• হোম
  • একাডেমি
  • মাদরাসা
  • নবম-দশম শ্রেণি
  • বাংলাদেশে ইসলাম
বাংলাদেশে ইসলাম

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

বাংলাদেশে ইসলাম

বাংলাদেশে ইসলাম

পূর্বকথা: আল্লাহর প্রেরিত বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের মধ্যে মানব সভ্যতার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে যে বিক্ষিপ্ত আলোচনা রয়েছে তা সামঞ্জস্যবিহীন নয়। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থের মধ্যকার আলোচনায় আমরা জানতে পারি যে মানবজাতির আদি পুরুষ হযরত আদম (আ.)। তিনি বেহেশত হতে ভারত উপমহাদেশের সর্ব দক্ষিণে অবস্থিত সিংহলে অবতরণ করে এশিয়ার পশ্চিামাঞ্চলের দিকে অগ্রসর হয়ে প্রাচীন সভ্যতার কেন্দ্রভূমি আরব উপ-দ্বীপে বসতি স্থাপন করেন। পবরর্তীকালে তাঁরই বংশধরদের দ্বারা পৃথিবীতে মানবজাতি ও বিভিন্ন সভ্যতার বিস্তার ও প্রসার লাভ করে।

তাই একথা স্বীকৃত যে হযরত আদম (আ) ছিলেন প্রথম মানুষ ও আল্লাহর মনোনীত প্রথম নবি। মহা গ্রন্থ কুরআনের বর্ণনায় জানা যায়, মানব সভ্যতার প্রতি স্তরে আল্লাহ তাআলা সংশ্লিষ্ট যুগ ও অঞ্চলের উপযোগী নবি পাঠাতেন। নবিগণ মানুষের সাথে আল্লাহর সম্পর্ককে ভিত্তি করে বিভিন্ন সভ্যতা গড়ে তোলেন। এভাবে গঠিত সভ্যতায় দুটি সুস্পষ্ট ধারা লক্ষ্য করা যায়। একটি ধারা গড়ে উঠে নবিগণের শিক্ষা ও প্রচারের ভিত্তিতে, যাকে আমরা তৌহিদবাদ বলে থাকি। আর দ্বিতীয় ধারাটি হচ্ছে নবিগণের শিক্ষা ও প্রচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহাত্মক ধারা। তাকে কুফর বা শিরকবাদ বলা হয়।

সভ্যতা সৃষ্টির এই ধারায় হাজার বছর ব্যাপী মানবজাতি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে বসতি স্থাপন করে। এক্ষেত্রে লক্ষাধিক নবির প্রচেষ্টা ও সাধনায় মানব সভ্যতা ও সংস্কৃতির উন্নতি ও অগ্রগতি লাভ করে হাজার হাজার বছরের নানাবিধ কার্যধারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। তাছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নানাবিধ উন্নতি সাধিত হয়। এ অবস্থায় সারা বিশ্বে মানব সভ্যতা ও সংস্কৃতির সুষ্ঠ বিকাশে একজন মহান সংগঠকের প্রয়োজন দেখা দিলে আল্লাহ তায়ালা শেষ নবি হযরত মুহাম্মদ (স.) কে প্রেরণ করে সেই প্রয়োজনও পূর্ণ করে দেন। হযরত মুহাম্মদ (স.) সমগ্র বিশ্ববাসীকে দান করলেন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। এ জীবন বিধান হচ্ছে আল্লাহর মনোনীত ইসলাম। আরবের তদানীন্তন পৌত্তলিক সাম্রাজ্যে তিনি ইসলামের বাণী ছড়িয়ে দিলেন।

নানা প্রতিকূলতার সাগর পাড়ি দিয়ে শেষ নবি হযরত মুহাম্মদ (স.) এগিয়ে চললেন। একেশ্বরবাদের প্রতি তাঁর আহবানে সাড়া দেবার লোকের অভাব হলো না। সর্বপ্রথম তাঁর আহবানে সাড়াদিলেন তাঁর সহধর্মিনী হযরত খাদীজা (রা.), পিতৃব্যপুত্র কিশোর হযরত আলী (রা), তাঁর গোলাম ও পালকপুত্র হযরত জায়েদ (রা) এবং অন্তরঙ্গ বন্ধু হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা)। এভাবে ইসলামি কাফেলার শক্তি বৃদ্ধি পেয়ে শেষ নবি (স.) এর দাওয়াত গ্রহণকারী মুসলমানদের সংখ্যা বেড়ে যেতে থাকলো দিনের পর দিন।

পূর্ববর্তী

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ