- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি : বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি : বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
অর্থনৈতিক উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ভূমিকা
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, এদের সমৃদ্ধির পেছনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিগত উন্নয়ন অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছে। এই খাতে প্রচুর বিনিয়োগ বেড়েছে, মূলধন এবং প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বেড়েছে বহুগুণ।
কাজের সুযোগ: আইসিটির ক্রমবিকাশের ফলে নতুন অনেক কাজের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে অনেক শিক্ষিত তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। ফলে সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। বিনিয়োগ: আইসিটির ক্রমবর্ধমান অগ্রগতিই আইসিটি খাতে বিনিয়োগের প্রধান কারণ। আইসিটির ব্যবহারে আর্থিক লেনদেন সহজ এবং দ্রুততর হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা কম সময়ে বিনিয়োগ করছেন এবং এই বিনিয়োগকৃত অর্থ দ্রুত সংগ্রহ করতে পারছেন।
উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি: বর্তমানে আইসিটি ব্যবহারে কম জনশক্তি দিয়ে অধিক কাজ করানো যাচ্ছে। ফলে কর্মী প্রতি ব্যয় কমেছে, বিনিয়োগ কম করতে হচ্ছে, কর্মী ব্যবস্থাপনা সহজ হয়েছে এবং কাজের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে; যার ফলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন: আইসিটির কল্যাণে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক দ্রুততর এবং সহজতর হওয়ায় মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা এসেছে, যা একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।
পরিবেশ সংরক্ষণ: পরিবেশ সংরক্ষণ ছাড়া কোনো উন্নয়নই টেকসই হয় না। তথ্য প্রযুক্তি পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। পরিবেশবান্ধব বিভিন্ন উদ্যোগেরও সুযোগ সৃষ্টি করছে; যা একইসাথে পরিবেশ সংরক্ষণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করছে।
ব্যবসায় বাণিজ্যে প্রসার: আইসিটির কল্যাণে প্রথাগত ব্যবসার বাইরে ই-কমার্স ও এম-কমার্সের প্রচলন ঘটেছে। প্রযুক্তির সহায়তায় বাংলাদেশে প্রচলিত নানারকম ক্ষুদ্র ব্যবসা করা হচ্ছে যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ