- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- অষ্টম শ্রেণি
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নিরাপদ ও নৈতিক ব্যবহার
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নিরাপদ ও নৈতিক ব্যবহার
ম্যালওয়্যার থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার উপায়
বিশেষ ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যবহার করে ভাইরাস, ওয়ার্ম কিংবা ট্রোজান হর্স ইত্যাদি থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যায়। এগুলোকে বলা হয় এন্টি-ভাইরাস বা এন্টি-ম্যালওয়্যার সফটওয়্যার। বেশিরভাগ এন্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার বিভিন্ন ম্যালওয়্যারের বিরুদ্ধে কার্যকরী হলেও প্রথম থেকে এন্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার নামে পরিচিত। বাজারে প্রচলিত প্রায় সকল এন্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার ভাইরাস ভিন্ন অন্যান্য ম্যালওয়্যারের বিরুদ্ধে কার্যকরী। সকল ভাইরাস প্রোগ্রামের কিছু সুনির্দিষ্ট ধরন বা প্যাটার্ন রয়েছে। এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার এই সকল প্যাটার্নের একটি তালিকা সংরক্ষণ করে। সাধারণত গবেষণা করে এই তালিকা তৈরি করা হয়। যখন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারকে কাজ করতে দেওয়া হয়, তখন সেটি কম্পিউটার সিস্টেমের বিভিন্ন ফাইলে বিশেষ নকশা খুঁজে বের করে এবং তা তার নিজস্ব তালিকার সঙ্গে তুলনা করে। যদি এটি মিলে যায় তাহলে এটিকে ভাইরাস হিসাবে শনাক্ত করে। যেহেতু বেশিরভাগ ভাইরাস কেবল কার্যকরী ফাইলকে সংক্রমিত করে, কাজেই সেগুলোকে পরীক্ষা করেই অনেকখানি আগানো যায়। তবে, এ পদ্ধতির একট বড় ত্রুটি হলো তালিকাটি নিয়মিত হালনাগাদ না হলে ভাইরাস শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। সেজন্য অনেক এন্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার কম্পিউটারের সকল প্রোগ্রামের আচরণ পরীক্ষা করে ভাইরাস শনাক্ত করার চেষ্টা করে। এতে সমস্যা হলো যে সফটওয়্যার সম্পর্কে এন্টি-ভাইরাস সফটওয়্যারটি আগে থেকে জানে না, সেটিকে ভাইরাস হিসাবে চিহ্নিত করে, যা ক্ষতিকর। এ কারণে বিশ্বের জনপ্রিয় এন্টি-ভাইরাস সফটওয়্যারগুলো প্রথম পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। এন্টি-ভাইরাস সফটওয়্যারের মধ্যে জনপ্রিয় কয়েকটি হলো- নরটন, অ্যাভাস্ট, প্যান্ডা, কাসপারেস্কি, মাইক্রোসফট সিকিউরিটি এসেনসিয়াল ইত্যাদি।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

