• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • নবম-দশম শ্রেণি
  • তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ও আমাদের বাংলাদেশ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ও আমাদের বাংলাদেশ

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ও আমাদের বাংলাদেশ

সামাজিক যোগাযোগ ও আইসিটি

মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। সমাজে চলাফেরা ও বিকাশের জন্য মানুষে মানুষে যোগাযোগের প্রয়োজন। তবে এখন আইসিটিতে সামাজিক যোগাযোগ বলতে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মানুষে মানুষে মিথস্ক্রিয়াকেই বোঝায়। এর অর্থ হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ যোগাযোগ ও ভাব প্রকাশের জন্য যা কিছু সৃষ্টি, বিনিময় কিংবা আদান-প্রদান করে তাই সামাজিক যোগাযোগ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশের ফলে বর্তমানে এই যোগাযোগ হয়ে পড়েছে সহজ, সাশ্রয়ী এবং অনেক ক্ষেত্রে নিরাপদ। ইন্টারনেটের ব্যবহার, ই-মেইল, মোবাইল ফোন ও মেসেজিং সিস্টেম, ব্লগিং এবং সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মসমূহ ব্যবহার করে বর্তমানে আইসিটিভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ অনেকাংশে সহজ।

ইন্টারনেটে গড়ে উঠেছে অনেক প্ল্যাটফর্ম, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে পরিচিত। যেমন: ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডইন ও ইনস্টাগ্রাম। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি মাধ্যম হলো-ফেসবুক ও টুইটার।

ফেসবুক (www.facebook.com) ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট। ২০০৪ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি মার্ক জুকারবার্গ তার অন্য বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে এটি চালু করেন। বিনামূল্যে যে কেউ ফেসবুকের সদস্য হতে পারে। ব্যবহারকারীগণ বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি প্রকাশ, আদান-প্রদান ও হালনাগাদ করতে পারেন। এছাড়া এতে অডিয়ো ও ভিডিয়ো প্রকাশ করা যায়। ফেসবুকে যেকোনো প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব পেজ যেমন খুলতে পারে, তেমনি সমমনা বন্ধুরা মিলে চালু করতে পারে কোনো গ্রুপ। www.stastica.com এর রিপোর্ট (এপ্রিল ২০২৪) অনুযায়ী বিশ্বে facebook ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩.০৫ বিলিয়ন।

টুইটার (www.twitter.com) বা X: টুইটারও একটি সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। তবে ফেসবুকের সঙ্গে এর একটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। এটিতে ব্যবহারকারীদের সর্বোচ্চ ১৪০ Character-এর মধ্যে তাদের মনোভাব প্রকাশ ও আদান-প্রদান করতে হয়। এজন্য এটিকে মাইক্রোব্লগিংয়ের একটি ওয়েবসাইটও বলা যায়। ১৪০ অক্ষরের এই বার্তাকে বলা হয় টুইট (tweet)। টুইটারের সদস্যদের টুইট বার্তাগুলো তাদের প্রোফাইল পাতায় দেখা যায়। টুইটারের সদস্যরা অন্য সদস্যদের টুইট পড়ার জন্য সে সদস্যকে অনুসরণ বা follow করতে পারেন। কোনো সদস্যকে যারা অনুসরণ করে তাদেরকে বলা হয় follower বা অনুসারী।

ইনস্টাগ্রাম (www.instragram.com): ইনস্টাগ্রাম হলো একটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এটা ২০১০ সালে চালু হয়েছিল। এটাকে মূলত ছবি ও ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়। এতে ব্যবহারকারীগণ গল্প তৈরি করতে এবং হ্যাশট্যাগের (hashtag) মাধ্যমে বিষয়বস্তু অনুসন্ধান করতে পারে। এতে রিল (reels) এবং কেনাকাটার সুযোগও রয়েছে, যার মাধ্যমে ব্র্যান্ড এবং প্রভাবশালীগণ তাদের অনুসারি বা ভিজিটরদের সাথে কার্যকরভাবে জড়িত হতে পারে। এটিকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অন্যতম প্লাটফর্ম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ