• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • ষষ্ঠ শ্রেণি
  • প্রবন্ধ রচনা
প্রবন্ধ রচনা

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

প্রবন্ধ রচনা

আমাদের বিদ্যালয়

ভূমিকা

শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। আর শিক্ষালাভের জন্য চাই আদর্শ বিদ্যাপীঠ। এক সময় শিক্ষা ছিল আশ্রমকেন্দ্রিক। শিক্ষার্থী সেই সময় আশ্রমে থেকেই গুরুর কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করত। আদর্শ বিদ্যালয় এক-একটি আশ্রমবিশেষ। এমনই একটি আশ্রম আমার বিদ্যালয়। এ-বিদ্যালয়ের নাম স্বপ্নিল উচ্চ-মাধ্যমিক বিদ্যালয়

প্রতিষ্ঠা

স্বপ্নিল উচ্চ-মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত। তৃতীয় থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এ-বিদ্যালয়ে পাঠদান করা হয়। বিদ্যালয়টি ঢাকা বোর্ডের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে বেশ কয়েক বার স্বীকৃতি লাভ করেছে।

অবস্থান

ঢাকা মহানগরীর কেন্দ্রবিন্দুতে, জাতীয় সংসদ ভবনের পশ্চিম পাশে মনোরম পরিবেশে আমাদের বিদ্যালয় অবস্থিত। এর উত্তর পাশে একটি ব্যস্ত রাস্তা। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার জন্য ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। মহানগরীর যেকোনো এলাকা থেকে বিদ্যালয়ে সহজেই আসা যায়।

বিদ্যালয়ের পরিবেশ

বিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের গাছ রয়েছে। বিশাল প্রাঙ্গণে দুটি দীর্ঘকায় চারতলা ভবন। তৃতীয় থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত তিনটি করে শাখা এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে সাতটি করে শাখা রয়েছে। প্রতি শাখার জন্যই রয়েছে আলাদা ও পরিপাটি শ্রেণিকক্ষ। অধ্যক্ষ ও দুজন উপাধ্যক্ষের নিজস্ব মনোরম কক্ষ রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন অংশে বিভক্ত একটি বড় অফিসরুম আছে। নব্বই জন শিক্ষকের জন্য রয়েছে তিনটি সুন্দর কক্ষ। একটি বড় পাঠাগার আছে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের বই রয়েছে। বিদ্যালয় ভবনের সামনে আছে বিশাল মাঠ।

শিক্ষার্থী

আমাদের বিদ্যালয়ে প্রতিটি শ্রেণিতে তিনটি করে শাখা। প্রতি শাখায় পঞ্চান্ন জন করে শিক্ষার্থী। তৃতীয় থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থীসংখ্যা তেরশো পঞ্চাশ এবং কলেজ শাখার শিক্ষার্থীসংখ্যা এক হাজার চারশো। সকালে সব শিক্ষার্থী যখন জাতীয় সংগীত পরিবেশনের জন্য একসঙ্গে দাঁড়াই, তখন মনে হয় এ যেন শিক্ষার্থীদের এক বিশাল মিলনমেলা।

শিক্ষক

আমাদের অধ্যক্ষ একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। আমাদের দুজন উপাধ্যক্ষ আছেন। প্রিয় শিক্ষকবৃন্দ আমাদের সন্তানের মতো স্নেহ করেন এবং আলোকিত মানুষ হবার শিক্ষা দেন। আমরা তাঁদের গভীরভাবে শ্রদ্ধা করি।

লেখাপড়ার পদ্ধতি

সপ্তায় ছয় দিন আমাদের বিদ্যালয় খোলা থাকে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। প্রতিদিন আমাদের ছয়টি ক্লাস হয়। প্রতি সপ্তাহে রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার, আগের সপ্তাহে পড়ানো হয়েছে এমন সব বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হয়। এ ছাড়াও বছরে তিনটি পরীক্ষা হয়। সাপ্তাহিক ও টেস্টের ৪০% এবং ত্রৈমাসিক, ষান্মাসিক ও বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে চূড়ান্ত ফল তৈরি করা হয়। পরীক্ষার কারণে আমাদের পড়ালেখার টেবিল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপায় থাকে না।

গবেষণাগার

বিজ্ঞানের বিষয়গুলোর ব্যবহারিক ক্লাসের জন্য পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান গবেষণাগার এবং কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে।

পাঠ্যক্রম-অতিরিক্ত বিষয়ের চর্চা

আমাদের বিদ্যালয়ে কতগুলো ক্লাব আছে। যেমন- নাট্যদল, সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিতর্ক ক্লাব, দাবা ক্লাব, সায়েন্স ক্লাব, সংগীতদল, পাঠচক্র ও শরীরচর্চা ক্লাব।

অনুষ্ঠানাদি

ক্লাবগুলো সারা বছর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের আয়োজন করে থাকে। এসব অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ আসেন। তাঁদের সঙ্গে পরিচিত হবার সুযোগ যেমন আমরা পাই, তেমনি তাঁদের কাছ থেকে নতুন নতুন তথ্য জানতে পারি।

খেলাধুলা

আমাদের বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি অনেক বড়। মাঠে নিয়মিত খেলাধুলা হয়। প্রতিদিন বিকেলে মৌসুম অনুযায়ী ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, বাস্কেটবল, হ্যান্ডবল ও ব্যাডমিন্টন খেলা হয়। আমাদের বিদ্যালয়ে ফুটবল, ক্রিকেট ও বাস্কেটবল টিম আছে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আমরা অনেক পুরস্কার অর্জন করেছি।

পরীক্ষার ফল

প্রতিবছরই আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় ভালো ফল অর্জন করে। পিএসসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফল সবার দৃষ্টি কাড়ে। মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষায় আমাদের বিদ্যালয় প্রতিবছরই সেরা দশে থাকে।

নিজস্ব বৈশিষ্ট্য

পরীক্ষার ভালো ফল এবং ক্লাবের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের জন্য আমাদের বিদ্যালয়ের সুনাম রয়েছে। আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষাপদ্ধতি ও নিয়ম-শৃঙ্খলা অন্য সব প্রতিষ্ঠান থেকে উন্নত।

উপসংহার

একটি আদর্শ বিদ্যালয় বলতে যা বোঝায়, আমাদের বিদ্যালয় তা-ই। মনোরম পরিবেশ, জ্ঞানী-গুণী শিক্ষক আর সেরা ফলাফলের জন্য আমাদের বিদ্যালয় অতুলনীয়। এ-প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষার্থী হতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। আমাদের বিদ্যালয় সব সময় দেশের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হোক- এই আমার প্রত্যাশা।

পূর্ববর্তী

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ