- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- নবম-দশম শ্রেণি
- নাগরিক সমস্যা ও আমাদের করণীয়
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
নাগরিক সমস্যা ও আমাদের করণীয়
সন্ত্রাসের কারণ
সন্ত্রাসের কারণ: সন্ত্রাস দুটি কারণে সংঘটিত হয়, ক) সাধারণ কারণ, খ) বহিঃস্থ কারণ।
সাধারণ কারণ
অর্থনৈতিক বৈষম্য
কোনো সমাজে সম্পদের অসম বণ্টন থাকলে একশ্রেণির লোক অধিক ধনী হয় এবং অন্য শ্রেণি অধিকতর দরিদ্র হয়। এ অবস্থা বঞ্চিতদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। এছাড়া বেকারত্ব আমাদের দেশে একটি সামাজিক ব্যাধি। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সমাজের কর্মক্ষম যুবসমাজের উপর। এর ফলে যুবসমাজ অনৈতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে নিজেদের ভাগ্য নির্মাণে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে উদ্বুদ্ধ হয়।
সংকীর্ণ রাজনৈতিক সংস্কৃতি
একটি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে যদি রাজনীতি হয় ব্যক্তিস্বার্থ ও দলীয় স্বার্থ উদ্ধারের হাতিয়ার, তাহলে সেই রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সন্ত্রাসের জন্ম অস্বাভাবিক নয়। কারণ, ব্যক্তিস্বার্থ আদায়ের জন্যই সন্ত্রাসীদেরকে লালন-পালন করতে হয়।
সুশাসনের অভাব
অপরাধীকে খুঁজে বের করে শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের দায়িত্ব। কিন্তু প্রশাসনিক দুর্বলতা এবং রাজনৈতিক চাপের কারণে প্রশাসন অনেক সময় নীরব ভূমিকা পালন করে। এছাড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে। যেমন দুর্বল প্রশিক্ষণ, পুরনো অস্ত্র, পুলিশ ও জনসংখ্যার ভারসাম্যহীন অনুপাত ও আধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জামের স্বল্পতা সন্ত্রাস দমনে আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার ভূমিকাকে দুর্বল করে। এসব কারণে অনেক দুর্বল সন্ত্রাসীরাও শক্তি প্রদর্শনে সক্ষম হয়। তাছাড়া উন্নত প্রশিক্ষণ না পাওয়ার কারণে অনেক সময় বিদ্যমান গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দ্বারা সমকালীন সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা করা সম্ভব হয় না।
বহিঃস্থ কারণ
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যেমন অভ্যন্তরীণ ঘটনাপ্রবাহ কাজ করে, তেমনি এর পিছনে বাইরের প্রভাবও থাকতে পারে। অবৈধ অস্ত্রের জোগান, অবৈধ অস্ত্রের সহজলভ্যতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পিছনে কাজ করে বলে ধারণা করা হয়।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ