• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • অষ্টম শ্রেণি
  • বাংলাদেশের অর্থনীতি
বাংলাদেশের অর্থনীতি

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

বাংলাদেশের অর্থনীতি

বাংলাদেশের দেশজ উৎপাদনে বিভিন্ন খাতের অবদান

বাংলাদেশে জাতীয় আয়ের উৎস হিসেবে আমরা অনেকগুলি খাতের নাম উল্লেখ করতে পারি। যেমন: কৃষি ও বনজ, মৎস্য, শিল্প, খনিজ, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানিসম্পদ, নির্মাণশিল্প, পাইকারি ও বিপণন, হোটেল-রেস্তোরাঁ, পরিবহন ও যোগাযোগ, ব্যাংক-বিমা, স্বাস্থ্য, সামাজিক ব্যবসা-বাণিজ্য, শুল্ক প্রভৃতি। এর মধ্যে আমাদের জাতীয় উৎপাদন ও আয়ের কয়েকটি খাত নিচে উল্লেখ করা হলো:

ক) কৃষিখাত: খাদ্যশস্য, শাকসবজি, প্রাণি, মৎস্য ও বনজ সম্পদ এই খাতের অর্ন্তভুক্ত। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে এই খাতের অবদান ছিলো ১৩.১৪ শতাংশ এবং প্রবৃদ্ধির হার ছিলো ৩.৫৪ শতাংশ। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে এই খাতের অবদান ছিলো ১১.০২ শতাংশ এবং প্রবৃদ্ধির হার ছিলো ৩.২১ শতাংশ।

খ) মৎস্যখাত: ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ নদী ও অন্যান্য জলাশয় এবং সামুদ্রিক উৎস থেকে মাছ আহরণসহ দেশজ উৎপাদনে মৎস্যখাতের অবদান ছিল ২.৭৭ শতাংশ এবং প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৪.৯৩ শতাংশ। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে এই খাতের অবদান ছিল ২.৩৮ শতাংশ এবং প্রবৃদ্ধির হার ছিল ২.৮১ শতাংশ।

গ) শিল্পখাত: ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে জিডিপিতে শিল্পখাতের অবদান ছিল ৩৩.৮৫ শতাংশ এবং প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১০.২০ শতাংশ। পোশাকশিল্প, বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি সরবরাহ, খনিজসম্পদ ও নির্মাণ শিল্প প্রভৃতিকে এই খাতের অন্তর্ভুক্ত করায় জাতীয় অর্থনীতিতে এই খাতের অবদান অনেক বেড়ে যায়। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে এই খাতের অবদান ৩৭.৯৫ শতাংশ এবং প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬.৬৬ শতাংশ।

ঘ) পাইকারি ও খুচরা বাণিজ্য: ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে জিডিপিতে এই খাতের অবদান ছিল ১৪.৭৫ শতাংশ এবং প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮.৭৪ শতাংশ। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে এই খাতের অবদান ছিল ১৫.৩২ শতাংশ এবং প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬.১৯ শতাংশ।

ঙ) পরিবহন, সংরক্ষণ ও যোগাযোগ: ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে জিডিপিতে এই খাতের অবদান ছিল ৭.৮৮ শতাংশ এবং প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬.৭৪ শতাংশ। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে এই খাতের অবদান ছিল ৭.২৫ শতাংশ এবং প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫.২৪ শতাংশ।

চ) স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবাখাত: ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে জিডিপিতে এই খাতের অবদান ছিল ২.৮৯ শতাংশ এবং প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৯.২০ শতাংশ। ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে এই খাতের অবদান ছিল ৩.৫৭শতাংশ এবং প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১০.০৭ শতাংশ।

(উৎস: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা- ২০২৪)

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে জিডিপির গুরুত্ব

এককভাবে ধরলে আমাদের মোট জাতীয় উৎপাদনে কৃষির অবদানই সর্বাধিক। তবে শিল্পের ভূমিকাও দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এছাড়া সেবাখাতসমূহও দেশের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখছে। বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তি-নির্ভর। কৃষি, শিল্প, যোগাযোগ, সেবা প্রভৃতি খাতের উন্নয়নে প্রযুক্তির বিকাশকে কাজে লাগিয়ে আমরা সহজেই আমাদের জাতীয় উন্নয়নকে ত্বরান্বিত ও জাতীয় আয় বৃদ্ধি করতে পারি। সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের মধ্যে সমন্বয় ও আয়ের ভারসাম্য রাখা গেলে জনগণের জীবনমানের উন্নয়নেও তা সহায়ক হবে।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ