- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি : বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি : বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশে প্রচলিত ই-সেবাসমূহ
ই-ব্যাংকিং: ইলেকট্রনিক ব্যাংকিং বা ই-ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো বর্তমানে অনলাইনে ও এটিএম বুথের মাধ্যমে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ব্যাংকিং সেবা দিতে পারছে। ফলে বিদেশ থেকে রেমিটেন্স পাঠানো অনেক সহজ ও দ্রুততর হয়েছে।
ই-কমার্স: ই-কমার্স হচ্ছে অনলাইন যোগাযোগ ব্যবস্থার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। বিভিন্ন অ্যাপস ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ঘরে বা যেকোনো জায়গায় বসে বিভিন্ন পণ্য ক্রয়-বিক্রয় থেকে শুরু করে নানা ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। পণ্য কেনাবেচা ও আর্থিক লেনদেনসহ সব কার্যক্রম ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় করা সম্ভব। এভাবে অর্থনৈতিক লেনদেন ও বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় উদ্যোগের পথ সুগম হচ্ছে।
ই-কৃষি: ই-কৃষির মাধ্যমে কৃষি বিষয়ে তথ্য, গবেষণা ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রযুক্তি বিশেষ ভূমিকা রাখছে। আবহাওয়া, ফসল বপন ও পরিচর্যা, সার ও কীটনাশক প্রয়োগের তথ্য, রোগবালাই দমন ইত্যাদি কৃষিতথ্য অনলাইনের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে কৃষকগণ জানতে পারছেন। ফলে কৃষিপ্রযুক্তি সম্পর্কে কৃষকগণ সচেতন হচ্ছেন, যা উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করছে।
ই-গভর্নেন্স: সরকারি কার্যক্রমে ও প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগই হচ্ছে ই-গভর্নেন্স। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিকগণ সহজে, দ্রুততম সময়ে এবং স্বল্পব্যয়ে ২৪ ঘণ্টা সরকারি সেবা পেতে পারেন। ই-গভর্নেন্সের বাস্তবায়ন প্রাতিষ্ঠানিক সকল কর্মকাণ্ডকে খাচ্ছ করে, ফলে জনগণের নিকট সরকারের জবাবদিহিতা বাড়ায়, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ই-পর্চা সেবা: অনলাইন হতে জমি সংক্রান্ত তথ্য, জমির রেকর্ডের অনুলিপি সংগ্রহ করার সিস্টেমই হলো ই-পর্চা। আগে জমি বা ভূমি সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের তথ্য জমির রেজিস্ট্রি অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হতো, যা সময়সাপেক্ষ এবং তুলনামূলক ব্যয়বহুল ছিল। এই গতানুগতিক পদ্ধতি আর ভোগান্তি কমানোর জন্য বর্তমানে চালু হয়েছে ই-পর্চা সেবা। ফলে দেশের সকল জমির রেকর্ডের অনুলিপি অনলাইন হতে স্বল্পব্যয়ে সংগ্রহ করা যায়।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ