• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • অষ্টম শ্রেণি
  • বাংলাদেশের অর্থনীতি
বাংলাদেশের অর্থনীতি

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

বাংলাদেশের অর্থনীতি

জাতীয় উৎপাদন ও মাথাপিছু আয় ধারণা দুটি ব্যাখ্যা কর।

একটি দেশের নাগরিক নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণত এক বছর) যেসব দ্রব্য ও সেবা উৎপাদন করে তার মোট আর্থিক মূল্য হচ্ছে মোট জাতীয় উৎপাদন (GNP)। অর্থাৎ একটি দেশের নাগরিক নিজ দেশসহ বিশ্বের যেখানেই চাকরি বা ব্যবসা করুক না কেন যখন তাদের অর্জিত আয় দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হয় তখন তা মোট জাতীয় উৎপাদন হিসেবে বিবেচিত হবে। জিএনপি হিসাব করা হয় একটি দেশের নাগরিকদের অর্থনৈতিক অবদান বোঝার জন্য। যেমন- কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বিদেশে চাকরি বা ব্যবসা করে অর্জিত অর্থের যে পরিমাণ অর্থ বৈধপথে বাংলাদেশে পাঠায় তা বাংলাদেশের মোট জাতীয় উৎপাদনের অংশ হবে। আবার, একটি দেশের মোট জাতীয় আয়কে সেই দেশের মোট জনসংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে মাথাপিছু আয় পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে একটি দেশের মানুষের সার্বিক জীবনযাত্রার মান নির্ধারণ করা হয়। যে দেশের মাথাপিছু আয় যত বেশি সে দেশের জনগণের জীবনযাত্রার মান তত উন্নত এবং অর্থনীতি তত বেশি সমৃদ্ধ।

​​​মাথাপিছু আয় =কোনো নির্দিষ্ট বছরের মোট জাতীয় আয়ওই বছরের মোট জনসংখ্যামাথাপিছু\:আয়\:=\frac{কোনো\:নির্দিষ্ট\:বছরের\:মোট\:জাতীয়\:আয়}{ওই\:বছরের\:মোট\:জনসংখ্যা}​​

ধরা যাক, ২০১১ সালে একটি দেশের মোট জনসংখ্যা ছিল ১০ কোটি এবং ওই সময়ে মোট জাতীয় উৎপাদন বা আয় হলো ৫,০০০ কোটি মার্কিন ডলার।

সুতরাং মাথাপিছু আয় = ,০০০ কোটি মার্কিন ডলার১০ কোটি =৫০০ মার্কিন ডলার।সুতরাং\:মাথাপিছু\:আয়\:=\:\frac{৫,০০০\:কোটি\:মার্কিন\:ডলার}{১০\:কোটি}\:=৫০০\:মার্কিন\:ডলার।​​

যে কোনো দেশের কৃষি, শিল্প, সেবাসহ যাবতীয় উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের আয় বৃদ্ধি করা। জনগণের আয় বৃদ্ধি পেলে জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পায় এবং দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির ফলে ধীবে ধীরে জীবনসন্ত্রার মান বৃদ্ধি পান্ডে। ২০১০ সালে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল ৯২৮ মার্কিন ডলার; যা ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে এসে দাঁড়িয়েছে ২৭৮৪ মার্কিন ডলারে।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ