- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- নবম-দশম শ্রেণি
- ইতিহাস পরিচিতি
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ইতিহাস পরিচিতি
ইতিহাসের উপাদান
যেসব তথ্য-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ঐতিহাসিক সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব, তাকেই ইতিহাসের উপাদান বলা হয়। ইতিহাসের উপাদানকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা: লিখিত উপাদান ও অলিখিত উপাদান।
লিখিত উপাদান
ইতিহাস রচনার লিখিত উপাদানের মধ্যে রয়েছে সাহিত্য, বৈদেশিক বিবরণ, দলিলপত্র ইত্যাদি। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সাহিত্যকর্মেও তৎকালীন সময়ের কিছু তথ্য পাওয়া যায়। যেমন: বেদ, কৌটিল্যের 'অর্থশাস্ত্র', কলহনের 'রাজতরঙ্গিনী', মিনহাজ-উস-সিরাজের 'তবকাত-ই-নাসিরী', আবুল ফজল-এর 'আইন-ই-আকবরী' ইত্যাদি।
বিদেশি পর্যটকদের বিবরণ সব সময়ই ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বলে বিবেচিত হয়েছে। যেমন- পঞ্চম থেকে সপ্তম শতকে বাংলায় আগত চৈনিক পরিব্রাজক যথাক্রমে ফা-হিয়েন, হিউয়েন সাং ও ইৎসিং-এর বর্ণনা। পরবর্তী সময়ে আফ্রিকান পরিব্রাজক ইবনে বতুতাসহ অন্যদের লেখাতেও এ অঞ্চল সম্পর্কে বিবরণ পাওয়া গিয়েছে। এসব বর্ণনা থেকে তৎকালীন সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি, ধর্ম, আচার-অনুষ্ঠান সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যায়।
সাহিত্য উপাদান
- জীবনী গ্রন্থ: সন্ধ্যাকর নন্দীর- 'রামচরিত', বানভট্টের 'হর্ষ চরিত' চর্যাপদ, মঙ্গল কাব্য ইত্যাদি
- দেশীয় সাহিত্য: কলহনের 'রাজতরঙ্গিনী', কালিদাসের 'মেঘদূত' ইত্যাদি।
- বিদেশি পর্যটকদের বিবরণী: মেগাস্থিনিসের 'ইণ্ডিকা', ফা-হিয়েনের 'ফো-কুয়ো-কি'; হিউয়েন সাং-এর 'সি-ইউ-কি' ইবনে বতুতার 'রিহালা' ইত্যাদি।
- প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ: রামায়ণ, মহাভারত, জাতক, পুরাণ ইত্যাদি।
- অন্যান্য: প্রাচীন পাণ্ডুলিপি, সন্ধি-চুক্তি, কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র, ফেরদৌসীর শাহনামা ইত্যাদি।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ