• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • নবম-দশম শ্রেণি
  • বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন
বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন

বাংলাদেশ ও কমনওয়েলথ

স্বাধীনতা লাভের পরপরই ১৯৭২ সালের ১৮ই এপ্রিল বাংলাদেশ কমনওয়েলথের সদস্যপদ লাভ করে। বাংলাদেশ সৃষ্টির শুরু থেকেই কমনওয়েলথের সাথে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। বিশেষ করে, কমনওয়েলথের মূল উদ্যোক্তা যুক্তরাজ্যের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিটেনের প্রচারমাধ্যমগুলো বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টি করেছিল। ব্রিটেন ছিল বহির্বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে প্রচারকার্য পরিচালনা করার প্রধান কেন্দ্র। সেখানে গঠন করা হয়েছিল বাংলাদেশের জন্য সাহায্য তহবিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কমনওয়েলথভুক্ত অন্যান্য দেশও বিভিন্নভাবে বাংলাদেশকে সাহায্য-সহযোগিতা করেছিল।

কমনওয়েলথভুক্ত আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি লোককে আশ্রয় ও খাদ্য দিয়েছে। অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্র ঔষধ, খাদ্য, বস্ত্র ইত্যাদি দিয়ে বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে। বাংলাদেশের প্রতি উদার মনোভাব ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে স্বাধীনতার পর পর বাংলাদেশ কমনওয়েলথের সদস্যপদ পায়। এর প্রতিবাদে পাকিস্তান কমনওয়েলথ থেকে সদস্যপদ প্রত্যাহার করে নেয়। কমনওয়েলথ ও এর সদস্য দেশগুলোর সহায়তায় বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়।

বাংলাদেশ কমনওয়েলথের একনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে এর প্রতিটি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে। কমনওয়েলথের নীতি ও কার্যক্রম বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করে। কমনওয়েলথের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ কলম্বো পরিকল্পনার সদস্য। এর ফলে বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থী কমনওয়েলথ বৃত্তি নিয়ে কমনওয়েলথভুক্ত বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায়।
কমনওয়েলথ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। এটি বিশ্বে শান্তি ও সমৃদ্ধি রক্ষায় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং বিশ্ব থেকে বর্ণবৈষম্য ও ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূরীকরণে কাজ করছে।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ