- হোম
- একাডেমি
- মাদরাসা
- নবম-দশম শ্রেণি
- হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মদিনা জীবন
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মদিনা জীবন
খন্দক যুদ্ধের ফলাফল
ইসলামের ইতিহাসে খন্দক যুদ্ধের ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
প্রথমত: ত্রি-শক্তির পরাজয়: বদরের যুদ্ধের মতো পরিখার যুদ্ধও ইসলামের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় যুগান্তকারী ঘটনা। উহ্রদের যুদ্ধে কুরাইশরা যেরূপ বদরের বিপর্যয়ের প্রতিশোধ গ্রহণ করে তদ্রুপ উহ্রদের পরাজয়ের গ্লানিকে মুসলমানগণ পরিখার যুদ্ধে মোচনের চেষ্টা করে। বদরের যুদ্ধ অপেক্ষা পরিখার যুদ্ধের গুরুত্ব কোন অংশে কম নহে। কারণ বদরের প্রান্তরে মক্কার পাপিষ্ঠ কুরাইশদের পরাজিত করে ইসলামকে মদিনায় সুপ্রতিষ্ঠিত করা হয়। অপরদিকে পরিখার যুদ্ধে বেদুইন, ইহুদি ও বির্ধমী কুরাইশদের সম্মিলিত শক্তিকে ধবংস করা হয়। এস, এম, ইমাম উদ্দিনের মতে, "এ সম্মিলিত বাহিনী (আহযাব) ভাঙ্গনের ফলে মক্কাবাসিদের সম্পূর্ণ পরাজয় প্রতিভাত হয়ে ওঠে এবং মদিনায় মুসলিম রাষ্ট্রের ভিত্তিমূল সুদৃঢ় করে। অল্প সময়ের মধ্যে ইসলাম সমগ্র আরবে তথা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে বিস্তৃতি লাভ করে।"
দ্বিতীয়ত: শৃঙ্খলা ও বিশ্বাসের বিজয়: পরিখার যুদ্ধের গুরুত্ব বিচার করে জোসেফ হেল বলেন, "পরিখার যুদ্ধের ফলাফল ছিল সংখ্যাধিক্য শক্তির উপর শৃঙ্খলা ও একতার নব বিজয়।" এর ফলে ইসলামের মর্যাদা বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়। উত্তুদের যুদ্ধে যে কারণে মুসলমাণ গণ পরাজয় বরণ করে এর পুনরাবৃত্তি হলে পরিখার যুদ্ধে ইসলাম ধ্বংসপ্রাপ্ত হত। আল্লাহর প্রতি অবিচল বিশ্বাস, একতা, শৃঙ্খলা ও আত্মোৎসর্গের পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে হযরত মুহাম্মদ (স.) এর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব মুসলমানগণ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে বিজয় সুনিশ্চিত করেন।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ
