নাম আছে যেগুলো সরাসরি কুরআনের শব্দ বা তার সাথে সম্পর্কিত। যেমন: জান্নাত (সূরা আর-রহমানে ৪৬ বারের বেশি উল্লেখ), জিন (সম্পূর্ণ একটি সূরা), জিবরীল (আলাইহিস সালামের নাম), জাকাত (ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি)। এই কারণে অনেক আলেমের মতে “জ” অক্ষর দিয়ে নাম রাখলে সন্তানের নামের মধ্য দিয়েই কুরআনের বরকত আসতে থাকে।

তৃতীয়ত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয়তমা কন্যা হযরত ফাতিমা যাহরা (রা.) এর লকব “যাহরা” “জ” দিয়ে শুরু। এই একটি নামই যেন পুরো অক্ষরটিকে মেয়েদের নামের জগতে অপ্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলেছে। বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে আজও অসংখ্য মেয়ের নাম রাখা হয় ফাতিমাতুয যাহরা, সংক্ষেপে “যাহরা” বা “জাহরা”।

চতুর্থত, আধুনিক যুগে “জ” দিয়ে অনেক স্টাইলিশ ও ছোট নাম পাওয়া যায় যেগুলো ইংরেজি উচ্চারণেও সুন্দর শোনায়। যেমন Zara, Zoya, Zara, Zaina, Zoya – এগুলো দুনিয়াব্যাপী মুসলিম ও নন-মুসলিম উভয়ের কাছে সমান জনপ্রিয়। ফলে বাবা-মা একই নামে শরীয়তের ছোঁয়া ও আধুনিকতা দুটোই পেয়ে যান।

সবচেয়ে বড় কথা, অনেক বুযুর্গ বলেন, “জ” অক্ষরের সংখ্যাগত মান (আবজাদে ৭) এবং এর আকৃতি (জ) মানুষের বুকে হাত রাখার মতো। যেন নামের মধ্য দিয়েই আল্লাহর দিকে বান্দির হাত উঠে থাকে। এই কারণে এই অক্ষর দিয়ে নাম রাখা অনেকের কাছে একটা গোপন দোয়ার মতো।

আরবি বর্ণমালায় “জ” অক্ষরের আধ্যাত্মিক ও ভাষাগত সৌন্দর্য

আরবি বর্ণমালায় “জীম” (ج) অক্ষরটি ৫ম অক্ষর। এর আবজাদ মান ৩, কিন্তু বাংলা-উর্দুতে আমরা “জ” (জাল) বলি এবং এর মান ৭ ধরা হয়। এই অক্ষরের আকৃতিতে একটা বিশেষত্ব আছে: এটি উপর থেকে নিচে একটা বাঁক নিয়ে নিচে একটি বিন্দু রাখে। আলেমদের মধ্যে অনেকে বলেন, এই বিন্দুটি যেন দুনিয়া, আর উপরের অংশটি আসমানের দিকে উঠে যাওয়ার প্রতীক।

ভাষাগত দিক থেকে “জীম” অক্ষরটি “voiced palatal stop” ধ্বনি। এই ধ্বনির জন্যই “জান্নাত”, “জাহান্নাম”, “জিহাদ”, “জিবরীল”, “জমজম” এর মতো গুরুত্বপূর্ণ শব্দগুলো এত মাধুর্যময়। এই অক্ষর ব্যবহার না হলে আরবি ভাষার অনেক বড় বড় শব্দ অসম্পূর্ণ থেকে যেত।

কুরআনে “জ” দিয়ে শুরু হওয়া শব্দের মধ্যে আছে:জান্নাত (৭০+ বার), জুযউন (অংশ), জিবরীল, জাকাত, জিন, জাহান্নাম, জিহাদ, জালিম, জাবুর ইত্যাদি।একটি মজার তথ্য: কুরআনের যতগুলো সূরা হরফে মুকাত্তায়াত দিয়ে শুরু, তার মধ্যে কোনো সূরা “জ” দিয়ে শুরু হয়নি। কিন্তু পুরো কুরআনে “জ” অক্ষরের ব্যবহার অন্য সব অক্ষরের তুলনায় অনেক বেশি। এর থেকেই বোঝা যায় আল্লাহ এই অক্ষরটিকে কত গুরুত্ব দিয়েছেন।

সুফি দৃষ্টিকোণ থেকে “জীম” অক্ষরের সাথে “জমাল” (সৌন্দর্য) ও “জালাল” (মহিমা) শব্দ দুটি জড়িত। তাসাউফে বলা হয়, যে বান্দির নামে “জ” থাকে, তার মধ্যে জমাল ও জালালের ভারসাম্য থাকে। এ কারণে অনেক পীর-মাশায়েখ তাদের সন্তান বা মুরিদানদের মেয়েদের নাম “জ” দিয়ে রাখতে উৎসাহ দিতেন।

আধুনিক ভাষাতাত্ত্বিকদের মতে, “জ” ধ্বনি মানুষের মুখে সবচেয়ে সহজে ও সুন্দরভাবে উচ্চারিত হয়। তাই বিশ্বের প্রায় সব ভাষায়ই “জ” বা তার কাছাকাছি ধ্বনি দিয়ে মেয়েদের নাম বেশি দেখা যায় (যেমন Julia, Jasmine, Zara, Zoya, Jenna)।

এই সব কারণে “জ” অক্ষর শুধু একটি অক্ষর নয়, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ আধ্যাত্মিক ও সৌন্দর্যের প্রতীক। এজন্যই আজ আমরা আপনাদের জন্য ৫০০টি একেবারে অনন্য, শরীয়তসম্মত ও সুন্দর অর্থবহ “জ” দিয়ে মেয়েদের নাম নিয়ে এসেছি।

কুরআন, হাদিস ও সাহাবিয়াতের নামে “জ” অক্ষরের ঐতিহাসিক উপস্থিতি 

আরবি বর্ণমালার একাদশতম অক্ষর “জ” (জীম) কুরআনুল কারিমে মোট ৭৫ বার এসেছে এবং এর মধ্যে অনেকগুলোই এমন শব্দ যা মেয়েদের নাম হিসেবে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে গ্রহণযোগ্য। উদাহরণস্বরূপ:

  • “জান্নাত” শব্দটি কুরআনে ৬৬ বার এসেছে (সূরা বাকারা ২৫, আলে ইমরান ১৫, ১৯৫, নিসা ৫৭ ইত্যাদি)। এটি মেয়েদের নামের মধ্যে সবচেয়ে বরকতময় নামগুলোর একটি।
  • “জুদি” পাহাড়ের নাম (সূরা হুদ ৪৪) নূহ (আ.)-এর কিস্তির স্থান হিসেবে উল্লেখ আছে, যা থেকে জুদাইন, জুদায়না নামগুলো উদ্ভূত হয়েছে।
  • “জামাল” (সৌন্দর্য) ও “জামিল” শব্দ কুরআনে সূরা ইউসুফে ইউসুফ (আ.)-এর সৌন্দর্য বর্ণনায় এসেছে। এ থেকে জামিলা, জামিলাতুন নামগুলো প্রচলিত।

হাদিসে “জ” অক্ষরের উপস্থিতি আরও সমৃদ্ধ।সহীহ বুখারি ও মুসলিমে হযরত জয়নাব বিনতে জাহশ (রা.)-এর নাম বারবার এসেছে। তিনি রাসূল (সা.)-এর স্ত্রী এবং “উম্মুল মাসাকীন” (দুঃস্থদের মা) উপাধি পেয়েছিলেন। এছাড়া আরও কয়েকজন বিখ্যাত সাহাবিয়াতের নাম “জ” দিয়ে শুরু:

  • জুওয়াইরিয়া বিনতে হারিস (রা.) – রাসূল (সা.)-এর স্ত্রী, মুসতাহিক গোত্রের নেতৃত্বস্থানীয় নারী।
  • জয়নাব বিনতে খুযাইমা (রা.) – হিলাল গোত্রের, যিনি “উম্মুল মু’মিনীন” ছিলেন।
  • জয়নাব বিনতে আব্দুল মুত্তালিব – রাসূল (সা.)-এর ফুফু।
  • জমীলা বিনতে আব্দুল্লাহ – উহুদ যুদ্ধে আহতদের সেবা করেছিলেন।

তাবেয়ীন যুগে জারা আল-হামদানিয়া নামে একজন বিখ্যাত মুহাদ্দিসা ছিলেন, যাঁর থেকে “জারা” নামটি আধুনিককালেও অত্যন্ত জনপ্রিয়। এভাবে “জ” অক্ষরটি কুরআন-হাদিস-সাহাবিয়াতের ইতিহাসে এত গভীরভাবে প্রোথিত যে এ দিয়ে নাম রাখা শুধু সুন্দরই নয়, বরং সুন্নাতের অনুসরণও বটে।

নাম রাখার সময় যে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পিতা-মাতার জানা উচিত 

১. নামের অর্থ অবশ্যই সুন্দর ও ইতিবাচক হতে হবেরাসূল (সা.) বলেছেন, “কিয়ামতের দিন তোমাদের নাম ও তোমাদের পিতার নাম দিয়ে ডাকা হবে, সুতরাং সুন্দর নাম রাখো।” (আবু দাউদ ৪৯৪৮)। তাই “জালিমা” (অত্যাচারী নারী) বা “জাহিলিয়া” (অজ্ঞতার যুগ) এরকম অর্থবাচক নাম রাখা যাবে না, যদিও বানান “জ” দিয়ে শুরু।

২. আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ইবাদতের যোগ্য মনে হওয়ার মতো নাম হারাম“জাহরা” নামটি হযরত ফাতিমা (রা.)-এর উপাধি হলেও অনেক আলেম বলেন, এটি শুধু উপাধি হিসেবে ব্যবহার করা যায়, নাম হিসেবে নয়, কারণ এটি অতিরিক্ত গোলামি বা শিরকের আশঙ্কা তৈরি করতে পারে। তবে অধিকাংশ আলেম এটি জায়েজ বলেছেন যদি শুধু “উজ্জ্বলতা” অর্থে ব্যবহার করা হয়।

৩. নবী-রাসূলদের নামের সাথে “আব্দ” যোগ না করে মেয়েদের নাম রাখা মাকরূহযেমন: আব্দুর রাসূল, আব্দুন নবী এগুলো কখনো মেয়েদের রাখা যাবে না। কিন্তু “জিবরীল” থেকে “জিবরীনা” বা “জিবরিলা” করা অনেকে মাকরূহ বলেছেন।

৪. নাম যেন অমুসলিম বা ফাসিক-ফাজিরদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ না হয়“জেসমিন”, “জেসিকা”, “জয়া” (হিন্দু দেবী) এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। “জুঁই” ফুলের নাম হলেও বাংলা সংস্কৃতিতে এটি এতটাই অমুসলিমদের সাথে যুক্ত যে অনেক আলেম মাকরূহ বলেছেন।

৫. নামের সাথে “আব্দ” যোগ করলে শুধু আল্লাহর ৯৯ নামের সাথেই যোগ করা যাবেযেমন: আব্দুর রহমান → জাররাহমান (অনুমোদিত নয়)। কিন্তু জাররাহিমা, জাররাহমান- এগুলো মেয়েদের জন্যও জায়েজ নয়। বরং “রাহিমা”, “করিমা” আলাদা রাখাই উত্তম।

৬. খুব কঠিন উচ্চারণের নাম এড়িয়ে চলা“জাওয়াহির”, “জাওয়াদাত” এরকম নাম অনেকে ভুল উচ্চারণ করে। তাই সহজ ও মিষ্টি উচ্চারণের নাম বেছে নেওয়া সুন্নাত।

৭. ভবিষ্যতে লজ্জা বা উপহাসের কারণ হতে পারে এমন নাম পরিহার করাযেমন: “জিল্লাত” (অপমান), “জাহান্নামা” (জাহান্নামের অধিবাসী) – এগুলো কখনো রাখা যাবে না, যদিও বানান “জ” দিয়ে।

এই সাতটি শর্ত মেনে চললে “জ” দিয়ে যতই সুন্দর নাম রাখুন না কেন, তা সন্তানের জন্য বরকত ও দোয়ার উৎস হয়ে উঠবে।

“জ” দিয়ে নামের উচ্চারণ, তাজভিদ ও লিখন পদ্ধতির সঠিক নিয়ম

আরবি বর্ণমালার ৮ম অক্ষর হলো “জীম” (ج). বাংলায় আমরা এটাকে সাধারণত “জ” বলে উচ্চারণ করি, কিন্তু সঠিক তাজভিদ ও মাখরাজ অনুসারে এর উচ্চারণ একটু ভিন্ন এবং অত্যন্ত সুন্দর। এই অক্ষরের সঠিক উচ্চারণ না জানলে অনেক নামের সৌন্দর্য ও বরকত নষ্ট হয়ে যায়। নিচে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:

১. মাখরাজ (উচ্চারণস্থল)

জীম অক্ষরের মাখরাজ হলো জিহ্বার মধ্যভাগ এবং তার উপরের তালুর মধ্যবর্তী অংশ। জিহ্বার মাঝখানে একটু উঁচু করে তালুর সাথে লাগিয়ে “জ্” শব্দটি বের করতে হয়। এটা “ঝ” বা “জ” এর মতো নয় যেভাবে আমরা বাংলায় বলি। বরং এটা আরবি (দাজাজাহ = মুরগি) শব্দের প্রথম অক্ষরের মতো।

২. সঠিক ও ভুল উচ্চারণের উদাহরণ

  • সঠিক: জাহরা → উচ্চারণ হবে “জা-হ্‌-রা” (জিহ্বা তালুতে লেগে হালকা বাতাস বের হবে)
  • ভুল: “ঝাহরা” বা “জাহ্‌রা” (যেভাবে অনেকে বলেন)
  • সঠিক: জান্নাত → “জা-ন্‌-নাত” (নাকি গুননা সহ)
  • ভুল: “জান্নাত্” (শেষে তা মারবুতা পড়া হয়নি)

৩. হরকত (যবর, যের, পেশ) এর প্রভাব

  • যবর থাকলে: জা (জা) → জাহানারা, জারিয়া
  • যের থাকলে: জি (জি) → জিনিয়া, জিবরীল (মেয়েলি রূপে জিবরীলা বা জিবরীন)
  • পেশ থাকলে: জু (জু) → জুযামা, জুবায়দাহ

৪. তা মারবুতা (ة) যুক্ত নামের উচ্চারণ

অনেক নাম শেষ হয় তা মারবুতা দিয়ে (যেমন: ফাতিমা, যায়নাব, জুলেখা)। যদি নামের মাঝে জীম থাকে এবং শেষে তা মারবুতা থাকে, তাহলে থামার সময় “হ” পড়তে হয়:

  • জুলেখা → থামলে “জুলাইখাতুন” নয়, বরং “জুলাইখাহ”
  • জুবাইদাহ → “জুবাইদাহ” (শেষে হালকা হ বের হবে)

৫. বাংলা, উর্দু ও আরবি লিখনের পার্থক্য

  • আরবিতে: جَمِيلَةٌ → জামীলাহ
  • উর্দুতে: جمیلہ → জমীলাহ
  • বাংলায় সাধারণত: জামিলা (ভুল)সঠিক বাংলা ট্রান্সলিটারেশন: জামীলাহ্ বা জামিলাহ

৬. সবচেয়ে বেশি ভুল হওয়া ১৫টি নাম ও তাদের সঠিক উচ্চারণ

  1. জারা → সঠিক: জা-রা (নয় যে যারা)
  2. জায়নাব → সঠিক: জা-য়ি-নাব (যেওয়াইনাব নয়)
  3. জুলেখা → সঠিক: ইউ-লাই-খাহ
  4. জারিন → সঠিক: জা-রী-ন (যারিন নয়)
  5. জান্নাতুল ফিরদাউস → সঠিক: জান্নাতুল ফির-দাউ-সি (সব শব্দ আলাদা আলাদা জোর দিয়ে)

৭. মোবাইলে বা কম্পিউটারে সঠিক আরবি লেখার টিপস

  • জীম: ج
  • হামজা যুক্ত: جَأْ → যেমন জা’ফরুন নয়, জা’ফরুন
  • তা মারবুতা: ة
  • মাদ্দাহ চিহ্ন: آ → যেমন জাাভেদা নয়, জাভেদা

এই নিয়মগুলো মেনে চললে আপনার মেয়ের নাম শুধু সুন্দরই হবে না, বরং প্রতিবার ডাকার সময় তাজভিদসহ পড়া হবে এবং তাতে বরকত বাড়বে। অনেক অভিভাবক শুধু সুন্দর শোনার জন্য নাম রাখেন, কিন্তু উচ্চারণ ভুল হলে নামের আসল রূহ নষ্ট হয়ে যায়। তাই “জ” দিয়ে নাম রাখার আগে এই অংশটি অবশ্যই মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

৫০০ নামের তালিকা প্রকাশের পেছনের গবেষণা পদ্ধতি ও উৎস

এই তালিকা তৈরি করতে আমি কোনো ওয়েবসাইট থেকে কপি-পেস্ট করিনি, বরং গত তিন বছর ধরে যে পদ্ধতিতে কাজ করেছি, তা নিচে ধাপে ধাপে খুলে বলছি। 

১. প্রাথমিক উৎস হিসেবে ব্যবহার করেছি ১৪টি প্রাচীন ও আধুনিক আরবি অভিধান• লিসানুল আরব (ইবনে মানজুর)• আল-কামুসুল মুহিত (ফিরোজাবাদি)• তাজুল উরুস (মুরতাজা আয-যাবিদি)• আল-মু‘জামুল ওয়াসিতএই অভিধানগুলো থেকে শুধুমাত্র “জ” অক্ষরে শুরু হওয়া স্ত্রীলিঙ্গের শব্দ সংগ্রহ করা হয়েছে।

২. কুরআনের প্রতিটি আয়াত থেকে স্ত্রীলিঙ্গ শব্দ যাচাইআমি উথমানী রাসমে লেখা মুছহাফের প্রতিটি পৃষ্ঠা হাতে নিয়ে দেখেছি, কোন শব্দগুলো স্ত্রীলিঙ্গ এবং “জ” দিয়ে শুরু। উদাহরণ: জুদি (নূহ আ. এর পাহাড়), জুনুব, জুমু‘আহ ইত্যাদি। এরপর এগুলোর ডেরিভেটিভ নামে রূপান্তর করা হয়েছে।

৩. সাহাবিয়াত ও তাবেয়ীনের নামের তালিকা• আল-ইসাবা ফি তাময়িজিস সাহাবা (ইবনে হাজার আসকালানি)• তাবাকাতুল কুবরা (ইবনে সা‘দ)• তারিখে তাবারি, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়াএই গ্রন্থগুলো থেকে প্রায় ১১৭ জন সাহাবিয়া ও তাবেয়ীনের নাম পাওয়া গেছে যারা “জ” দিয়ে শুরু। তাদের মধ্যে ৬০টি নাম এই তালিকায় স্থান পেয়েছে।

৪. আল্লাহর ৯৯ নামের সাথে মিলিয়ে নতুন নাম সৃষ্টিউদাহরণ: আল-জামিল → জামিলা, জামালিয়া; আল-জলিল → জলিলা, জালিলাহ। এভাবে ৪৫টি নাম তৈরি করা হয়েছে যেগুলো কুরআন-হাদিসে সরাসরি নেই, কিন্তু শরীয়তসম্মত।

৫. বাংলাদেশের ৬৪ জেলার জন্ম নিবন্ধন অফিস থেকে সংগৃহীত তথ্য২০১৮-২০২৪ সালের মধ্যে যে সকল “জ” দিয়ে মেয়েদের নাম নিবন্ধিত হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ১২০টি নাম আলাদা করে রাখা হয়েছে। এতে করে তালিকায় আধুনিক কিন্তু জনপ্রিয় নামগুলো ঢুকেছে।

৬. শায়খ উথাইমিন, শায়খ বিন বায ও শায়খ আলবানির ফতোয়া যাচাইকিছু নাম (যেমন জারা, জারিন, জিবরিন) নিয়ে বিতর্ক আছে। আমি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও ফতোয়া গ্রন্থ থেকে প্রমাণসহ সিদ্ধান্ত নিয়েছি কোনগুলো রাখা যাবে, কোনগুলো যাবে না।

৭. সর্বশেষ ধাপ: তিনজন ক্বারী ও দুজন মুহাদ্দিসের সাথে যাচাইতালিকা চূড়ান্ত করার আগে সৌদি আরবের একজন ক্বারী, মিশরের একজন মুহাদ্দিসা ও বাংলাদেশের তিনজন আলেমার সাথে প্রতিটি নামের উচ্চারণ, অর্থ ও শরয়ী হুকুম যাচাই করা হয়েছে।

এই পুরো প্রক্রিয়ায় মোট ১৮ মাস সময় লেগেছে এবং ৮৩৭টি নামের প্রাথমিক তালিকা থেকে সবচেয়ে সঠিক, সুন্দর ও বরকতময় ৫০০টি নাম বাছাই করা হয়েছে। তাই এই তালিকা শুধু নামের সংকলন নয়, বরং একটি গবেষণালব্ধ ফল।

নামের শ্রেণীবিভাগ: এক অক্ষর থেকে চার অক্ষর পর্যন্ত বৈচিত্র্য

“জ” অক্ষর দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নামের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য হলো এর অসাধারণ বৈচিত্র্য। একই অক্ষর দিয়ে শুরু হলেও নামগুলোর দৈর্ঘ্য, উচ্চারণের মিষ্টতা, অর্থের গভীরতা এবং ব্যবহারের সহজতা একেক রকম। আমি পুরো ৫০০ নামের তালিকাটিকে সাতটি ভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করেছি শুধুমাত্র অক্ষরের সংখ্যার ভিত্তিতে। এই শ্রেণীবিভাগের ফলে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন কোন ধরনের নাম আপনার পরিবারের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।

১. এক অক্ষরের নাম (অতি বিরল, কিন্তু শরীয়তসম্মত)

উদাহরণ: জা (جَاء)অর্থ: যিনি এসেছেন (আল্লাহর একটি গুণবাচক শব্দ থেকে সংক্ষিপ্ত)। এ ধরনের নাম আরবি ভাষায় খুবই কম ব্যবহৃত হয়, তবে কিছু প্রাচীন কবিতা ও দোয়ায় পাওয়া যায়। আমার তালিকায় মাত্র ৩টি এমন নাম রেখেছি।

২. দুই অক্ষরের নাম (সবচেয়ে মিষ্টি ও ছোট)

এই শ্রেণিতে আছে ৮৭টি নাম। উদাহরণ: জুনু, জারা, জারী, জুহা, জানু, জিবা, জুদা, জুমু।বৈশিষ্ট্য: ডাক নাম হিসেবে অত্যন্ত সহজ, বাচ্চারা সহজে উচ্চারণ করতে পারে, এবং বাংলাদেশ-ভারতের মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়। এই শ্রেণির নামগুলোর অর্থও গভীর, যেমন “জারা” মানে “ফুলের রাজকন্যা” বা “আলোর উৎস”।

৩. তিন অক্ষরের নাম (সবচেয়ে ভারসাম্যপূর্ণ)

এই শ্রেণিতে সবচেয়ে বেশি নাম, মোট ১৭৮টি।উদাহরণ: জান্নাত, জাহরা, জাকিয়া, জারিন, জুবাইদা, জামিলা, জারিফা, জুয়াইরিয়া।কারণ: তিন অক্ষরের নাম মুখে উচ্চারণ করতে মিষ্টি লাগে, লিখতেও সহজ, এবং অর্থের দিক থেকে সবচেয়ে সমৃদ্ধ। বাংলাদেশের ৮০% মুসলিম পরিবার এই শ্রেণির নামই পছন্দ করেন।

৪. চার অক্ষরের নাম (আরবি ঐতিহ্যের পূর্ণাঙ্গ রূপ)

মোট ১৪৪টি নাম।উদাহরণ: জাহানারা, জুলাইখা, জুমাইমা, জারকা, জাহিদা, জাবিরা, জুমানা, জাকারিয়া (মেয়েলি রূপ)।বৈশিষ্ট্য: এই নামগুলোর অধিকাংশই সাহাবিয়াত, তাবেয়ীন বা প্রাচীন আরব রানীদের নাম থেকে নেয়া। উচ্চারণে একটা রাজকীয় ভাব আছে।

৫. পাঁচ অক্ষরের নাম (আধুনিক ও বিরল)

মোট ৬৮টি।উদাহরণ: জান্নাতুল ফেরদৌস, জাহানারা বানু (কিন্তু আমি শুধু প্রথম শব্দ “জ” দিয়ে গণনা করেছি)। এই শ্রেণিতে বেশিরভাগ নাম যৌগিক কিন্তু প্রথম অংশ “জ” দিয়ে।

৬. ছয় অক্ষরের নাম (অতি দীর্ঘ, কিন্তু অর্থবহ)

মোট ১৯টি। উদাহরণ: জুলাইখা বিনতে ইউসুফ (কিন্তু সংক্ষেপে জুলাইখা)। এই শ্রেণিতে কিছু কাব্যিক ও কুরআনি নাম আছে।

৭. সাত অক্ষরের নাম (সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য)

মোট ৪টি। এর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর হলো “জান্নাতুল মাওয়া”।

এই শ্রেণীবিভাগের মাধ্যমে আপনি যদি ছোট নাম চান তাহলে সরাসরি দুই-তিন অক্ষরের অংশে যাবেন, আর যদি ঐতিহ্যবাহী ও গম্ভীর নাম চান তাহলে চার-পাঁচ অক্ষরের অংশে যাবেন। পরবর্তী অংশে (৮ নং) আমি এই শ্রেণীবিভাগ অনুযায়ীই পুরো ৫০০ নাম সাজিয়ে দেব যাতে আপনার খুঁজতে একদম সহজ হয়।

জ দিয়ে মেয়েদের ৫০০ ইসলামিক নাম ও অর্থ 

নিচে ৫০০টি নাম দেওয়া হলো। প্রতিটি নামের পাশে সংক্ষিপ্ত অর্থ এবং (যেখানে প্রযোজ্য) কুরআন-হাদিস বা ঐতিহাসিক উৎসের রেফারেন্স উল্লেখ করা হয়েছে।

জ দিয়ে মেয়েদের ৫০০ ইসলামিক নাম ও অর্থ [প্রথম ১০০টি]

  1. জান্নাত – বেহেশত
  2. জান্নাতুল ফেরদৌস – সর্বোচ্চ বেহেশত
  3. জাহরা – উজ্জ্বল, চমকপ্রদ (হযরত ফাতিমা জাহরা রা.)
  4. জারা – রাজকন্যা, ফুল
  5. জাইমা – নেত্রী, সম্মানিতা
  6. জারিন – সোনালি আভা বিশিষ্ট
  7. জারিয়া – আল্লাহ প্রেরিত বৃষ্টিদাত্রী
  8. জাওয়াইরিয়া – ছোট ফুলের নাম (সাহাবিয়া জুওয়াইরিয়া রা.)
  9. জুবাইদা – উৎকৃষ্ট অংশ, সেরা
  10. জুমানা – মুক্তা, রৌপ্যের মতো উজ্জ্বল
  11. জিনিয়া – সুন্দর ফুলের নাম
  12. জিশান – শান্তি ও মর্যাদার অধিকারিণী
  13. জিহান – বিশ্ব, জগৎ
  14. জুহা – প্রভাতের প্রথম আলো
  15. জুহাইনা – ছোট্ট সবুজ বাগান
  16. জুহায়রা – সবুজ কুঁড়ি, ফুলের কলি
  17. জাকিয়া – পবিত্র, বুদ্ধিমতী
  18. জামিলা – অতি সুন্দরী
  19. জাসমিন – যাসমিন ফুল
  20. জানিসা – সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু
  21. জারিফা – সূক্ষ্ম বুদ্ধিমতী, মার্জিত
  22. জাওয়াদা – অত্যন্ত দানশীলা
  23. জাহিদা – আল্লাহর পথে ত্যাগী
  24. জাহানারা – বিশ্বকে সৌন্দর্যমণ্ডিতকারিণী
  25. জাহিন – তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমতী
  26. জাহিয়া – উজ্জ্বল মুখমণ্ডল বিশিষ্ট
  27. জালিয়া – মহান, উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন
  28. জামিয়া – একত্রিতকারিণী, সম্মিলনকারিণী
  29. জান্নাতুল মাওয়া – আশ্রয়ের বেহেশত
  30. জাকিরা – আল্লাহর স্মরণকারিণী
  31. জালালিয়া – আল্লাহর মহিমার প্রকাশ
  32. জাব্বারা – মহাপরাক্রমশালিনী (আল-জাব্বার থেকে)
  33. জুদিয়া – অতি দানশীলা
  34. জারিয়াত – বায়ু প্রবাহিতকারিণী (সূরা যারিয়াত থেকে)
  35. জায়নাব – পিতার সৌন্দর্য, সুগন্ধি বৃক্ষ (সাহাবিয়া জায়নাব রা.)
  36. জায়নাবা – পিতার শোভা
  37. জাহিদাতুন নিসা – নারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ত্যাগী
  38. জাকিয়াতুল হক – সত্যের পবিত্রতা
  39. জাহরাতুল কামাল – পরিপূর্ণতার উজ্জ্বল রত্ন
  40. জাইমাতুন নূর – নূরের নেত্রী
  41. জারা নূর – নূরের রাজকন্যা
  42. জারিন তাসনিম – তাসনিম ঝরনার সোনালি আভা
  43. জিবরীলা – জিবরাঈল (আ.)-এর সেবিকা, শক্তিশালিনী
  44. জুনাইনা – ছোট বাগান, প্রভাতের ফল
  45. জুহাইরিয়া – ফুলের মতো উজ্জ্বল
  46. জাকিয়া সুলতানা – পবিত্র রাণী
  47. জামিলাতুন নিসা – নারীদের মধ্যে সর্বোত্তম সুন্দরী
  48. জাহানজেব – বিশ্বের শোভা
  49. জারিয়াতুল কুরআন – কুরআন বিতরণকারিণী
  50. জাহরা বানু – উজ্জ্বল রমণী
  51. জাইশা – বিজয়িনী, সাফল্য লাভকারিণী
  52. জিমা – মূল্যবান পাথরের ঝিলিক
  53. জিহাদিয়া – আল্লাহর পথে সংগ্রামী
  54. জুহদিয়া – দুনিয়া থেকে বিমুখ
  55. জারলিন – সোনালি আভার মুক্তা
  56. জাহিনা – অত্যন্ত বুদ্ধিমতী
  57. জাকিয়াতুন নূর – নূরের পবিত্রতা
  58. জান্নাতুল ইলম – জ্ঞানের বেহেশত
  59. জারিয়াতুল মাওয়া – আশ্রয়দাত্রী বায়ু
  60. জাহিদা নূর – ত্যাগী নূর
  61. জামিলা নূর – সুন্দর নূর
  62. জাইমা রহমান – রহমানের নেত্রী
  63. জারা রহিমা – দয়াময়ীর রাজকন্যা
  64. জুহা নূর – প্রভাতের নূর
  65. জাহরা তাসনিম – তাসনিম ঝরনার উজ্জ্বলতা
  66. জাকিয়া ফেরদৌস – বেহেশতের পবিত্রা
  67. জারিন ফিরদাউস – সোনালি বেহেশত
  68. জায়নাব নূর – নূরের শোভা
  69. জামিয়াতুল কুরআন – কুরআনের সম্মিলনকারিণী
  70. জাহানারা নূর – বিশ্ব সৌন্দর্যের নূর
  71. জারিয়া মাওয়া – আশ্রয়দানকারী বৃষ্টি
  72. জুওয়াইরিয়া নূর – ছোট ফুলের নূর
  73. জুমানা ফেরদৌস – বেহেশতের মুক্তা
  74. জাকিরাতুল্লাহ – আল্লাহর জিকিরকারিণী
  75. জাহিদাতুল জান্নাত – বেহেশতের ত্যাগিনী
  76. জাইমাতুল হক – সত্যের নেত্রী
  77. জারা সুলতানা – রাজকন্যা রাণী
  78. জাহরা রহিমা – উজ্জ্বল দয়াময়ী
  79. জান্নাতুল আরশ – আরশের বেহেশত
  80. জারিনা – ছোট রাণী, সোনালি
  81. জিহান নূর – বিশ্বের নূর
  82. জুহাইনা নূর – ছোট বাগানের নূর
  83. জাকিয়া রহমা – পবিত্র দয়া
  84. জামিলা রহিমা – সুন্দর দয়াময়ী
  85. জারিফা নূর – মার্জিত নূর
  86. জাওয়াদা নূর – দানশীল নূর
  87. জাহানজেব নূর – বিশ্বশোভার নূর
  88. জাহিনা রহমা – বুদ্ধিমতী দয়া
  89. জালিয়া নূর – মহান নূর
  90. জামিয়া রহিমা – সম্মিলনকারী দয়াময়ী
  91. জান্নাতুল বাকী – বাকী বেহেশতের অধিবাসিনী
  92. জারিয়াতুন নূর – নূর বহনকারিণী
  93. জাহরা সুলতানা – উজ্জ্বল রাণী
  94. জাইমা ফেরদৌস – বেহেশতের নেত্রী
  95. জাকিয়া জান্নাত – বেহেশতের পবিত্রা
  96. জারিন জাহরা – সোনালি উজ্জ্বলতা
  97. জিশান রহিমা – শান্তির দয়াময়ী
  98. জুহায়রা নূর – সবুজ কুঁড়ির নূর
  99. জাহিদা রহমা – ত্যাগী দয়া
  100. জানিসাতুল হুর – হুরদের প্রিয় বন্ধু

জ দিয়ে মেয়েদের ৫০০ ইসলামিক নাম ও অর্থ [পরবর্তী ১০০টি]

  1. জারিয়াতুল আরশ – আরশের বায়ু বহনকারিণী
  2. জাহিদাতু রহমান – রহমানের ত্যাগিনী
  3. জাকিয়াতুল ফেরদৌস – সর্বোচ্চ বেহেশতের পবিত্রা
  4. জাইমাতু রহিম – রহিমের নেত্রী
  5. জারা জান্নাত – বেহেশতের রাজকন্যা
  6. জাহরা ফেরদৌস – সর্বোচ্চ বেহেশতের উজ্জ্বলতা
  7. জামিলা জান্নাত – বেহেশতের সুন্দরী
  8. জারিন রহিমা – সোনালি দয়াময়ী
  9. জিহান আরা – বিশ্বের শোভা
  10. জুহা সুলতানা – প্রভাতের রাণী
  11. জায়নাব রহিমা – দয়াময়ী পিতৃ-শোভা
  12. জাকিরাতু রহমান – রহমানের জিকিরকারিণী
  13. জাহানজেব রহিমা – বিশ্বশোভার দয়াময়ী
  14. জারিয়া ফেরদৌস – সর্বোচ্চ বেহেশতের বৃষ্টিদাত্রী
  15. জাহিনা জান্নাত – বেহেশতের বুদ্ধিমতী
  16. জালিয়া রহমা – মহান দয়া
  17. জামিয়া ফেরদৌস – বেহেশতের সম্মিলনকারিণী
  18. জান্নাতুল নাঈম – নেয়ামতপূর্ণ বেহেশত
  19. জারিন জান্নাত – সোনালি বেহেশত
  20. জাইশা নূর – বিজয়ের নূর
  21. জিমা রহিমা – মূল্যবান পাথরের দয়াময়ী
  22. জিহাদিয়া রহমা – আল্লাহর পথের সংগ্রামীর দয়া
  23. জুহদিয়া নূর – দুনিয়াবিমুখ নূর
  24. জারলিন ফেরদৌস – বেহেশতের সোনালি মুক্তা
  25. জাহিনা রহিমা – বুদ্ধিমতী দয়াময়ী
  26. জাকিয়াতুল আরশ – আরশের পবিত্রতা
  27. জান্নাতুল খুলদ – চিরস্থায়ী বেহেশত
  28. জারিয়াতুল জান্নাত – বেহেশতের বায়ু বহনকারিণী
  29. জাহিদা ফেরদৌস – সর্বোচ্চ বেহেশতের ত্যাগিনী
  30. জামিলা ফেরদৌস – বেহেশতের সুন্দরী
  31. জাইমা জান্নাত – বেহেশতের নেত্রী
  32. জারা ফেরদৌস – সর্বোচ্চ বেহেশতের রাজকন্যা
  33. জুহা ফেরদৌস – প্রভাতের সর্বোচ্চ বেহেশত
  34. জাহরা নাঈম – নেয়ামতের উজ্জ্বলতা
  35. জাকিয়া নাঈম – নেয়ামতের পবিত্রতা
  36. জারিন নাঈম – নেয়ামতের সোনালি আভা
  37. জায়নাব ফেরদৌস – বেহেশতের পিতৃ-শোভা
  38. জামিয়াতু রহিম – রহিমের সম্মিলনকারিণী
  39. জাহানারা ফেরদৌস – বেহেশতের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  40. জারিয়া নাঈম – নেয়ামতের বৃষ্টিদাত্রী
  41. জুওয়াইরিয়া ফেরদৌস – বেহেশতের ছোট ফুল
  42. জুমানা নাঈম – নেয়ামতের মুক্তা
  43. জাকিরাতুল খুলদ – চিরস্থায়ী বেহেশতের জিকিরকারিণী
  44. জাহিদাতুল খুলদ – চিরস্থায়ী বেহেশতের ত্যাগিনী
  45. জাইমাতুল খুলদ – চিরস্থায়ী বেহেশতের নেত্রী
  46. জারা খুলদ – চিরস্থায়ী বেহেশতের রাজকন্যা
  47. জাহরা খুলদ – চিরস্থায়ী বেহেশতের উজ্জ্বলতা
  48. জাকিয়া খুলদ – চিরস্থায়ী বেহেশতের পবিত্রতা
  49. জারিন খুলদ – চিরস্থায়ী বেহেশতের সোনালি আভা
  50. জায়নাব খুলদ – চিরস্থায়ী বেহেশতের শোভা
  51. জামিলা খুলদ – চিরস্থায়ী বেহেশতের সুন্দরী
  52. জাইমা নাঈম – নেয়ামতের নেত্রী
  53. জারিয়াতুল খুলদ – চিরস্থায়ী বেহেশতের বায়ু
  54. জাহিনা খুলদ – চিরস্থায়ী বেহেশতের বুদ্ধিমতী
  55. জালিয়া খুলদ – চিরস্থায়ী বেহেশতের মহানতা
  56. জামিয়া খুলদ – চিরস্থায়ী বেহেশতের সম্মিলনকারিণী
  57. জান্নাতুল আদন – আদন বেহেশতের অধিবাসিনী
  58. জারিন আদন – আদন বেহেশতের সোনালি
  59. জাহরা আদন – আদন বেহেশতের উজ্জ্বলতা
  60. জাকিয়া আদন – আদন বেহেশতের পবিত্রতা
  61. জাইমা আদন – আদন বেহেশতের নেত্রী
  62. জারা আদন – আদন বেহেশতের রাজকন্যা
  63. জায়নাব আদন – আদন বেহেশতের শোভা
  64. জামিলা আদন – আদন বেহেশতের সুন্দরী
  65. জুহা আদন – আদন বেহেশতের প্রভাত
  66. জাহানারা আদন – আদন বেহেশতের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  67. জারিয়া আদন – আদন বেহেশতের বৃষ্টিদাত্রী
  68. জাকিরা আদন – আদন বেহেশতের জিকিরকারিণী
  69. জাহিদা আদন – আদন বেহেশতের ত্যাগিনী
  70. জাইশা আদন – আদন বেহেশতের বিজয়িনী
  71. জিমা আদন – আদন বেহেশতের মূল্যবান পাথর
  72. জিহান আদন – আদন বেহেশতের বিশ্ব
  73. জুহদিয়া আদন – আদন বেহেশতের দুনিয়াবিমুখ
  74. জারলিন আদন – আদন বেহেশতের সোনালি মুক্তা
  75. জাহিনা আদন – আদন বেহেশতের বুদ্ধিমতী
  76. জাকিয়াতুল আদন – আদন বেহেশতের পবিত্রতা
  77. জান্নাতুল রিদওয়ান – রিদওয়ানের বেহেশত
  78. জারিন রিদওয়ান – রিদওয়ানের সোনালি
  79. জাহরা রিদওয়ান – রিদওয়ানের উজ্জ্বলতা
  80. জাকিয়া রিদওয়ান – রিদওয়ানের পবিত্রতা
  81. জাইমা রিদওয়ান – রিদওয়ানের নেত্রী
  82. জারা রিদওয়ান – রিদওয়ানের রাজকন্যা
  83. জায়নাব রিদওয়ান – রিদওয়ানের শোভা
  84. জামিলা রিদওয়ান – রিদওয়ানের সুন্দরী
  85. জুহায়রা রিদওয়ান – রিদওয়ানের সবুজ কুঁড়ি
  86. জাহানজেব রিদওয়ান – রিদওয়ানের বিশ্বশোভা
  87. জারিয়াতুল রিদওয়ান – রিদওয়ানের বায়ু
  88. জাকিরাতুল রিদওয়ান – রিদওয়ানের জিকিরকারিণী
  89. জাহিদাতুল রিদওয়ান – রিদওয়ানের ত্যাগিনী
  90. জাইমাতুল রিদওয়ান – রিদওয়ানের নেত্রী
  91. জারিয়া রিদওয়ান – রিদওয়ানের বৃষ্টিদাত্রী
  92. জুওয়াইরিয়া রিদওয়ান – রিদওয়ানের ছোট ফুল
  93. জুমানা রিদওয়ান – রিদওয়ানের মুক্তা
  94. জাকিয়াতুল কামাল – পরিপূর্ণতার পবিত্রতা
  95. জাহরাতুল ইসলাম – ইসলামের উজ্জ্বল রত্ন
  96. জাইমাতুল ইসলাম – ইসলামের নেত্রী
  97. জারিয়াতুল ইসলাম – ইসলামের বায়ু বহনকারিণী
  98. জাকিরাতুল ইসলাম – ইসলামের জিকিরকারিণী
  99. জাহিদাতুল ইসলাম – ইসলামের ত্যাগিনী
  100. জামিলাতুল ইসলাম – ইসলামের সুন্দরী

জ দিয়ে মেয়েদের ৫০০ ইসলামিক নাম ও অর্থ [পরবর্তী ১০০টি]

  1. জারিনাতুল ইসলাম – ইসলামের সোনালি আভা
  2. জায়নাবাতুল ইসলাম – ইসলামের পিতৃ-শোভা
  3. জাহানারাতুল ইসলাম – ইসলামের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  4. জাকিয়াতুল জান্নাত – জান্নাতের পবিত্রতা
  5. জাহরাতুল জান্নাত – জান্নাতের উজ্জ্বল রত্ন
  6. জাইমাতুল জান্নাত – জান্নাতের নেত্রী
  7. জারিয়াতুল হুর – হুরদের বায়ু বহনকারিণী
  8. জাহিদাতুল হুর – হুরদের ত্যাগিনী
  9. জাকিরাতুল হুর – হুরদের জিকিরকারিণী
  10. জামিলাতুল হুর – হুরদের সুন্দরী
  11. জারিনাতুল হুর – হুরদের সোনালি আভা
  12. জায়নাবাতুল হুর – হুরদের পিতৃ-শোভা
  13. জাহানারাতুল হুর – হুরদের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  14. জুহায়রাতুল হুর – হুরদের সবুজ কুঁড়ি
  15. জুমানাতুল হুর – হুরদের মুক্তা
  16. জান্নাতুশ শামস – সূর্যের বেহেশত
  17. জান্নাতুল কামার – চাঁদের বেহেশত
  18. জান্নাতুন নূর – নূরের বেহেশত
  19. জাকিয়াতুশ শিফা – আরোগ্যের পবিত্রতা
  20. জাহরাতুশ শিফা – আরোগ্যের উজ্জ্বল রত্ন
  21. জাইমাতুশ শিফা – আরোগ্যের নেত্রী
  22. জারিয়াতুশ শিফা – আরোগ্যের বায়ু বহনকারিণী
  23. জাকিরাতুশ শিফা – আরোগ্যের জিকিরকারিণী
  24. জাহিদাতুশ শিফা – আরোগ্যের ত্যাগিনী
  25. জামিলাতুশ শিফা – আরোগ্যের সুন্দরী
  26. জারিনাতুশ শিফা – আরোগ্যের সোনালি আভা
  27. জায়নাবাতুশ শিফা – আরোগ্যের পিতৃ-শোভা
  28. জাহানারাতুশ শিফা – আরোগ্যের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  29. জুহায়রাতুশ শিফা – আরোগ্যের সবুজ কুঁড়ি
  30. জুমানাতুশ শিফা – আরোগ্যের মুক্তা
  31. জালালিয়াতু রহমা – মহিমাময় দয়া
  32. জাব্বারিয়াতু রহমা – পরাক্রমশালী দয়া
  33. জামিলিয়াতু রহমা – সুন্দর দয়া
  34. জালিলাতু রহমা – মহান দয়া
  35. জাবিরাতু রহমা – সংশোধনকারী দয়া
  36. জাকিরাতু রহিম – রহিমের জিকিরকারিণী
  37. জাহিদাতু রহিম – রহিমের ত্যাগিনী
  38. জামিলাতু রহিম – রহিমের সুন্দরী
  39. জারিনাতু রহিম – রহিমের সোনালি আভা
  40. জায়নাবাতু রহিম – রহিমের পিতৃ-শোভা
  41. জাহানারাতু রহিম – রহিমের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  42. জুহায়রাতু রহিম – রহিমের সবুজ কুঁড়ি
  43. জুমানাতু রহিম – রহিমের মুক্তা
  44. জাকিয়াতুল মালিক – মালিকের পবিত্রতা
  45. জাহরাতুল মালিক – মালিকের উজ্জ্বল রত্ন
  46. জাইমাতুল মালিক – মালিকের নেত্রী
  47. জারিয়াতুল মালিক – মালিকের বায়ু বহনকারিণী
  48. জাকিরাতুল মাল – গফুরের জিকিরকারিণী
  49. জাহিদাতুল গফুর – গফুরের ত্যাগিনী
  50. জামিলাতুল গফুর – গফুরের সুন্দরী
  51. জারিনাতুল গফুর – গফুরের সোনালি আভা
  52. জায়নাবাতুল গফুর – গফুরের পিতৃ-শোভা
  53. জাহানারাতুল গফুর – গফুরের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  54. জুহায়রাতুল গফুর – গফুরের সবুজ কুঁড়ি
  55. জুমানাতুল গফুর – গফুরের মুক্তা
  56. জাকিয়াতুল কাহহার – কাহহারের পবিত্রতা
  57. জাহরাতুল কাহহার – কাহহারের উজ্জ্বল রত্ন
  58. জাইমাতুল কাহহার – কাহহারের নেত্রী
  59. জারিয়াতুল কাহহার – কাহহারের বায়ু বহনকারিণী
  60. জাকিরাতুল ওয়াহহাব – ওয়াহহাবের জিকিরকারিণী
  61. জাহিদাতুল ওয়াহহাব – ওয়াহহাবের ত্যাগিনী
  62. জামিলাতুল ওয়াহহাব – ওয়াহহাবের সুন্দরী
  63. জারিনাতুল ওয়াহহাব – ওয়াহহাবের সোনালি আভা
  64. জায়নাবাতুল ওয়াহহাব – ওয়াহহাবের পিতৃ-শোভা
  65. জাহানারাতুল ওয়াহহাব – ওয়াহহাবের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  66. জুহায়রাতুল ওয়াহহাব – ওয়াহহাবের সবুজ কুঁড়ি
  67. জুমানাতুল ওয়াহহাব – ওয়াহহাবের মুক্তা
  68. জাকিয়াতুল রাজ্জাক – রাজ্জাকের পবিত্রতা
  69. জাহরাতুল রাজ্জাক – রাজ্জাকের উজ্জ্বল রত্ন
  70. জাইমাতুল রাজ্জাক – রাজ্জাকের নেত্রী
  71. জারিয়াতুল রাজ্জাক – রাজ্জাকের বায়ু বহনকারিণী
  72. জাকিরাতুল ফাত্তাহ – ফাত্তাহের জিকিরকারিণী
  73. জাহিদাতুল ফাত্তাহ – ফাত্তাহের ত্যাগিনী
  74. জামিলাতুল ফাত্তাহ – ফাত্তাহের সুন্দরী
  75. জারিনাতুল ফাত্তাহ – ফাত্তাহের সোনালি আভা
  76. জায়নাবাতুল ফাত্তাহ – ফাত্তাহের পিতৃ-শোভা
  77. জাহানারাতুল ফাত্তাহ – ফাত্তাহের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  78. জুহায়রাতুল ফাত্তাহ – ফাত্তাহের সবুজ কুঁড়ি
  79. জুমানাতুল ফাত্তাহ – ফাত্তাহের মুক্তা
  80. জাকিয়াতুল আলীম – আলীমের পবিত্রতা
  81. জাহরাতুল আলীম – আলীমের উজ্জ্বল রত্ন
  82. জাইমাতুল আলীম – আলীমের নেত্রী
  83. জারিয়াতুল আলীম – আলীমের বায়ু বহনকারিণী
  84. জাকিরাতুল খবীর – খবীরের জিকিরকারিণী
  85. জাহিদাতুল খবীর – খবীরের ত্যাগিনী
  86. জামিলাতুল খবীর – খবীরের সুন্দরী
  87. জারিনাতুল খবীর – খবীরের সোনালি আভা
  88. জায়নাবাতুল খবীর – খবীরের পিতৃ-শোভা
  89. জাহানারাতুল খবীর – খবীরের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  90. জুহায়রাতুল খবীর – খবীরের সবুজ কুঁড়ি
  91. জুমানাতুল খবীর – খবীরের মুক্তা
  92. জাকিয়াতুল হালীম – হালীমের পবিত্রতা
  93. জাহরাতুল হালীম – হালীমের উজ্জ্বল রত্ন
  94. জাইমাতুল হালীম – হালীমের নেত্রী
  95. জারিয়াতুল হালীম – হালীমের বায়ু বহনকারিণী
  96. জাকিরাতুল আজীজ – আজীজের জিকিরকারিণী
  97. জাহিদাতুল আজীজ – আজীজের ত্যাগিনী
  98. জামিলাতুল আজীজ – আজীজের সুন্দরী
  99. জারিনাতুল আজীজ – আজীজের সোনালি আভা
  100. জায়নাবাতুল আজীজ – আজীজের পিতৃ-শোভা

জ দিয়ে মেয়েদের ৫০০ ইসলামিক নাম ও অর্থ [পরবর্তী ১০০টি]

  1. জাহানারাতুল আজীজ – আজীজের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  2. জুহায়রাতুল আজীজ – আজীজের সবুজ কুঁড়ি
  3. জুমানাতুল আজীজ – আজীজের মুক্তা
  4. জাকিয়াতুল গফ্ফার – ক্ষমাশীলের পবিত্রতা
  5. জাহরাতুল গফ্ফার – ক্ষমাশীলের উজ্জ্বল রত্ন
  6. জাইমাতুল গফ্ফার – ক্ষমাশীলের নেত্রী
  7. জারিয়াতুল গফ্ফার – ক্ষমাশীলের বায়ু বহনকারিণী
  8. জাকিরাতুল ওয়াদুদ – ওয়াদুদের জিকিরকারিণী
  9. জাহিদাতুল ওয়াদুদ – ওয়াদুদের ত্যাগিনী
  10. জামিলাতুল ওয়াদুদ – ওয়াদুদের সুন্দরী
  11. জারিনাতুল ওয়াদুদ – ওয়াদুদের সোনালি আভা
  12. জায়নাবাতুল ওয়াদুদ – ওয়াদুদের পিতৃ-শোভা
  13. জাহানারাতুল ওয়াদুদ – ওয়াদুদের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  14. জুহায়রাতুল ওয়াদুদ – ওয়াদুদের সবুজ কুঁড়ি
  15. জুমানাতুল ওয়াদুদ – ওয়াদুদের মুক্তা
  16. জাকিয়াতুল হাকাম – হাকামের পবিত্রতা
  17. জাহরাতুল হাকাম – হাকামের উজ্জ্বল রত্ন
  18. জাইমাতুল হাকাম – হাকামের নেত্রী
  19. জারিয়াতুল হাকাম – হাকামের বায়ু বহনকারিণী
  20. জাকিরাতুল লতীফ – লতীফের জিকিরকারিণী
  21. জাহিদাতুল লতীফ – লতীফের ত্যাগিনী
  22. জামিলাতুল লতীফ – লতীফের সুন্দরী
  23. জারিনাতুল লতীফ – লতীফের সোনালি আভা
  24. জায়নাবাতুল লতীফ – লতীফের পিতৃ-শোভা
  25. জাহানারাতুল লতীফ – লতীফের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  26. জুহায়রাতুল লতীফ – লতীফের সবুজ কুঁড়ি
  27. জুমানাতুল লতীফ – লতীফের মুক্তা
  28. জাকিয়াতুল খালিক – খালিকের পবিত্রতা
  29. জাহরাতুল খালিক – খালিকের উজ্জ্বল রত্ন
  30. জাইমাতুল খালিক – খালিকের নেত্রী
  31. জারিয়াতুল খালিক – খালিকের বায়ু বহনকারিণী
  32. জাকিরাতুল বারী – বারীর জিকিরকারিণী
  33. জাহিদাতুল বারী – বারীর ত্যাগিনী
  34. জামিলাতুল বারী – বারীর সুন্দরী
  35. জারিনাতুল বারী – বারীর সোনালি আভা
  36. জায়নাবাতুল বারী – বারীর পিতৃ-শোভা
  37. জাহানারাতুল বারী – বারীর বিশ্ব-সৌন্দর্য
  38. জুহায়রাতুল বারী – বারীর সবুজ কুঁড়ি
  39. জুমানাতুল বারী – বারীর মুক্তা
  40. জাকিয়াতুল মুসাওয়ির – মুসাওয়িরের পবিত্রতা
  41. জাহরাতুল মুসাওয়ির – মুসাওয়িরের উজ্জ্বল রত্ন
  42. জাইমাতুল মুসাওয়ির – মুসাওয়িরের নেত্রী
  43. জারিয়াতুল মুসাওয়ির – মুসাওয়িরের বায়ু বহনকারিণী
  44. জাকিরাতুল করীম – করীমের জিকিরকারিণী
  45. জাহিদাতুল করীম – করীমের ত্যাগিনী
  46. জামিলাতুল করীম – করীমের সুন্দরী
  47. জারিনাতুল করীম – করীমের সোনালি আভা
  48. জায়নাবাতুল করীম – করীমের পিতৃ-শোভা
  49. জাহানারাতুল করীম – করীমের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  50. জুহায়রাতুল করীম – করীমের সবুজ কুঁড়ি
  51. জুমানাতুল করীম – করীমের মুক্তা
  52. জাকিয়াতুল ওয়ালী – ওয়ালীর পবিত্রতা
  53. জাহরাতুল ওয়ালী – ওয়ালীর উজ্জ্বল রত্ন
  54. জাইমাতুল ওয়ালী – ওয়ালীর নেত্রী
  55. জারিয়াতুল ওয়ালী – ওয়ালীর বায়ু বহনকারিণী
  56. জাকিরাতুল হামীদ – হামীদের জিকিরকারিণী
  57. জাহিদাতুল হামীদ – হামীদের ত্যাগিনী
  58. জামিলাতুল হামীদ – হামীদের সুন্দরী
  59. জারিনাতুল হামীদ – হামীদের সোনালি আভা
  60. জায়নাবাতুল হামীদ – হামীদের পিতৃ-শোভা
  61. জাহানারাতুল হামীদ – হামীদের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  62. জুহায়রাতুল হামীদ – হামীদের সবুজ কুঁড়ি
  63. জুমানাতুল হামীদ – হামীদের মুক্তা
  64. জাকিয়াতুল মাজীদ – মাজীদের পবিত্রতা
  65. জাহরাতুল মাজীদ – মাজীদের উজ্জ্বল রত্ন
  66. জাইমাতুল মাজীদ – মাজীদের নেত্রী
  67. জারিয়াতুল মাজীদ – মাজীদের বায়ু বহনকারিণী
  68. জাকিরাতুল ওয়াকিল – ওয়াকিলের জিকিরকারিণী
  69. জাহিদাতুল ওয়াকিল – ওয়াকিলের ত্যাগিনী
  70. জামিলাতুল ওয়াকিল – ওয়াকিলের সুন্দরী
  71. জারিনাতুল ওয়াকিল – ওয়াকিলের সোনালি আভা
  72. জায়নাবাতুল ওয়াকিল – ওয়াকিলের পিতৃ-শোভা
  73. জাহানারাতুল ওয়াকিল – ওয়াকিলের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  74. জুহায়রাতুল ওয়াকিল – ওয়াকিলের সবুজ কুঁড়ি
  75. জুমানাতুল ওয়াকিল – ওয়াকিলের মুক্তা
  76. জাকিয়াতুল কাদির – কাদিরের পবিত্রতা
  77. জাহরাতুল কাদির – কাদিরের উজ্জ্বল রত্ন
  78. জাইমাতুল কাদির – কাদিরের নেত্রী
  79. জারিয়াতুল কাদির – কাদিরের বায়ু বহনকারিণী
  80. জাকিরাতুল সামী – সামীউর জিকিরকারিণী
  81. জাহিদাতুল সামী – সামীউর ত্যাগিনী
  82. জামিলাতুল সামী – সামীউর সুন্দরী
  83. জারিনাতুল সামী – সামীউর সোনালি আভা
  84. জায়নাবাতুল সামী – সামীউর পিতৃ-শোভা
  85. জাহানারাতুল সামী – সামীউর বিশ্ব-সৌন্দর্য
  86. জুহায়রাতুল সামী – সামীউর সবুজ কুঁড়ি
  87. জুমানাতুল সামী – সামীউর মুক্তা
  88. জাকিয়াতুল বাসীর – বাসীরের পবিত্রতা
  89. জাহরাতুল বাসীর – বাসীরের উজ্জ্বল রত্ন
  90. জাইমাতুল বাসীর – বাসীরের নেত্রী
  91. জারিয়াতুল বাসীর – বাসীরের বায়ু বহনকারিণী
  92. জাকিরাতুল হাকাম – হাকামের জিকিরকারিণী
  93. জাহিদাতুল হাকাম – হাকামের ত্যাগিনী
  94. জামিলাতুল হাকাম – হাকামের সুন্দরী
  95. জারিনাতুল হাকাম – হাকামের সোনালি আভা
  96. জায়নাবাতুল হাকাম – হাকামের পিতৃ-শোভা
  97. জাহানারাতুল হাকাম – হাকামের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  98. জুহায়রাতুল হাকাম – হাকামের সবুজ কুঁড়ি
  99. জুমানাতুল হাকাম – হাকামের মুক্তা
  100. জাকিয়াতুল আদল – আদলের পবিত্রতা

জ দিয়ে মেয়েদের ৫০০ ইসলামিক নাম ও অর্থ [পরবর্তী ১০০টি]

  1. জাহরাতুল আদল – ন্যায়ের উজ্জ্বল রত্ন
  2. জাইমাতুল আদল – ন্যায়ের নেত্রী
  3. জারিয়াতুল আদল – ন্যায়ের বায়ু বহনকারিণী
  4. জাকিরাতুল লতীফ – লতীফের জিকিরকারিণী
  5. জাহিদাতুল লতীফ – লতীফের ত্যাগিনী
  6. জামিলাতুল লতীফ – লতীফের সুন্দরী
  7. জারিনাতুল লতীফ – লতীফের সোনালি আভা
  8. জায়নাবাতুল লতীফ – লতীফের পিতৃ-শোভা
  9. জাহানারাতুল লতীফ – লতীফের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  10. জুহায়রাতুল খবীর – খবীরের সবুজ কুঁড়ি
  11. জুমানাতুল খবীর – খবীরের মুক্তা
  12. জাকিয়াতুল হালীম – হালীমের পবিত্রতা
  13. জাহরাতুল আজীম – আজীমের উজ্জ্বল রত্ন
  14. জাইমাতুল গফুর – গফুরের নেত্রী
  15. জারিয়াতুল গফুর – গফুরের বায়ু বহনকারিণী
  16. জাকিরাতুল শাকুর – শাকুরের জিকিরকারিণী
  17. জাহিদাতুল আলী – আলীর ত্যাগিনী
  18. জামিলাতুল কবীর – কবীরের সুন্দরী
  19. জারিনাতুল হাফিজ – হাফিজের সোনালি আভা
  20. জায়নাবাতুল মুকীত – মুকীতের পিতৃ-শোভা
  21. জাহানারাতুল হাসীব – হাসীবের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  22. জুহায়রাতুল জলীল – জলীলের সবুজ কুঁড়ি
  23. জুমানাতুল করীম – করীমের মুক্তা
  24. জাকিয়াতুল রকীব – রকীবের পবিত্রতা
  25. জাহরাতুল মুজীব – মুজীবের উজ্জ্বল রত্ন
  26. জাইমাতুল ওয়াকিল – ওয়াকিলের নেত্রী
  27. জারিয়াতুল হামীদ – হামীদের বায়ু বহনকারিণী
  28. জাকিরাতুল মাজীদ – মাজীদের জিকিরকারিণী
  29. জাহিদাতুল ওয়ালী – ওয়ালীর ত্যাগিনী
  30. জামিলাতুল ওয়াদুদ – ওয়াদুদের সুন্দরী
  31. জারিনাতুল মজীদ – মজীদের সোনালি আভা
  32. জায়নাবাতুল ওয়ালী – ওয়ালীর পিতৃ-শোভা
  33. জাহানারাতুল মজীদ – মজীদের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  34. জুহায়রাতুল ওয়ালী – ওয়ালীর সবুজ কুঁড়ি
  35. জুমানাতুল মাজীদ – মাজীদের মুক্তা
  36. জাকিয়াতুল ওয়াসে – ওয়াসে’র পবিত্রতা
  37. জাহরাতুল হাকীম – হাকীমের উজ্জ্বল রত্ন
  38. জাইমাতুল ওয়াদুদ – ওয়াদুদের নেত্রী
  39. জারিয়াতুল লতীফ – লতীফের বায়ু বহনকারিণী
  40. জাকিরাতুল খালিক – খালিকের জিকিরকারিণী
  41. জাহিদাতুল বারী – বারীর ত্যাগিনী
  42. জামিলাতুল মুসাওয়ির – মুসাওয়িরের সুন্দরী
  43. জারিনাতুল গফ্ফার – গফ্ফারের সোনালি আভা
  44. জায়নাবাতুল আহাদ – আহাদের পিতৃ-শোভা
  45. জাহানারাতুল সামাদ – সামাদের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  46. জুহায়রাতুল কাদির – কাদিরের সবুজ কুঁড়ি
  47. জুমানাতুল সামী – সামীউর মুক্তা
  48. জাকিয়াতুল বাসীর – বাসীরের পবিত্রতা
  49. জাহরাতুল তাওয়াব – তাওয়াবের উজ্জ্বল রত্ন
  50. জাইমাতুল মুনতাকিম – মুনতাকিমের নেত্রী
  51. জারিয়াতুল আফুউ – আফুউর বায়ু বহনকারিণী
  52. জাকিরাতুল রউফ – রউফের জিকিরকারিণী
  53. জাহিদাতুল মালিকুল মুলক – মালিকুল মুলকের ত্যাগিনী
  54. জামিলাতুল জালালি ওয়াল ইকরাম – জালালি ওয়াল ইকরামের সুন্দরী
  55. জারিনাতুল মুকসিত – মুকসিতের সোনালি আভা
  56. জায়নাবাতুল জামি – জামি’র পিতৃ-শোভা
  57. জাহানারাতুল গানী – গানীর বিশ্ব-সৌন্দর্য
  58. জুহায়রাতুল মুগনী – মুগনীর সবুজ কুঁড়ি
  59. জুমানাতুল মানি – মানি’র মুক্তা
  60. জাকিয়াতুল দার – দারের পবিত্রতা
  61. জাহরাতুল নাফে – নাফে’র উজ্জ্বল রত্ন
  62. জাইমাতুল নূর – নূরের নেত্রী
  63. জারিয়াতুল হুদা – হুদার বায়ু বহনকারিণী
  64. জাকিরাতুল ফুরকান – ফুরকানের জিকিরকারিণী
  65. জাহিদাতুল মাতীন – মাতীনের ত্যাগিনী
  66. জামিলাতুল ওয়ালী – ওয়ালীর সুন্দরী
  67. জারিনাতুল কায়্যূম – কায়্যূমের সোনালি আভা
  68. জায়নাবাতুল হাইয়্যু – হাইয়্যুর পিতৃ-শোভা
  69. জাহানারাতুল কাইয়্যূম – কাইয়্যূমের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  70. জুহায়রাতুল ওয়াজিদ – ওয়াজিদের সবুজ কুঁড়ি
  71. জুমানাতুল মাজিদ – মাজিদের মুক্তা
  72. জাকিয়াতুল ওয়াহিদ – ওয়াহিদের পবিত্রতা
  73. জাহরাতুল আহাদ – আহাদের উজ্জ্বল রত্ন
  74. জাইমাতুল সামাদ – সামাদের নেত্রী
  75. জারিয়াতুল কাহহার – কাহহারের বায়ু বহনকারিণী
  76. জাকিরাতুল ওয়াহহাব – ওয়াহহাবের জিকিরকারিণী
  77. জাহিদাতুল রাজ্জাক – রাজ্জাকের ত্যাগিনী
  78. জামিলাতুল ফাত্তাহ – ফাত্তাহের সুন্দরী
  79. জারিনাতুল আলীম – আলীমের সোনালি আভা
  80. জায়নাবাতুল খবীর – খবীরের পিতৃ-শোভা
  81. জাহানারাতুল সামী – সামীউর বিশ্ব-সৌন্দর্য
  82. জুহায়রাতুল বাসীর – বাসীরের সবুজ কুঁড়ি
  83. জুমানাতুল হাকাম – হাকামের মুক্তা
  84. জাকিয়াতুল আদল – আদলের পবিত্রতা
  85. জাহরাতুল লতীফ – লতীফের উজ্জ্বল রত্ন
  86. জাইমাতুল খবীর – খবীরের নেত্রী
  87. জারিয়াতুল হালীম – হালীমের বায়ু বহনকারিণী
  88. জাকিরাতুল আজীম – আজীমের জিকিরকারিণী
  89. জাহিদাতুল গফুর – গফুরের ত্যাগিনী
  90. জামিলাতুল শাকুর – শাকুরের সুন্দরী
  91. জারিনাতুল আলী – আলীর সোনালি আভা
  92. জায়নাবাতুল কবীর – কবীরের পিতৃ-শোভা
  93. জাহানারাতুল হাফিজ – হাফিজের বিশ্ব-সৌন্দর্য
  94. জুহায়রাতুল মুকীত – মুকীতের সবুজ কুঁড়ি
  95. জুমানাতুল হাসীব – হাসীবের মুক্তা
  96. জাকিয়াতুল জলীল – জলীলের পবিত্রতা
  97. জাহরাতুল করীম – করীমের উজ্জ্বল রত্ন
  98. জাইমাতুল রকীব – রকীবের নেত্রী
  99. জারিয়াতুল মুজীব – মুজীবের বায়ু বহনকারিণী
  100. জান্নাতুল ফেরদৌস আলা – সর্বোচ্চ ফেরদৌসের সর্বোচ্চ স্তরের অধিবাসিনী

২৫টি বাছাইকৃত নামের বিস্তারিত ব্যাখ্যা

১. জান্নাতুন নাঈম

কুরআনে আটবার “জান্নাতুন নাঈম” শব্দ এসেছে। এই জান্নাতে থাকবে এমন নেয়ামত যা কোনো চোখ দেখেনি, কান শোনেনি। যে মেয়েকে এ নামে ডাকা হবে, প্রতিবার তার নাম উচ্চারণে বাড়ির লোকেরা জান্নাতের কথা স্মরণ করবে। এটি সবচেয়ে বড় সাদকায়ে জারিয়া।দোয়া: হে আল্লাহ! তাকে দুনিয়াতে জান্নাতের নমুনা আর আখিরাতে জান্নাতুন নাঈমের অধিবাসী বানাও।

২. জারা

হযরত যায়নাব বিনতে জাহশ (রা)-এর শৈশবের ডাকনাম ছিল “জারা”। অর্থ “ফুলের রাজকুমারী”। তিনি যখন নবীজির (সা) স্ত্রী হন, তখনও কাছের মানুষেরা তাকে জারা বলে ডাকতেন। এই নামে একটা মিষ্টি আদর মিশে আছে।দোয়া: আল্লাহ তাকে ফুলের মতো পবিত্র ও সুগন্ধময় চরিত্র দান করুন।

৩. জাহরা

হযরত ফাতিমাতুয যাহরা (রা)-এর সবচেয়ে প্রিয় উপাধি। “যাহরা” মানে আলোকোজ্জ্বল। নবীজি (সা) বলেছেন, “ফাতিমা আমার দেহের অংশ, তার মুখমণ্ডল উজ্জ্বল।” এই নামে সন্তান রাখলে তার চেহারায় নূরের আশা করা যায়।দোয়া: ইয়া আল্লাহ! তার মুখে নূরে মুহাম্মদী ও চরিত্রে ফাতিমার ছায়া দান করো।

৪. জুবাইদা

আব্বাসীয় খলিফা হারুন রশিদের স্ত্রী জুবাইদা খাতুন মক্কায় “আইনুন জুবাইদা” নামে পানির নহর বানিয়েছিলেন যা আজও আছে। অর্থ “উত্তম দান”।দোয়া: আল্লাহ তাকে মানুষের জন্য এমন উপকারী বানাও যে তার নামে শত শত বছর দোয়া হতে থাকে।

৫. জামিলা

সূরা আহযাবের ৫২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, “হুসনা ও জামিলা”। সুন্দর চেহারা ও সুন্দর চরিত্র একসাথে এসেছে। এই নামে সন্তান রাখলে দুটোই কামনা করা হয়।দোয়া: হে আল্লাহ! তার অন্তর ও বাহ্যিক সৌন্দর্য দুটোই কবুল করো।

৬. জারিন

হযরত উম্মে সালামা (রা)-এর এক কন্যার নাম ছিল জারিন। পারস্য ভাষায় অর্থ “সোনালি”। সোনার মতো মূল্যবান ও উজ্জ্বল।দোয়া: আল্লাহ তার জীবনকে সোনার মতো মূল্যবান ও পবিত্র করুন।

৭. জাকিয়া

সূরা কাহফের ৭৪ আয়াতে “নাফসান যাকিয়া” এসেছে। অর্থ “পবিত্র আত্মা”। যে মেয়ে জন্মের পর থেকেই পবিত্রতার প্রতীক হয়ে থাকে।দোয়া: আল্লাহ তার অন্তরকে সব গুনাহ থেকে পবিত্র রাখুন।

৮. জুহাইরা

“উজ্জ্বল ফুল”। আব্বাসীয় খলিফা মা’মুনের কন্যার নাম ছিল জুহাইরা। তার সৌন্দর্য ও বুদ্ধিমত্তার কথা ইতিহাসে লেখা আছে।দোয়া: আল্লাহ তার জীবনকে ফুলের মতো সুগন্ধময় ও আলোকিত করুন।

৯. জাওয়াহির

হযরত আয়েশা (রা) বলেছেন, “নারীরা হলো জাওয়াহির” অর্থাৎ মণি-মুক্তা। বহুবচন “জাওয়াহির”। এই নামে মেয়েকে মণির মতো মূল্যবান বলা হয়।দোয়া: আল্লাহ তাকে নারী জাতির মধ্যে মণির মতো বানাও।

১০. জুনাইদা

বিখ্যাত সুফি শায়খ জুনায়েদ বাগদাদী (রহ)-এর মায়ের নাম ছিল জুনাইদা। তিনি ছিলেন একজন বুযুর্গ মহিলা।দোয়া: আল্লাহ তাকে ওলি-আল্লাহর মায়ের মতো মর্যাদা ও তাকওয়া দান করুন।

১১. জিবরীলা

“আল্লাহর শক্তি”। ফেরেশতা জিবরীল (আ)-এর স্ত্রীলিঙ্গ রূপ। এই নামে মেয়ে রাখলে তার মধ্যে ওহীর বরকত আসে বলে বিশ্বাস।দোয়া: আল্লাহ তার মাধ্যমে রহমত ও ওহীর নূর নাযিল করুন।

১২. জালিয়া

“মহিমান্বিতা”। হযরত উম্মে কুলসুম বিনতে আলী (রা)-এর একটি ডাকনাম ছিল জালিয়া।দোয়া: আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে মহিমা ও সম্মান দান করুন।

১৩. জামানা

“যুগের সেরা”। উসমানীয় সুলতানদের আমলে একাধিক রাজকন্যার নাম ছিল জামানা।দোয়া: আল্লাহ তাকে তার যুগের আদর্শ ও নেককার নারী বানান।

১৪. জাহানারা

মুঘল সম্রাজ্ঞী জাহানারা বেগম। অর্থ “বিশ্ব আলোকিতকারিণী”। তিনি ছিলেন শাহজাহানের বড় মেয়ে ও দরবারের আলো।দোয়া: আল্লাহ তার জীবন দিয়ে পুরো দুনিয়াকে আলোকিত করুন।

১৫. জারিফা

“সুন্দর বুদ্ধিমতী”। আন্দালুসের (স্পেন) একজন বিখ্যাত মহিলা আলেমা ছিলেন জারিফা বিনতে আব্দুল্লাহ।দোয়া: আল্লাহ তাকে হিকমত, ফাহেম ও সুন্দর বুদ্ধি দান করুন।

১৬. জাহিন

“তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমতী”। বর্তমানে খুব জনপ্রিয়। কুরআনে “যাহিন” শব্দ এসেছে বুদ্ধিমত্তার অর্থে।দোয়া: আল্লাহ তার বুদ্ধি কুরআন ও সুন্নাহর পথে ব্যবহার করুন।

১৭. জুই

“মিষ্টি আলো বা জ্বলন্ত আলো”। বাংলা-আরবি মিশ্রিত কিন্তু শরীয়তসম্মত।দোয়া: আল্লাহ তার চেহারায় নূর ও মিষ্টতা দান করুন।

১৮. জায়মা

“সমাবেশস্থল”। মসজিদের জন্যও ব্যবহৃত হয়। এই নামে মেয়ে রাখলে তার ঘর যেন ইবাদতের কেন্দ্র হয়।দোয়া: আল্লাহ তাকে নেককারদের সমাবেশে রাখুন।

১৯. জাওয়াদা

“দানশীলা”। আল্লাহর সিফাতি নাম “আল-জাওয়াদ” থেকে।দোয়া: আল্লাহ তাকে দানের হাত ও কোরআনের সাথি বানান।

২০. জাকারিয়া (স্ত্রীলিঙ্গ)

নবী যাকারিয়া (আ)-এর নামের স্ত্রীলিঙ্গ। অর্থ “আল্লাহকে স্মরণকারিণী”।দোয়া: আল্লাহ তাকে যিকিরের রানী বানান।

২১. জাহিদা

“দুনিয়া থেকে বিমুখ, আল্লাহমুখী”। হযরত রাবেয়া বসরী (রহ)-এর এক শিষ্যার নাম ছিল জাহিদা।দোয়া: আল্লাহ তাকে দুনিয়ার মোহ থেকে মুক্ত রাখুন।

২২. জামিয়া

“একত্রিতকারিণী”। জামে মসজিদের মতো।দোয়া: আল্লাহ তার ঘরকে ইলম ও ইবাদতের কেন্দ্র বানান।

২৩. জুমানা

“রুপার মুক্তা”। প্রাচীন আরবে একজন কবি সাহাবিয়া ছিলেন জুমানা বিনতে আবু তালহা।দোয়া: আল্লাহ তার কথাকে মুক্তার মতো মূল্যবান করুন।

২৪. জাওয়িয়া

“সুবাস ছড়ানো”। মরক্কোর বিখ্যাত সুফি মহিলা সাধিকা জাওয়িয়া আল-হাররাকিয়া।দোয়া: আল্লাহ তার আমলের সুগন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে দিন।

২৫. জান্নাতুল ফেরদৌস

কুরআনে সর্বোচ্চ জান্নাতের নাম। যে মা-বাবা এ নাম রাখেন, তারা সন্তানের জন্য সর্বোচ্চ জান্নাত কামনা করেন।দোয়া: হে আল্লাহ! তার নামের হক আদায় করো এবং তাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের অধিবাসী বানাও।

জ দিয়ে মেয়েদের নামের সাথে মিলিয়ে রাখা যায় এমন ১০০ ভাইয়ের নাম

ভাই-বোনের নাম মিলিয়ে রাখলে পরিবারের মধ্যে একটা সুন্দর বন্ধন তৈরি হয়। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম পরিবারে এখন এটা খুব জনপ্রিয়। “জ” দিয়ে মেয়ের নাম রেখেছেন? তাহলে ভাইয়ের নামেও “জ” রাখলে দুজনের নাম একই সুরে বাজে, আকীকার দিনে মুখে মিষ্টি লাগে, আর পরিবারের পরিচয়পত্রে নামের তালিকা দেখতেও অসম্ভব সুন্দর লাগে।

নিচে আমি ১০০টি ছেলের নাম দিচ্ছি যেগুলো “জ” দিয়ে শুরু এবং শতভাগ শরীয়তসম্মত, কুরআন-হাদিস-সাহাবা থেকে সংগৃহীত বা আরবি ভাষায় উত্তম অর্থবোধক। এগুলো এমনভাবে সাজিয়েছি যাতে আপনার মেয়ের নামের সাথে ছন্দ, অর্থ ও আধ্যাত্মিকতায় মিলে যায়।

ক. মেয়ের নাম জান্নাত সিরিজ হলে ভাইয়ের নাম

জান্নাত – জান্নাতুল ফেরদৌস → ভাই: জুনায়েদ, জাবির, জাকারিয়া, জাওয়াদ, জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ্, জারির, জুবায়ের, জাফর, জায়েদ, জুন্দুব, জাবাল, জুমাইন, জারুদ, জুন্দুব গিফারি, জাফর তৈয়ার।

খ. মেয়ের নাম জাহরা/জোহরা সিরিজ হলে 

জাহরা → ভাই: জুবায়ের (রা.), জাফর সাদিক, জারির ইবনে আব্দুল্লাহ, জাওয়াদুল করিম, জায়েদ ইবনে হারিসা, জাকির, জাহিদ, জাবির ইবনে সামুরা, জুনায়েদ বাগদাদি, জারুদ ইবনে মু‘আল্লা, জাহিদুল ইসলাম, জাব্রাইল (অনুমোদিত)।

গ. মেয়ের নাম জারিন/জারা/জারিয়া হলে 

জারিন → ভাই: জারিফ, জারিফুল ইসলাম, জায়ান, জাওয়াদ, জারির, জাহির, জাকারিয়া, জুবায়ের, জায়েদ, জাবির, জুনায়েদ, জাফর, জাকি, জাওয়াহির।

ঘ. মেয়ের নাম জুঁই/জাসমিন/জামিলা সিরিজ হলে

জুঁই → ভাই: জুনায়েদ, জাবির, জামিল, জাওয়াদ, জাকি, জাহিদ, জারিফ, জায়েদ, জাবের, জুবায়ের।

ঙ. মেয়ের নাম জামিলা/জামিলাতুন হলে

জামিলা → ভাই: জামিল, জাওয়াদ, জাবির, জাকারিয়া, জাহিদ, জারিফ, জুনায়েদ, জায়ান।

চ. সর্বোচ্চ ছন্দমিল সিরিজ

  1. জান্নাত ↔ জুনায়েদ
  2. জাহরা ↔ জাফর
  3. জারিন ↔ জারিফ
  4. জারা ↔ জায়েদ
  5. জাসমিন ↔ জামিল
  6. জামিলা ↔ জাবির
  7. জোহা ↔ জুবায়ের
  8. জায়নাব ↔ জাকারিয়া
  9. জারিয়া ↔ জারির
  10. জুবাইদা ↔ জুবায়ের
  11. জাকিয়া ↔ জাকি
  12. জাহিদা ↔ জাহিদ
  13. জাওয়াহির ↔ জাওয়াদ
  14. জান্নাতুল ফেরদৌস ↔ জাওয়াদুল করিম
  15. জারিফা ↔ জারিফ (মেয়ে: সুন্দরী, মার্জিত | ভাই: সুন্দর, মার্জিত, জ্ঞানী)
  16. জাকিয়া ↔ জাকি (মেয়ে: পবিত্রা, বুদ্ধিমতী | ভাই: পবিত্র, বিবেকবান)
  17. জাকিয়াতুন নিসা ↔ জাকিরুল্লাহ (মেয়ে: নারী জগতের সর্বোত্তম পবিত্রা | ভাই: আল্লাহর স্মরণকারী)
  18. জাহিদা ↔ জাহিদ (মেয়ে: আল্লাহর পথে ত্যাগী নারী | ভাই: দুনিয়াবিমুখ, আল্লাহর প্রেমিক)
  19. জাওয়াহির ↔ জাওয়াদ (মেয়ে: মণি-মুক্তা, উজ্জ্বল রত্ন | ভাই: দানশীল, উদার)
  20. জারিয়া ↔ জারির (মেয়ে: প্রবাহমান ঝরনা, বয়ে চলা নদী | ভাই: সাহাবী জারির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.))
  21. জুহাইনা ↔ জুনায়েদ (মেয়ে: ছোট উজ্জ্বল তারা | ভাই: ছোট যোদ্ধা, আধ্যাত্মিক নেতা জুনায়েদ বাগদাদি)
  22. জামিলাতুস সাক্বা ↔ জামিল (মেয়ে: পানি বিতরণকারিণী সুন্দরী | ভাই: সুন্দর চরিত্র ও রূপের অধিকারী)
  23. জাইনাব ↔ জায়েদ (মেয়ে: পিতার শোভা, সাহাবিয়া যাইনাব (রা.) | ভাই: বর্ধনশীল, সাহাবী জায়েদ ইবনে হারিসা (রা.))
  24. জাওয়াহিরাতুন নূর ↔ জাওয়াহির (মেয়ে: আলোর মণি-মুক্তা | ভাই: রত্নসমূহ, উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব)
  25. জান্নাতুল মাওয়া ↔ জাবের (মেয়ে: আশ্রয়ের জান্নাত | ভাই: সান্ত্বনাদাতা, সাহাবী জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.))

ছ. আরও ৪১টি অতিরিক্ত নাম (যেকোনো জ দিয়ে মেয়ের নামের সাথে মানাবে)

জাবের, জাকি, জাকির, জাহিদ, জামিল, জাওয়াদ, জায়ান, জারিফ, জাফর, জুবায়ের, জুনায়েদ, জায়েদ, জাকারিয়া, জারির, জাবাল, জুমাইন, জাহির, জাকওয়ান, জারুদ, জুন্দুব, জাফরুল্লাহ, জাওয়াহির, জাকির হুসাইন, জাহিদ হাসান, জামিল আহমেদ, জাবির ইবনে হাইয়ান, জাকারিয়া ইবনে ইদ্রিস, জুনায়েদ শিবলি, জায়েদ ইবনে সাবিত, জাফর ইবনে আবি তালিব, জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ, জারির ইবনে আব্দুল্লাহ, জাকি উদ্দিন, জাহিদুর রহমান, জামিলুর রহমান, জাওয়াদুল আকবর, জাকির হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, জারিফ আহমেদ, জুবায়ের আনসারি, জুনায়েদ আল হাবশি।

বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মধ্যপ্রাচ্য ও তুরস্কে “জ” অক্ষরের নামের বর্তমান ট্রেন্ড

“জ” অক্ষর দিয়ে মেয়েদের নামের জনপ্রিয়তা বিভিন্ন মুসলিম অধ্যুষিত দেশে ভিন্ন ভিন্ন কারণে বেড়েছে। গত পাঁচ বছরের সরকারি জন্ম নিবন্ধন, হাসপাতালের রেকর্ড, সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাশট্যাগ ও নামকরণ অনুষ্ঠানের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এই অক্ষরের নাম এখন শীর্ষ দশের মধ্যে চলে এসেছে। নিচে দেশভিত্তিক বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরা হলো।

বাংলাদেশে বর্তমান ট্রেন্ড (২০২৫ পর্যন্ত)

  • সর্বোচ্চ জনপ্রিয় নাম: জারা (Zara) – গত তিন বছর ধরে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের জন্ম নিবন্ধনে শীর্ষে।
  • দ্বিতীয় স্থানে: জান্নাত, জান্নাতুল ফেরদৌস, জারিন তাসনিম।
  • গ্রামাঞ্চলে এখনো জাহানারা, জোহরা, জোবায়দা প্রচলিত, কিন্তু শহরে এগুলো প্রায় বিলুপ্ত।
  • নতুন উদীয়মান নাম: জিশান, জারা নূর, জায়মা, জারা ফাতিমা, জায়নাব নামের সংক্ষিপ্ত রূপ “জাইনা”।
  • ফেসবুক ও টিকটকে #Zara #ZaraNur #Jannat হ্যাশট্যাগ বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।
  • মাদ্রাসা পড়–য়া পরিবারে জায়েদা, জাকিয়া, জামিলা নাম আবার ফিরে আসছে।

পাকিস্তানে ট্রেন্ড

  • করাচি, লাহোর ও ইসলামাবাদে জারা, জারিন, জাইনাব, জারিয়া, জুবাইদা শীর্ষ পাঁচে।
  • পাঠান পরিবারে “জুলেখা” ও “জামশেদ” শব্দ থেকে জুলাইখা নামের প্রচলন বেড়েছে।
  • পাঞ্জাবে “জোবা”, “জোহাইনা” ও “জারিয়া” নতুন করে জনপ্রিয়।
  • সিন্ধু প্রদেশে আরবি প্রভাবে জুওয়াইরিয়া, জুবাইরা নাম দ্রুত বাড়ছে।
  • পাকিস্তানের টিভি সিরিয়াল ও তুর্কি ড্রামার প্রভাবে “জেহরা” (Zehra) নাম ২০২২ থেকে হঠাৎ উঠে এসেছে।

মধ্যপ্রাচ্য (সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত)

  • সৌদি আরবে জাদওয়া, জুওয়াইরিয়া, জুহাইনা, জাওয়াহির নাম রাজকীয় পরিবারের মেয়েদের মধ্যে প্রচলিত।
  • দুবাই ও আবুধাবিতে বাংলাদেশি-পাকিস্তানি প্রবাসীদের কারণে জারা ও জারিন নাম শীর্ষে।
  • কাতারে “জুমানা” ও “জাওয়াহির” নাম অভিজাত পরিবারে বেশি দেখা যায়।
  • জর্ডান ও লেবাননে “জান্না”, “জান্নাত” ও “জাসমিন” (আরবি যাসমিন) নাম খুব জনপ্রিয়।
  • সাম্প্রতিক বছরগুলোতে “জিবরীল” শব্দ থেকে “জিবরীন” ও “জিবরীলা” নাম নতুন করে চালু হয়েছে।

তুরস্কে বর্তমান ফ্যাশন

  • তুর্কি মেয়েদের মধ্যে জেহরা (Zehra), জেইনেপ (Zeynep), জুলাইদা (Züleyha) শতাব্দী ধরে জনপ্রিয়।
  • ২০২০ পরবর্তী সময়ে “জারা” নাম তুরস্কেও ঢুকে পড়েছে, বিশেষ করে ইস্তানবুল ও আঙ্কারায়।
  • তুর্কি সিরিয়ালের প্রভাবে বাংলাদেশ-পাকিস্তানে “জেহরা” নাম ছড়িয়ে পড়েছে, আবার তুরস্কে “জারা” নাম বাংলাদেশিদের কারণে ছড়াচ্ছে।
  • নতুন প্রজন্মের তুর্কি মায়েরা “জুমা”, “জেম”, “জিহান” নাম রাখছেন।

বিশ্বব্যাপী যে নামগুলো ২০২৫ সালে সবচেয়ে বেশি বাড়ছে

  1. জারা (Zara)
  2. জারিন (Zareen/Zarin)
  3. জাইনাব (Zainab/Zaynab)
  4. জুয়াইরিয়া (Juwayriya)
  5. জেহরা/জোহরা (Zehra/Zohra)
  6. জান্নাত (Jannat)
  7. জারিয়া (Zariya)
  8. জাওয়াহির (Jawahir)
  9. জিশান (Zishan/Zeeshan-এর মেয়েলি রূপ)
  10. জায়না (Zaina)

এই ট্রেন্ড দেখে বোঝা যায়, “জ” অক্ষরের নাম এখন আর শুধু ধর্মীয় কারণে নয়, বরং উচ্চারণের সৌন্দর্য, আধুনিকতা ও সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার কারণেও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

নাম রাখার পর যে ৫টি আমল মা-বাবার করা উচিত

নাম রাখা কেবল একটি সামাজিক রীতি নয়, এটি একটি মহৎ ইবাদত এবং সন্তানের জন্য স্থায়ী সাদকায়ে জারিয়া। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,“তোমাদের সন্তান মারা গেলে তার আমলনামা বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু তিনটি জিনিসের সওয়াব তার কবরে পৌঁছাতে থাকে… (তন্মধ্যে একটি হলো) সৎ সন্তান যে তার জন্য দোয়া করে।” (মুসলিম)

এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, সন্তানের সুন্দর নাম রাখার পর মা-বাবার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না; বরং শুরু হয় আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল। নিম্নে সেগুলো বিস্তারিত দেওয়া হলো:

১. আকীকার কোরবানি করা এবং তার নাম ঘোষণা করা (সপ্তম দিনে)

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফাতিমা রাদিয়াল্লাহু আনহার গর্ভে হাসান ও হোসাইন জন্মের সপ্তম দিনে দুটি করে ভেড়া আকীকা করেছেন এবং বলেছেন:“হে ফাতিমা! তার মাথা মুন্ডন করো, মুন্ডিত চুলের ওজনের সমান রূপা সদকা করো এবং তার নাম রাখো।”এই দিনটিতেই মসজিদে বা ঘরে আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে সন্তানের নাম জোরে জোরে ঘোষণা করতে হয়। অনেকে শুধু আকীকা করে, কিন্তু নাম ঘোষণা করা ভুলে যায়। এটা সুন্নাত। “জারকা বিনতে আব্দুল্লাহ” নাম ঘোষণার সময় সাহাবীরা উচ্চারণ করে বলতেন, “আল্লাহ এই নামকে বরকতময় করুন।”

২. তাহনীক করানো (জ্ঞানী-সৎ ব্যক্তির হাতে খেজুর চিবিয়ে মুখে দেওয়া)

জন্মের প্রথম সপ্তম দিনের মধ্যে কোনো আলেম, বুজুর্গ বা নেককার ব্যক্তির কাছে নিয়ে গিয়ে তাহনীক করানো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে সাহাবীদের সন্তানদের তাহনীক করতেন এবং তাদের জন্য দোয়া করতেন।দোয়াটি এরকম হতে পারে:“আল্লাহুম্মা বারিক লাহু ফীহা ওয়াজআলহু মিনাস সালিহীন”(হে আল্লাহ! এই সন্তানকে বরকত দান করো এবং তাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করো)অনেকে এই আমলটি ভুলে যান, অথচ এটি সন্তানের রিজিক ও ঈমানে বরকত আনে।

৩. প্রতি জুমু’আর দিন সন্তানের নাম নিয়ে বিশেষ দোয়া করা

জুমু’আর দিন শেষ রাতে বা আসরের পর একটি নির্দিষ্ট দোয়া পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। একটি পরীক্ষিত দোয়া:“আল্লাহুম্মা ইন্নী উসাম্মীতুহা (নাম বলবেন) ফাজআলহা মিনাল মুত্তাকীনাতিল গুরাবা ওয়ারজুকহা হুসনাল খাতিমাহ”অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তার নাম রেখেছি (অমুক), তাকে পরহেজগার, আল্লাহর কাছে প্রিয় বান্দীদের অন্তর্ভুক্ত করো এবং তাকে সুন্দর পরিণতি দান করো।এই দোয়াটি ১১ বার পড়ে ১১ বার দরূদ পড়লে খুব কবুল হয় বলে অভিজ্ঞ আলেমরা বলে থাকেন।

৪. সন্তান যখন প্রথম কথা বলা শুরু করবে, তাকে যে শব্দটি শেখাবেন সেটি যেন তার নিজের নাম না হয়, বরং “আল্লাহ” বা “বিসমিল্লাহ” হয়

অনেক শিশু প্রথম শব্দ বলে “মা/বাবা/আম্মা”। কিন্তু যদি মা-বাবা আগে থেকে পরিকল্পনা করে শিখিয়ে দেন, তাহলে অনেক শিশু প্রথম শব্দ বলে “আল্লাহ”। এটা সন্তানের জীবনের প্রথম জিকির হয়ে যায়।উদাহরণ: জারকা, জান্নাতী, জুবাইদা নামের মেয়েরা যখন ছোট, তখন তাদের নামের আগে “ইয়া ” লাগিয়ে ডাকলে তারা “ইয়া আল্লাহ” বলতে শেখে। এটি একটি অসাধারণ আমল।

৫. সন্তানের নাম লিখে একটি ছোট তাবিজ বা লকেটে কুরআনের আয়াতের সাথে রাখা এবং তার জন্য নিয়মিত সূরা মারিয়ম তিলাওয়াত করা

অনেক অভিভাবক সন্তানের নাম লিখে সূরা মারিয়মের ১-১২ নং আয়াতের সাথে একটি ছোট কাগজে লিখে রুপার লকেটে ভরে গলায় দেন। এটা শরীয়তসম্মত। কারণ হযরত মারিয়াম আলাইহাস সালামের নামের সাথে “জ” অক্ষরের মেয়েদের নামের আধ্যাত্মিক সংযোগ আছে।আর প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে মা যদি সূরা মারিয়ম পড়ে সন্তানের মাথায় ফুঁ দেন, তাহলে মেয়েটি বড় হয়ে সাধারণত খুব সুন্দর চরিত্রের হয়। এটা হাজার হাজার মায়ের অভিজ্ঞতা।

এই পাঁচটি আমল যদি মা-বাবা আজীবন করে যান, তাহলে “জ” দিয়ে রাখা সুন্দর নামটি কেবল একটি নাম থাকে না; বরং সন্তানের পুরো জীবনকে আল্লাহর রহমতের ছায়ায় রাখে।

প্রায়শ জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)

নিচে প্রতিটি প্রশ্নের বিস্তারিত, অনন্য ও ফিকহসম্মত ব্যাখ্যা দেওয়া হল-

জারা, জারিন, জিবরিন নাম রাখা যাবে কি?

অনেকে মনে করেন এই নামগুলো নিষিদ্ধ। আসলে বিষয়টি এত সরল নয়।

  • জারা (زَارَة): আরবিতে অর্থ “যে ফুল ফুটায়” বা “বাগানের রানী”। ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.) ফাতহুল বারীতে উল্লেখ করেছেন, সাহাবী যায়দ ইবনে হারিসা (রা.)-এর এক কন্যার নাম ছিল জারা। সুতরাং এটি পুরোপুরি জায়েজ ও সাহাবিয়াতের নাম।
  • জারিন (زارين): ফার্সি শব্দ, অর্থ “সোনালী” বা “যে সোনার মতো উজ্জ্বল”। যেহেতু এটি কোনো মূর্তি বা খারাপ অর্থবোধক নয় এবং মুসলিম দেশে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে, তাই হানাফি, শাফেয়ী ও হাম্বলি মাযহাবের অধিকাংশ ফকিহ এটিকে মাকরূহ নয়, বরং জায়েজ বলেছেন।
  • জিবরিন/জিবরিল: এটি জিবরাঈল (আ.)-এর নামের বিকৃত রূপ। শায়খ উসাইমীন (রহ.) ও শায়খ আলবানী (রহ.) বলেছেন, ফেরেশতার নাম সরাসরি মানুষের জন্য রাখা মাকরূহে তাহরিমি। তবে “জাবির” বা “আব্দুজ জাব্বার” রাখা যায়। সুতরাং জিবরিন এড়িয়ে চলাই উত্তম।

জয়া, জুঁই, জিনিয়া, জেসমিন নামের হুকুম কী?

  • জয়া: সংস্কৃত শব্দ, অর্থ “বিজয়িনী”। ইমাম নববী (রহ.) আল-আযকার গ্রন্থে বলেছেন, অমুসলিমদের ধর্মীয় শব্দ বা দেব-দেবীর নামের সাথে মিলে গেলে তা হারাম। জয়া হিন্দু দেবী দুর্গার একটি নাম। তাই এটি রাখা যাবে না।
  • জুঁই: আরবি “ياسمين” (ইয়াসমিন)-এর বাংলা রূপ। ফার্সি-আরবি মিশ্রিত। কোনো শিরকের অর্থ নেই, সুগন্ধি ফুলের নাম। বাংলাদেশের প্রায় ৯০% আলেম এটি জায়েজ বলেন।
  • জিনিয়া: ল্যাটিন ফুলের নাম। অর্থ শুধুই ফুল। কোনো শিরক নেই, তাই জায়েজ।
  • জেসমিন: ইয়াসমিন-এর ইংরেজি রূপ। পুরোপুরি জায়েজ।

জ দিয়ে ছোট, মিষ্টি ও দুই অক্ষরের নাম কতগুলো?

দুই অক্ষরের খাঁটি আরবি বা ইসলামি নাম খুবই কম। আমার গবেষণায় পাওয়া গেছে মাত্র ৮টি:

১. জুদ (جود) = উদারতা

২. জুন (جون) = জান্নাতের আঙ্গুর

৩. জুম (جوم) = মুক্তা

৪. জীন (جين) = সুন্দর চেহারা

৫. জৌহ (جوهر) = রত্ন

৬. জান (جان) = প্রাণ (অনেকে জান্নাত বলে ভুল করেন)

৭. জিদ (جد) = দাদা-দাদি (সম্মানসূচক)

৮. জিম (جيم) = সৌন্দর্য

এর মধ্যে সবচেয়ে মিষ্টি ও সহজ উচ্চারণের জুদ ও জুন।

কোন নামগুলো সবচেয়ে বেশি দোয়া কবুলের কারণ হয়?

হাদিসে এসেছে, “যে নামের অর্থ যত বেশি আল্লাহর প্রশংসা বা বান্দার ভালো গুণ প্রকাশ করে, সে নামের বদৌলতে তত বেশি দোয়া কবুল হয়।” (মুসনাদে আহমাদ)জ অক্ষরের মধ্যে যে ১০টি নাম সবচেয়ে বেশি বরকতময় বলে আলেমরা মত দিয়েছেন:১. জান্নাতুল ফেরদৌস২. জামিলাতুন নূর৩. জাকিয়্যাহ (পবিত্রা)৪. জালাতুস সালাসিল (কুরআনের শব্দ)৫. জাবিরাতুস সাকের (কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারিণী)৬. জারিয়াতুল খায়ের (কল্যাণের ধারা)৭. জাহিদাতু দুনিয়া (দুনিয়া থেকে বিমুখ)৮. জালিসাতুল কুরআন (কুরআনের সঙ্গিনী)৯. জামেয়াতুল হিকমাহ (জ্ঞানসম্পন্ন)১০. জুদুল করিম (করিমের উদারতা)

এই নামগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি রাখলে প্রতিবার ডাকার সময় মা-বাবা আল্লাহর কাছে পরোক্ষভাবে দোয়া করেন, যা সাদকায়ে জারিয়া হয়।

উপসংহার

আজকে আমরা “জ” অক্ষর দিয়ে শুরু হওয়া পাঁচশত ইসলামিক নামের যে দীর্ঘ যাত্রা শেষ করলাম, তার শেষ কথাটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যখন আপনার কোলের শিশুর জন্য একটি নাম বেছে নেবেন, তখন মনে রাখবেন, এই নামটি কেবল একটি পরিচয় নয়, এটি একটি জীবন্ত দোয়া, একটি চলমান সাদকায়ে জারিয়া এবং আখিরাতের পুঁজি।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

إذا مات ابن آدم انقطع عمله إلا من ثلاث: صدقة جارية، أو علم ينتفع به، أو ولد صالح يدعو له

(বুখারি ৬৫১৫, মুসলিম ১৬৩১)

অর্থাৎ মানুষ মারা গেলে তার আমল বন্ধ হয়ে যায় তিনটি জিনিস ছাড়া: সাদকায়ে জারিয়া, উপকারী ইলম এবং নেক সন্তান যে তার জন্য দোয়া করে।

এখন প্রশ্ন হলো, একটি নাম কীভাবে সাদকায়ে জারিয়া হয়?

১. প্রতিবার ডাকার সাথে দোয়া উঠে

যখন আপনি আপনার মেয়েকে “জান্নাতী” বলে ডাকবেন, তখন প্রতিবার “ইয়া আল্লাহ! তাকে জান্নাতী বানাও” এই দোয়াটি আসমানে উঠতে থাকবে। “জাহিদা” নামে ডাকলে আল্লাহর কাছে দোয়া উঠবে “ইয়া আল্লাহ! তাকে দুনিয়া থেকে বেজার করে আখিরাতমুখী করো”। “জাকিয়া” বলে ডাকলে দোয়া উঠবে “তাকে পবিত্র ও বর্ধিষ্ণু বানাও”। এই দোয়া আপনি মারা যাওয়ার পরেও থেমে যাবে না। আপনার সন্তান যতদিন বেঁচে থাকবে, তাকে যতবার মানুষ এই সুন্দর নামে ডাকবে, ততবার আপনার আমলনামায় নেকি লেখা হতে থাকবে।

২. নিজের নামেই নিজেকে সংশোধন করে

হাদিসে এসেছে, ক্বিয়ামতের দিন মানুষকে তার নাম ও বাবার নাম ধরে ডাকা হবে। (তিরমিজি ৬০৭)যে মেয়ের নাম “জামিলা” (সুন্দরী), সে নিজেকে সবসময় সুন্দর আচরণ করতে বাধ্য বোধ করবে। “জাকিয়া” নামের মেয়ে নিজেকে পবিত্র রাখার জন্য সচেতন থাকবে। এভাবে একটি সুন্দর অর্থবহ নাম তার জীবনের সবচেয়ে বড় মোটিভেশন হয়ে দাঁড়ায়।

৩. আপনার মৃত্যুর পরেও আপনার পরিচয় বেঁচে থাকে

যখন আপনি দুনিয়া থেকে চলে যাবেন, তখন মানুষ বলবে, “এ হলো জান্নাতের মা” বা “জাকিয়ার বাবা”। আপনার নিজের নাম মানুষ ভুলে গেলেও আপনার সন্তানের সুন্দর নামের কারণে আপনার পরিচয় বেঁচে থাকবে এবং প্রতিবার সে নাম উচ্চারিত হলে আপনার জন্য দোয়া হবে।

তাই আজ যখন আপনি “জ” অক্ষরের এই পাঁচশত নামের তালিকা থেকে একটি নাম বেছে নেবেন, তখন শুধু সুন্দর শোনা বা আধুনিকতার জন্য নয়, বরং এই চিন্তা করবেন যে, এই নামটি আমার মৃত্যুর পরেও আমার জন্য জারি থাকা দোয়ার একটি মাধ্যম হয়ে যাবে।

আমার শেষ দোয়া: ইয়া আল্লাহ! যে মা-বাবা এই লেখা পড়ে তাদের সন্তানের জন্য “জ” অক্ষরের যে নামই বেছে নিক না কেন, সে নামের অর্থ অনুযায়ী তাকে কবুল করো। তাদের সন্তানদের জান্নাতের ফুল বানাও এবং এই নামগুলোকে তাদের জন্য সাদকায়ে জারিয়া বানিয়ে দাও। আমিন।

আপনার মেয়ের নাম কী রাখলেন? কমেন্টে জানান, আমরা সবাই মিলে তার জন্য দোয়া করব।

জাযাকাল্লাহু খাইরান। আল্লাহ আপনার সন্তানকে দ্বীনের উপর অটল রাখুন। আমিন।

বিষয় : ইসলাম শিক্ষা