• হোম
  • একাডেমি
  • মাদরাসা
  • নবম-দশম শ্রেণি
  • হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মদিনা জীবন
হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মদিনা জীবন

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

হযরত মুহাম্মদ (স.) এর মদিনা জীবন

খ্রিষ্টানদের সঙ্গে সম্পর্ক

ইসলামের প্রথম যুগে খ্রিস্টানদের সঙ্গে মুসলমানদের সম্ভাব ছিল। হযরত মুহাম্মদ (স.) খ্রিষ্টান আবিসিনীয় সম্রাট নাজ্জাসির সহৃদয়তার কথা বিস্তৃত হননি। কারণ তিনি তার রাজ্যে হিজরতকারী মুসলমানদের আশ্রয় দান করেন। মদিনায় হিজরত করার পর স্থানীয় খ্রিষ্টানগণ হযরতের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করত এবং মুসলমানদের সঙ্গে বন্ধুত্ব রক্ষা করে চলত। খ্রিষ্টানদের সহৃদয়তা ও বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবে প্রীত হয়ে হযরত (স.) ষষ্ঠ হিজরিতে সিনাই পাহাড়ের সন্নিকটে সেন্ট ক্যাথরিন মঠের সন্ন্যাসিদের এবং অন্যান্য খ্রিষ্টানদের একটি সনদ প্রদান করেন।

এ সনদে খ্রিষ্টানদের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয় এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধান করা হয়। সনদের শর্তভঙ্গকারী মুসলমানদের কঠোর শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। খ্রিষ্টানদের জীবন ও ধন সম্পত্তি রক্ষার ভার হযরত মুহাম্মদ (স.) স্বয়ং গ্রহণ করেন। এ সনদের মাধ্যমে তিনি নিজে এবং মুসলিম জাতি খ্রিষ্টানদের বাসস্থান, মঠ, গির্জা এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষা ও প্রয়োজনীয় সাহায্য দানের প্রতিশ্রুতি দেন। অতিরিক্ত কর আদায়, স্বধর্ম ত্যাগে বাধ্যকরণ, ধর্মযাজকের পদ হতে বহিষ্কার, গির্জা ধ্বংস করে মসজিদ অথবা মুসলমানদের গৃহ নির্মাণ নিষিদ্ধ করা হয়। নির্বিঘ্নে তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করার পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করা হয়। ধর্মান্তরিত না হয়েও খ্রিস্টান মহিলাদের মুসলমানকে বিবাহ করার অধিকার প্রদান করা হয়। আরবের বাইরে বসবাসকারী খ্রিষ্টানদের সাথে মুসলমানদের বিরোধ সংঘটিত হলে আরবের খ্রিস্টানদের উপর কোন অত্যাচার করা হবে না বলে নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়। সৈয়দ আমীর আলী বলেন, খ্রিষ্টানদের প্রতি হযরত মুহাম্মদ (স.) যে উদারতা, মহানুভবতা ও সহৃদয়তার পরিচয় এ সনদে প্রদান করেন, তা অসাধারণ সহিষ্ণুতার অত্যুৎকৃষ্ট কীর্তিস্তম্ভ স্বরূপ। বস্তুতপক্ষে, হযরত মুহাম্মদ (স.) কর্তৃক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে প্রদত্ত সনদ পরধর্মের প্রতি তার সীমাহীন সহনশীলতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ