- হোম
- একাডেমি
- মাদরাসা
- নবম-দশম শ্রেণি
- হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মদিনা জীবন
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মদিনা জীবন
মুসলমানদের সাময়িক বিপর্যয়ের কারণ
উহুদের যুদ্ধে কুরাইশদের সৈন্য সংখ্যা মুসলমানদের তিনগুণ ছিল। কিন্তু বিধর্মীদের সংখ্যাধিক্য যে মুসলমানদের পরাজয়ের কারণ হতে পারে না, ইতোপূর্বে বদর যুদ্ধেই তা প্রমাণিত হয়েছে। তাই এ যুদ্ধে মুসলমানদের সাময়িক পরাজয়ের কারণ অন্যবিধ ছিল।
নেতার আদেশ অমান্য ও শৃঙ্খলার অভাবঃ উহ্রদের যুদ্ধে মুসলমান সৈন্যগণ তাঁদের নেতার আদেশ যথাযথভাবে পালন করেনি। রাসুলুল্লাহর নির্দেশ ছিল "জয় অথবা পরাজয় কোন অবস্থাতেই মুসলিম তীরন্দাজ বাহিনী যেন গিরিপথ অতিক্রম না করে।" কিন্তু বিজয় নিজেদের করায়ত্ত মনে করে মুসলিম বাহিনী উপরিউক্ত আদেশ লঙ্ঘন করায় তাঁদের মধ্যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। সে সুযোগে শত্রুপক্ষ তাদের আক্রমণ করে। নেতার আদেশ লঙ্ঘন ও শৃঙ্খলার অভাবই ছিল উহ্রদের যুদ্ধে মুসলমানদের পরাজয়ের প্রধান কারণ।
হযরত মুহাম্মদ (স.) নিহত হওয়ার গুজব: যুদ্ধে হযরত মুহাম্মদ (স.) নিহত হয়েছেন এমন একটি গুজব উঠলে মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে। প্রকৃপক্ষে ব্যাপারটি ছিল যুদ্ধে হযরত মুসআব (রা.) শাহাদাত বরণ করেছিলেন। হযরত মুহাম্মদ (স.) এর সাথে তাঁর চেহারার সাদৃশ্য ছিল।
কর্তব্যে অবহেলা: বিজয় অবশ্যম্ভাবী মনে করে মুসলিম বাহিনী বিপুল উৎসাহে সামরিক আদর্শ রক্ষার পরিবর্তে শত্রুদের ধন-সম্পদ সংগ্রহে লিপ্ত হয়ে পড়ে। তাদের এই কর্তব্য জ্ঞান অপেক্ষা গণিমত লাভ প্রবল হয়ে দেখা দেয়। তাঁরা যদি তাঁদের নিজ নিজ স্থানে দৃঢ় থাকতেন, তাহলে খালিদ বিন ওয়ালিদ পশ্চাৎভাগ হতে মুসলমানদের আক্রমণ করার সুযোগ পেত না।
খালিদের রণকৌশল: মহাবীর খালিদের রণদক্ষতা ও চাতুর্য শত্রুপক্ষের সাময়িক বিজয়কে সম্ব করেছিল। মুসলিম সেনাদল যখন যুদ্ধক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সস্থান ত্যাগ করে গনিমাত সংগ্রহে ব্যস্ত, ঠিক সে মুহূর্তে বীরশ্রেষ্ঠ খালিদ বিন ওয়ালিদ তাদের উপর মরণপন আক্রমণ চালায়। ফলে মুসলিম সেনাদল ছত্রভঙ্গ হয়ে যুদ্ধক্ষেত্র হতে পলায়ন করে।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ
