• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • নবম-দশম শ্রেণি
  • আইন, স্বাধীনতা ও সাম্য
আইন, স্বাধীনতা ও সাম্য

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

আইন, স্বাধীনতা ও সাম্য

স্বাধীনতা

সাধারণ অর্থে স্বাধীনতা বলতে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী যেকোনো কাজ করাকে বোঝায়। কিন্তু প্রকৃত অর্থে স্বাধীনতা বলতে এ ধরনের অবাধ স্বাধীনতাকে বোঝায় না। কারণ, সীমাহীন স্বাধীনতা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। উদাহরণস্বরূপ, কাউকে ইচ্ছামত সবকিছু করার স্বাধীনতা দিলে সমাজে অন্যদের ক্ষতি হতে পারে যা এক অশান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করবে। তাই পৌরনীতিতে স্বাধীনতা ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। অন্যের কাজে হস্তক্ষেপ বা বাধা সৃষ্টি না করে নিজের ইচ্ছানুযায়ী নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে কাজ করাই হলো স্বাধীনতা। অর্থাৎ স্বাধীনতা হলো এমন সুযোগ-সুবিধা ও পরিবেশ, যেখানে কেউ কারও ক্ষতি না করে সকলেই নিজের অধিকার ভোগ করে। স্বাধীনতা ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশে সহায়তা করে এবং অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে বাধা অপসারণ করে।

স্বাধীনতার বিভিন্ন রূপ

স্বাধীনতা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমন- ১। ব্যক্তি স্বাধীনতা, ২। সামাজিক স্বাধীনতা, ৩। রাজনৈতিক স্বাধীনতা, ৪। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ও ৫। জাতীয় স্বাধীনতা।

১. ব্যক্তি স্বাধীনতা: ব্যক্তি স্বাধীনতা বলতে এমন স্বাধীনতাকে বোঝার, যে স্বাধীনতা ভোগ করলে অন্যের কোনো ক্ষতি হয় না। যেমন- ধর্মচর্চা করা ও পারিবারিক গোপনীয়তা রক্ষা করা। এ ধরনের স্বাধীনতা ব্যক্তির একান্ত নিজস্ব বিষয়।

২. সামাজিক স্বাধীনতা জীবন রক্ষা, সম্পত্তি ভোগ ও বৈধ পেশা গ্রহণ করা সামাজিক স্বাধীনতার অন্তর্ভুক্ত। এ ধরনের স্বাধীনতা ভোগের মাধ্যমে নাগরিক জীবন বিকশিত হয়। সমাজে বসবাসকারী মানুষের অধিকার রক্ষার জন্যই সামাজিক স্বাধীনতা প্রয়োজন। এই স্বাধীনতা এমনভাবে ভোগ করতে হয় যেন অন্যের অনুরূপ স্বাধীনতা ক্ষুন্ন না হয়।

৩. রাজনৈতিক স্বাধীনতা ভোটদান, নির্বাচিত হওয়া, বিদেশে অবস্থানকালীন নিরাপত্তা লাভ ইত্যাদি নাগরিকের রাজনৈতিক স্বাধীনতা। এসব স্বাধীনতার মাধ্যমে ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় শাসনকাজে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনৈতিক স্বাধীনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

8. অর্থনৈতিক স্বাধীনতা যোগ্যতা অনুযায়ী পেশা গ্রহণ এবং উপযুক্ত পারিশ্রমিক লাভ করাকে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বলা হয়। মূলত আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির জন্য নাগরিকরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ভোগ করে। এই স্বাধীনতা না থাকলে অন্যান্য স্বাধীনতা ভোগ করা যায় না। সমাজের অন্য শ্রেণির শোষণ থেকে মুক্ত থাকার জন্য অর্থনৈতিক স্বাধীনতা প্রয়োজন।

৫. জাতীয় স্বাধীনতা: বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র এবং অন্য রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত। বাংলাদেশের এই অবস্থানকে জাতীয় স্বাধীনতা বা রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা বলে। এই স্বাধীনতার ফলে একটি রাষ্ট্র অন্য রাষ্ট্রের কর্তৃত্বমুক্ত থাকে। প্রত্যেক স্বাধীন রাষ্ট্র জাতীয় স্বাধীনতা ভোগ করে।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ