- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- নবম-দশম শ্রেণি
- রাষ্ট্র ও সরকারব্যবস্থা
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
রাষ্ট্র ও সরকারব্যবস্থা
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার গুণ
গণতন্ত্রের অনেক ভালো দিক রয়েছে। নিচে গণতন্ত্রের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গুণ আলোচনা করা হলো।
১. ব্যক্তিস্বাধীনতার রক্ষাকবচ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারে। সরকারের সমালোচনা করতে পারে। প্রতিনিধি নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারে। ফলে ব্যক্তিস্বাধীনতার বিকাশ ঘটে এবং নাগরিকের অধিকার রক্ষা হয়।
২. দায়িত্বশীল শাসন: এ ব্যবস্থায় শাসকগণ জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে জনগণের নিকট দায়ী থাকে। তারা পরবর্তী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য জনস্বার্থমূলক কাজ করার চেষ্টা করে। ফলে দেশে দায়িত্বশীল শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
৩. সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধি: গণতন্ত্রে জনগণের আস্থার উপর সরকারের স্থায়িত্ব নির্ভর করে। ফলে জনগণের আস্থা লাভের জন্য সরকার সততার সাথে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করে। এর ফলে সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
৪. সাম্য ও সমঅধিকারের প্রতীক গণতন্ত্রে সবাই সমান। এতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ ইত্যাদি নির্বিশেষে সবাই সমান সুযোগ বা অধিকার ভোগ করে এবং সবাই সমানভাবে রাষ্ট্রের কাজে অংশগ্রহণ করতে পারে।
৫. নাগরিকের মর্যাদা বৃদ্ধি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই রাষ্ট্র পরিচালনা করে। নির্বাচনের মাধ্যমে সব নাগরিকের রাষ্ট্রের কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকায় তারা নিজেদের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে। এতে তাদের মধ্যে দেশাত্মবোধ সৃষ্টি হয় এবং ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে ও মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
৬. যুক্তি ও সম্মতির উপর প্রতিষ্ঠিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা জনগণের সম্মতির উপর প্রতিষ্ঠিত। কাজেই গণতন্ত্রে শক্তি প্রয়োগ বা জোর করে কিছু করার সুযোগ নেই বরং জনগণের ইচ্ছা এবং যুক্তি প্রাধান্য পায়।
৭. রাজনৈতিক শিক্ষা লাভ: গণতন্ত্রে রাষ্ট্রের শাসনকার্যে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকায় নাগরিকগণ জটিল রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ পায়। নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনে তাদের রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।
৮. বিপ্লবের সম্ভাবনা কম গণতন্ত্র নমনীয় শাসনব্যবস্থা। জনগণ ইচ্ছে করলে শান্তিপূর্ণ উপায়ে নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার পরিবর্তন করতে পারে। ফলে এখানে বিপ্লবের সম্ভাবনা কম থাকে।
এছাড়া গণতন্ত্রে বাক স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, শাসক ও আইনপ্রণেতাদের নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী নির্বাচন করা, সরকারের নীতির আলোচনা-সমালোচনা করার সুযোগ থাকে।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ