শিক্ষা
কানের ব্যথা দূর করার উপায়

কানের ব্যথা দূর করার উপায়
বিভিন্ন কারণে শিশু থেকে শুরু করে যেকোনাে বয়সের মানুষের কানে ব্যথা হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এর জন্য দায়ী ইনফেকশন বা সংক্রমণ। সাধারণত মধ্যকর্ণের ইনফেকশন ও কানের নালির প্রদাহের জন্য কানে ব্যথা হয়। যাঁরা সাঁতার কাটেন, নদী-পুকুর-বাথটাবে কান ডুবিয়ে গােসল করেন, তাঁদেরও কানে পানি ঢুকে ব্যথা হয়। আবার সর্দি-কাশি ও ঠাণ্ডা আবহাওয়ায়ও কানে ব্যথা হয়।
লক্ষণ
- কানে তীব্র ব্যথা হওয়া
- অনেক সময় শুনতে সমস্যা হওয়া
- কানে প্রচণ্ড চুলকানি হওয়া
- জ্বর আসা
- কানে ঝিমঝিম শব্দ হওয়া
- কান দিয়ে তরল পদার্থের মতাে কিছু একটা বের হওয়া
- বমি বমি ভাবও হতে পারে।
- এ ছাড়া কানের ভেতর ভোঁ ভোঁ শব্দ হতে পারে।
যা যা করনীয়
- কানের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পেইনকিলার হিসেবে প্যারাসিটামল, আইবুপ্রফেন, অ্যাসপিরিন খেতে পারেন।
- গরম সেক দিলে কিছুটা উপকার পাবেন।
- কানে কটন বাড, ম্যাচের কাঠি, পিন বা আঙুল দিয়ে চুলকাবেন না, খোঁচাবেন না।
- যদি কান থেকে তরল বের হয় বা গায়ে জ্বর থাকে, তবে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
- বাচ্চাদের কানে ব্যথার ক্ষেত্রে নিজে কোনাে চিকিৎসা করবেন না।
কানে পানি জমার অন্যতম কারণ
গােসল করার সময় বা সাঁতার কাটতে গেলে অনেক সময়ই কানে পানি ঢুকে যায়। এ পরিস্থিতিতে অনেকেই অপর কানে। ঝাঁকি দিয়ে পানি বের করার চেষ্টা করেন। অনেক সময় বের হয়ে যায়, অনেক সময় হয় না। কানে পানি ঢুকলে সঙ্গে সঙ্গে কানের লতি টেনে ধরে মাথাটা কাত করুন। তাতেও পানি বের না হলে পরিষ্কার তুলা দিয়ে সাবধানে পানি বের করে নিন। তবে কটন বাড ব্যবহার করবেন না। কটন বাড ব্যবহারে কানের পর্দার ক্ষতি হতে পারে।
পানি ঢুকলে কী করবেন
- যে কানে সমস্যা হচ্ছে সে কানটি শুকনা রাখুন।
- কানে পানি ঢােকার কারণে সমস্যা হলে সাঁতার কাটা বন্ধ রাখুন কিছু দিন
- ব্যথা কমানাের জন্য কাপড় গরম করে সেক দিতে পারেন।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন
- চার-পাঁচ দিনেরও বেশি সময় ধরে সমস্যা থাকলে
- ডায়াবেটিস রােগী হলে অতীতে কানে ঘা হয়ে থাকলে বা আগে কখনাে কানের পর্দায় সার্জারি করা হয়ে থাকলে।