- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- নবম-দশম শ্রেণি
- রাষ্ট্র ও সরকারব্যবস্থা
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
রাষ্ট্র ও সরকারব্যবস্থা
আইন ও শাসনবিভাগের সম্পর্কের ভিত্তিতে সরকারের শ্রেণিবিভাগ
আইন ও শাসনবিভাগ সরকারের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ। এ দুটি বিভাগের মধ্যে সম্পর্ক বা জবাবদিহিতা নীতির ভিত্তিতে সরকারের দুটি রূপ রয়েছে। যথা- সংসদীয় সরকার ও রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার।
সংসদীয় সরকার
যে সরকার ব্যবস্থায় শাসনবিভাগ ও আইনবিভাগের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং শাসনবিভাগের স্থায়িত্ব ও কার্যকারিতা আইনবিভাগের উপর নির্ভরশীল তাকে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার বা সংসদীয় পদ্ধতির সরকার বলে। এতে মন্ত্রিসভার হাতে দেশের শাসন ক্ষমতা থাকে। সাধারণ নির্বাচনে সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী দল মন্ত্রিসভা গঠন করেন। দলের আস্থাভাজন ব্যক্তি হন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের মধ্য থেকে অন্যান্য মন্ত্রী নিয়োগ করেন ও তাঁদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করেন। মন্ত্রীগণ সাধারণত আইন পরিষদ বা সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে মনোনীত হন। তাই এ সরকারকে বলা হয় সংসদীয় বা পার্লামেন্টারি পদ্ধতির সরকার। বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সুইডেন, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার রয়েছে।
এ ধরনের সরকারে একজন নিয়মতান্ত্রিক রাষ্ট্রপ্রধান থাকেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা হয় প্রকৃত শাসন ক্ষমতার অধিকারী। এ ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া কার্যত কিছু করেন না।
সংসদীয় সরকারে আইনসভা সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভা তাদের কাজের জন্য আইন পরিষদের নিকট দায়ী থাকে। আইনসভার আস্থা হারালে মন্ত্রিসভার পতন ঘটে। এছাড়া মন্ত্রিসভার কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে সংসদ অনাস্থা আনলে তাকে পদত্যাগ করতে হয়। এ ব্যবস্থায় সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে মন্ত্রী নিযুক্ত করায় একই ব্যক্তির হাতে আইন ও শাসন ক্ষমতা থাকে।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ