- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- নবম-দশম শ্রেণি
- রাষ্ট্র ও সরকারব্যবস্থা
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
রাষ্ট্র ও সরকারব্যবস্থা
অর্থনীতির ভিত্তিতে রাষ্ট্র
সম্পত্তি বা অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ থাকা না-থাকার ভিত্তিতে রাষ্ট্র দুই ধরনের হয়, যেমন- পুঁজিবাদী রাষ্ট্র ও সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা
পুঁজিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থায় সরকার বাজার অর্থনীতিতে কোনো নিয়ম নীতি প্রয়োগ কনো অথবা অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত আরোপ করে প্রভাব ফেলেনা। অর্থনৈতিক উৎপাদনের জন্য সব উপকরণের (ভূমি, শ্রম, মূলধন ও ব্যবস্থাপনা) উপর ব্যক্তিমালিকানা থাকে। সব সম্পদ ও থাকে ব্যক্তিমালিকানাধীন। চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে সকল পণ্যের দাম নির্ধারিত হয়। এ ব্যবস্থায় পুঁজির মালিকেরা সর্বাধিক মুনাফা লাভের চেষ্টায় সবচেয়ে কম খরচে উৎপাদন করে। মূলত শ্রমিকদেরকে কম মজুরি দিয়ে সর্বাধিক মুনাফা অর্জিত হয়। এক্ষেত্রে পুঁজির মালিকদের হাতে থাকে সব সম্পদের নিয়ন্ত্রণ। আর শ্রমিকরা কেবল মজুরির বিনিময়ে কাজ করে। বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রই পুঁজিবাদী।
সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা
সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য হলো পুঁজিবাদের কারণে সমাজে যে শ্রেণিবৈষম্য তৈরি হয় তা দূর করে সমতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠন করা। তাই ব্যক্তিমালিকানার পরিবর্তে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রবর্তন করা হয় রাষ্ট্রমালিকানাধীন সম্পদ ও কলকারখানা স্বল্পসংখক পুঁজির মালিকদের হাতে শ্রমিকদেরকে শোষণের পথ বন্ধ করা এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রদান করার লক্ষ্যে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাজ করে। রাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নেয়া হয় সকল অর্থনৈতিক উৎপাদনের উদ্যোগ এবং করা হয় সম্পদের সমান বন্টন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সরকার বিভিন্ন নাগরিক কল্যাণমূলক সেবার নীতিও গ্রহণ করে থাকে। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার সবচেয়ে বড় সীমাবদ্ধতা হলো এতে একনায়কতান্ত্রিক সরকার গঠিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি কারণ সরকারের হাতে অনেক বেশি ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ