- হোম
- স্কুল ১-১২
- সাধারণ
- নবম-দশম শ্রেণি
শরিয়তের উৎস
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
শরিয়তের উৎস
সূরা আশ শামস
সূরা আশ-শামস মাক্কি সূরার অন্তর্গত। এর আয়াত সংখ্যা ১৫টি। এ সূরার প্রথম শব্দ শামস থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে আশ-শামস । এটি আল-কুরআনের ৯১তম সূরা।
ব্যাখ্যা
সূরা আশ-শামস-এ বর্ণিত আয়াতসমূহ তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম ভাগ হলো সূরার প্রথম সাত আয়াত । এ আয়াতসমুহে আল্লাহ তায়ালা তাঁর কতিপয় সৃষ্টবস্তু, এদের অবস্থা ও এদের স্রষ্টা সম্পর্কে শপথ করেছেন। মানুষের শপথ করেছেন। এসব জিনিসের শপথ করার দ্বারা আল্লাহ তায়ালা পরবর্তী আয়াতগুলোতে বর্ণিত বিষয়ের তাগিদ করেছেন। সূরার দ্বিতীয় ভাগে আল্লাহ তায়ালা মানুষের অবস্থা বর্ণনা করেছেন। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তাকে সৎকর্ম ও অসৎকর্মের জ্ঞান দান করেছেন । এতদসত্ত্বেও যে ব্যক্তি নিজেকে পাপের দ্বারা কলুষিত করে তার জন্য ধ্বংস অনিবার্য । পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি নিজেকে পরিশুদ্ধ করে, সৎকর্ম করে তার জন্য রয়েছে সফলতা ।
সূরার শেষভাগে আল্লাহ তায়ালা ছামুদ সম্প্রদায়ের উদাহরণের মাধ্যমে মানুষের ব্যর্থতার বিষয়টি বর্ণনা করেছেন। ছামুদ সম্প্রদায় ছিল খুবই উন্নত-সমৃদ্ধ একটি জাতি। কিন্তু তারা আল্লাহর প্রেরিত রাসুলকে অবিশ্বাস করে এবং তাঁর নির্দেশ অমান্য করে। তাদের এ অবাধ্যতার জন্য আল্লাহ তায়ালা তাদের শাস্তি প্রদান করেন এবং তাদের ধ্বংস করে দেন ।
শিক্ষা
- আল্লাহ তায়ালাই আসমান, জমিন ও মানুষের স্রষ্টা ।
- তিনিই সূর্য, চন্দ্র, রাত, দিনের আবর্তন ঘটান ।
- তিনিই মানুষের ভালো-মন্দ, সৎকর্ম-অসৎকর্মের জ্ঞান দান করেন ।
- যে ব্যক্তি সৎকর্ম করবে সে সার্বিক সফলতা লাভ করবে ।
- আর যে ব্যক্তি নিজেকে পাপ পংকিলতায় জড়িয়ে ফেলবে সে ব্যর্থ ও ধ্বংস হবে ।
- আমাদের পূর্ববর্তী জাতিসমূহের মধ্যে যারা অবাধ্য ছিল আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াতেই তাদের শাস্তি প্রদান করেন। বস্তুত আল্লাহ তায়ালার শাস্তি অত্যন্ত কঠোর ।
সুতরাং আমরা আল্লাহ্ তায়ালার শাস্তি সম্পর্কে সচেতন থাকব । তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলব । সৎ ও পুণ্যকর্মের মাধ্যমে আমরা নিজেদের পূত-পবিত্র রাখব। তাহলেই আমরা ইহকালীন ও পরকালীন সফলতা লাভ করতে পারব।
কাজ : শিক্ষার্থীরা সুরা আশ-শামস-এর শিক্ষা লিখে একটি পোস্টার তৈরি করবে।