• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • নবম-দশম শ্রেণি
  • মূলধন ব্যয়
মূলধন ব্যয়

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

মূলধন ব্যয়

সংরক্ষিত আয়ের ব্যয়

কোম্পানির অর্থায়নের অন্যতম একটি উৎস হচ্ছে সংরক্ষিত আয়। কোম্পানি প্রতিবছর যে পরিমাণ টাকা মুনাফা হিসেবে অর্জন করে, সেটির পুরোটা শেয়ার মালিকদের মধ্যে লভ্যাংশ হিসেবে বণ্টন না করে কিছু অংশ প্রতিষ্ঠানে রেখে দেয়।

উদাহরণস্বরূপ, একটি কোম্পানি কোনো বছরে ৫০ লক্ষ টাকা মুনাফা করলে এবং উক্ত মুনাফা থেকে ২৫ লক্ষ টাকা ব্যবসায়ে রেখে দিলে ২৫ লক্ষ টাকা ব্যবসায়ের সংরক্ষিত আয় হিসেবে গণ্য হবে। এভাবে সংরক্ষিত আয় থেকে পরবর্তীতে বিভিন্ন বিনিয়োগ সুযোগ বা প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থায়নের ব্যবস্থা করা হয়। সংরক্ষিত আয় থেকে অর্থায়ন করা হয় বলে অনেকের কাছে মনে হতে পারে যে সংরক্ষিত আয়ের কোনো ব্যয় নেই। কিন্তু এ ধারণাটি ভুল। কারণ, এ সংরক্ষিত আয়ের আপাতদৃষ্টিতে বাহ্যিক কোনো ব্যয় না থাকলেও এর একটি সুযোগ-ব্যয় রয়েছে।

সংরক্ষিত আয়ের সুযোগ ব্যয় বোঝার আগে সুযোগ-ব্যয়ের সাধারণ ধারণা বোঝা দরকার। মনে করো, তোমার বাবার কোনো একটি ব্যাংকে ১০ লক্ষ টাকা জমা আছে। তোমার ভাইয়া তোমার বাবাকে একদিন বলল, বাবা, তোমার একাউন্টে যে ১০ লক্ষ টাকা পড়ে আছে, সেটা আমাকে দাও, আমি ব্যবসা করব। তোমার ভাইয়ার এ কথাটি ঠিক নয়। কারণ টাকাটা আসলে অলস পড়ে নেই, ব্যাংক এই ১০ লক্ষ টাকার উপর একটি নির্দিষ্ট হারে সুদ প্রদান করবে। ফলে তোমার বাবা যদি তোমার ভাইয়াকে টাকাটা দিয়ে দেন, তাহলে সুদ বাবদ যে আয় হতো, সেটা পাবেন না। ফলে সুদ বাবদ আয় না পাওয়াটা তোমার ভাইয়াকে ব্যবসায়ের কাজে টাকা দেওয়ার একটি সুযোগ-ব্যয়।

অনুরূপভাবে কোম্পানির আয় শেয়ার মালিকদের মধ্যে বণ্টন না করে রেখে দিলে শেয়ার মালিকদের দৃষ্টিকোণ থেকে এর একটি সুযোগ-ব্যয় থাকে। কোম্পানির অর্জিত মুনাফা কোম্পানিতে সংরক্ষিত আয় হিসেবে না রেখে শেয়ার মালিকদের মধ্যে বণ্টন করলে শেয়ার মালিকরা সেই অর্থ অন্যত্র বিনিয়োগ করে অতিরিক্ত আয় করতে পারত। ফলে কোম্পানি অর্জিত মুনাফা বা আয় বণ্টন না করলে শেয়ার মালিকরা উক্ত অর্থের অন্যত্র বিনিয়োগে প্রাপ্ত আয় থেকে বঞ্চিত হয়। এখানে অর্থের অন্যত্র বিনিয়োগে প্রাপ্ত আয় থেকে বঞ্চিত হওয়াটাকে সংরক্ষিত আয়ের সুযোগ-ব্যয় হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, কোনো কোম্পানি অর্জিত মুনাফার পুরোটাই শেয়ার মালিকদের মধ্যে বণ্টন করলে এবং শেয়ার মালিকরা সেই অর্থ অন্যত্র বিনিয়োগ করে ১৫ শতাংশ হারে আয় করতে পারলে ১৫ শতাংশ হবে কোম্পানির সংরক্ষিত আয়ের সুযোগ-ব্যয়।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ