- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- নবম-দশম শ্রেণি
- বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাণিজ্যিক ব্যাংকের আয়ের উৎসসমূহ
বাণিজ্যিক ব্যাংক তার ব্যবসায় হতে বিভিন্নভাবে আয় করে থাকে, যা নিম্নে বর্ণনা করা হলো:
১. ঋণের সুদ: বাণিজ্যিক ব্যাংক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভোক্তাদের ঋণ দেয় এবং এই ঋণের বিপরীতে সুদ গ্রহণ করে থাকে, যা তাদের আয়ের প্রধান উৎস।
২. বিনিয়োগ বাণিজ্যিক ব্যাংক শেয়ার, ঋণপত্র, সরকারি সিকিউরিটি ইত্যাদি লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করেও মুনাফা অর্জন করে থাকে।
৩. বিল বাট্টাকরণ: মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পূর্বে বাণিজ্যিক ব্যাংক ব্যবসায়ীদের প্রাপ্য বিনিময় বিল বাট্টা করেও অর্থ উপার্জন করে থাকে।
৪. ব্যাংক ড্রাফট, ট্রাভেলারস চেক থেকে প্রাপ্ত কমিশন: ব্যাংক ড্রাফট, ট্রাভেলারস চেক থেকে কমিশন হিসেবে প্রচুর আয় করে থাকে।
৫. যোগাযোগ: বাণিজ্যিক ব্যাংক মক্কেলের অনুরোধে বিভিন্ন যোগাযোগ (Correspondence) সেবা প্রদান করে কমিশনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে থাকে।
৬. লকার ভাড়া: জনগণ তাদের মূল্যবান দলিল, গহনা ইত্যাদি ব্যাংকের লকারে জমা রাখতে পারে। যার বিপরীতে বাণিজ্যিক ব্যাংক সার্ভিস চার্জ আদায় করে থাকে।
৭. প্রতিনিধিত্ব: বাণিজ্যিক ব্যাংক মক্কেলের পক্ষে বিভিন্ন প্রকার প্রতিনিধিত্বমূলক (Agency Service) লেনদেন করে থাকে। যেমন চেক বা বিলের অর্থ আদায় বা পরিশোধ ইত্যাদি। এসব কাজের জন্য ব্যাংক কমিশন আদায় করে, যা তাদের আয়ের উৎস হিসাবে কাজ করে।
৮. শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ে মধ্যস্থতা শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে ব্যাংক আয় করে থাকে।
৯. বৈদেশিক বিনিময়: বৈদেশিক মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করে বাণিজ্যিক ব্যাংক মুনাফা অর্জন করে থাকে।
১০. আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বৈদেশিক বাণিজ্যে ও লেনদেন নিষ্পত্তিতে ভূমিকা পালন করে কমিশন বা সার্ভিস চার্জ হিসেবেও বাণিজ্যিক ব্যাংক তার আয়ের একটি অংশ অর্জন করে থাকে।
১১. প্রত্যয়পত্র: আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আমদানিকারকদের প্রত্যয়পত্র (Letter of Credit) ইস্যু করে বাণিজ্যিক ব্যাংক কমিশন আদায় করে থাকে।
১২. অছি: অছি (Trustee) হিসেবে কাজ করেও ব্যাংক কমিশন আদায় করে থাকে।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ