• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • নবম-দশম শ্রেণি
পৌরনীতি ও নাগরিকতা

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

পৌরনীতি ও নাগরিকতা

সমাজ

সমাজ বলতে সেই সংঘবদ্ধ জনগোষ্ঠীকে বোঝায় যারা কোনো সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য একত্রিত হয়। অর্থাৎ একদল লোক যখন সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে বসবাস করে, তখনই সমাজ গঠিত হয়। সমাজের এ ধারণাটি বিশ্লেষণ করলে এর প্রধান দু'টি বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়। যথা-ক) বহুলোকের সংঘবদ্ধভাবে বসবাস এবং খ) ঐ সংঘবদ্ধতার পেছনে থাকে সাধারণ উদ্দেশ্য। তাছাড়া সমাজের সদস্যদের মধ্যে আরও কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়- ঐক্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা, নির্ভরশীলতা, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া, সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য ইত্যাদি।

সমাজের সাথে মানুষের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। মানুষকে নিয়ে সমাজ গড়ে ওঠে। আর সমাজ মানুষের বহুমুখী প্রয়োজন মিটিয়ে উন্নত ও নিরাপদ সামাজিক জীবন দান করে। সমাজের মধ্যেই মানুষের মানবীয় গুণাবলি ও সামাজিক মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে। সমাজকে সভ্য জীবনযাপনের আদর্শ স্থান মনে করে বলে মানুষ তার নিজের প্রয়োজনেই সমাজ গড়ে তোলে। গ্রিক দার্শনিক অ্যারিস্টটল যথার্থই বলেছেন, মানুষ স্বভাবগত সামাজিক জীব, যে সমাজে বাস করে না, সে হয় পশু, না হয় দেবতা। বস্তুত মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমাজে বসবাস করে এবং সামাজিক পরিবেশেই সে নিজেকে বিকশিত করে।

কাজ: দলে বিভক্ত হয়ে পরিবার ও সমাজের সম্পর্ক নির্ণয় কর। (দলগত কাজের ক্ষেত্রে সহায়ক পয়েন্ট: অবিচ্ছেদ্য/পরস্পরের প্রভাব/নিরাপত্তা দান/ব্যক্তিত্বের বিকাশে সহায়তা)।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ