- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- নবম-দশম শ্রেণি
- নাগরিক সমস্যা ও আমাদের করণীয়
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
নাগরিক সমস্যা ও আমাদের করণীয়
সন্ত্রাস প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়
বাংলাদেশে সন্ত্রাস একটি সামাজিক ব্যাধি। একে যেমন প্রতিরোধ করা যায়, তেমনি নিরাময়ও করা যেতে পারে। সন্ত্রাস যাতে জন্ম নিতে না পারে এবং সন্ত্রাসীরা যাতে নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে না পারে সে জন্য নিম্নোক্ত ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা আবশ্যক।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের প্রয়োগ সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে। রাজনৈতিক বা অন্য যেকোনো উদ্দেশ্যে সংঘটিত সন্ত্রাস দমনের জন্য চরম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কমে আসবে।
পুলিশ প্রশাসনের পুনর্গঠন : সন্ত্রাস প্রতিরোধের জন্য পুলিশ বাহিনীকে আধুনিক অস্ত্রে ও যন্ত্রপাতিতে সজ্জিত করতে হবে এবং যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাছাড়া আমাদের দেশে পুলিশ ও জনসংখ্যার অনুপাতে ব্যাপক ব্যবধান বিদ্যমান। এখানে প্রায় ৮০০ মানুষের জন্য একজন পুলিশ সদস্য। এ অবস্থার নিরসন হওয়া বাঞ্ছনীয়। পুলিশের সংখ্যা, পুলিশ ফাঁড়ি, থানার সংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও বেকার ভাতা প্রদান : দেশে কুটির শিল্প, বৃহদায়তন শিল্প ও কলকারখানা স্থাপন, সকল ক্ষেত্রে শূন্যপদ পূরণ ও নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। বেকারত্ব দূরীকরণ সম্ভব হলে সন্ত্রাসী কর্মতৎপরতা অনেকাংশে হ্রাস পাবে। বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য অগ্রসর দেশের মতো না হলেও ন্যূনতম জীবনমান বজায় রাখার মতো বেকার ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা দরকার। সামাজিক নিরাপত্তা হিসেবে বেকার ভাতা উত্তম ব্যবস্থা।
সর্বজনীন শিক্ষা ও মূল্যবোধের জাগরণ : সবার জন্য শিক্ষার সুযোগের মাধ্যমে নাগরিকদের মধ্যে সামাজিক ও নৈতিক বোধ জাগ্রত করতে হবে। এ উদ্দেশ্যে বিদ্যালয় এবং বিভিন্ন শিক্ষা কর্মসূচিতে নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা যায়। এতে সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপ প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্ভব হবে।
রাজনৈতিক দলে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় না দেওয়া : রাজনৈতিক দলে কোনো সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দেওয়া যাবে না। কোনো দল সন্ত্রাসীদের মদদ দিলে বা আশ্রয় দিলে সে দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে হবে। এমন দলের কোনো সদস্যকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না, এ মর্মে সংসদে আইন তৈরি করতে পারে।
প্রশাসনিক কঠোরতা: সন্ত্রাস দমন, ঘুষ ও দুর্নীতি বন্ধ, স্বজনপ্রীতি রোধ এবং কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে পুলিশ প্রশাসন ও সাধারণ প্রশাসন যাতে কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
গণসচেতনতা: জনগণের সচেতন প্রতিরোধ সন্ত্রাস দমনে খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। জনগণ সচেতনভাবে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার ও সংঘবদ্ধ হলে সন্ত্রাস বহুলাংশে হ্রাস পাবে।
নাগরিক হিসেবে আমাদের করণীয়
নাগরিক হিসেবে আমরা সন্ত্রাসী তৎপরতা সম্পর্কে সচেতন থাকব। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের খারাপ দিকগুলো সম্পর্কেও আমরা জানব। সন্ত্রাসী তৎপরতা রোধে আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করব। সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ মেনে চলব।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ