- হোম
- একাডেমি
- মাদরাসা
- নবম-দশম শ্রেণি
- হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মদিনা জীবন
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মদিনা জীবন
মদিনার অধিবাসী ও সনদ
হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মদিনায় আগমনের পূর্বে মদিনার সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় ছিল। মদিনায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার মত কোন কেন্দ্রীয় সরকার ছিল না। এ সময় আউস ও খাযরাজ নামে মদিনার দুটি গোত্র পরস্পর হিংসাত্মক কলহ-বিবাদে লিপ্ত ছিল। মদিনায় বসবাসরত ইহুদিগণ তখন তিনটি শাখায় বিভক্ত ছিল (১) বানু কাইনুকা (২) বানু নাজির ও (৩) বানু কুরাইযা। তাদের স্বার্থপরতা ও চক্রান্তের ফলে মদিনার অন্যান্য অধিবাসী উদ্বেগ ও সংশয়ের মধ্যে দিনাতিপাত করত। এরূপ অবস্থায় হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মদিনায় আগমনকে মদিনাবাসী আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। হযরত মুহাম্মদ (স.) এর নেতৃত্বে তারা সাম্য ও ভ্রাতৃত্বের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন জীবন লাভ করে। বিশৃঙ্খলা ও অশান্তির পরিবর্তে মদিনায় শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রাথমিক কার্যাবলি: হযরত মুহাম্মদ (স.) ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মক্কা হতে মদিনায় হিজরত করলে ইসলামের ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা হয়। তিনি মদিনায় মসজিদে নববি নামে ইসলামের প্রথম মসজিদ স্থাপন করেন। এর নির্মাণ কাজে তিনি অন্যান্য মুসলমানদের সাথে কাজ করেন। এখানে তিনি ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যাবলি সম্পাদন করতেন এবং সপরিবারে বসবাস করতেন।
মহানবি (স.) মক্কা থেকে হিজরতকারী মুসলমানদের 'মুহাজিরিন' এবং আশ্রয় দানকারী মদিনার মুসলমানদের "আনসার" অর্থ সাহায্যকারীরূপে অভিহিত করেন। মদিনায় তখন পাঁচ শ্রেণির অধিবাসী ছিল। যথা মুহাজিরিন, আনসার, ইহুদি, খ্রিস্টান ও মুশরিক। এ সময় স্বার্থ হাসিলের জন্য অনেকে ইসলাম গ্রহণ করলেও মনেপ্রাণে তারা হযরত মুহাম্মদ (স.) কে গ্রহণ করতে পারেনি। সংকটময় মুহূর্তে তারা তাঁর বিরোধিতা করত। সেজন্য তাদের মুনাফিক (বহুবচনে 'মুনাফিকিন') বলা হত। মদিনা জীবনের প্রাথমিক অবস্থায় হযরত মুহাম্মদ (স.) তাদের কারণে অনেক বিপদের সম্মুখীন হয়েছিলেন এবং তিনি অত্যন্ত কৌশলে তাদের মোকাবিলা করেন। এ দলের নেতা ছিলেন আবদুল্লাহ ইবন উবাই ইবনু সালুল।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ
