- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি : বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি : বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে নৈতিকতা (Ethics of ICT usages)
নৈতিকতা হচ্ছে এক ধরনের মানদণ্ড যা আচরণ, কাজ এবং পছন্দের ক্ষেত্রে সহায়তা করে। এটি ঔচিত্য ও অনুচিত্যের মাপকাঠিও বটে, কেননা মানবধর্ম এবং নৈতিকতা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। অনৈতিক ও বেআইনি এক বিষয় নয়। অনেক অনৈতিক কাজ আইন বিরুদ্ধ নয়, কিন্তু সকল আইন বিরুদ্ধ কাজ অবশ্যই অনৈতিক। তবে সাম্প্রতিককালে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নানা ধরনের অনৈতিক এবং অন্যায় কাজের মাত্রা এত বেড়ে গেছে যে পৃথিবীর অনেক দেশেই সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন করেছে। কাজেই একসময় যে কাজটি শুধু অনৈতিক ছিল সেটি অনেকক্ষেত্রে এখন বেআইনি হয়ে গেছে, অর্থাৎ সামনাসামনি কাউকে গালাগাল করে একজন পার পেয়ে যেতে পারে, কিন্তু ফেসবুকে কাউকে গালাগাল করে একজন জেলে চলে যেতে পারে।
যেহেতু পৃথিবীর প্রায় সকল মানুষ কোনো না কোনোভাবে তথ্য প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত তাই এর ব্যবহারের নৈতিকতার বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে নেওয়া উচিত। গুরুত্ব না দেয়া হলে একজন অনৈতিক কাজ দিয়ে শুরু করে খুব সহজেই অন্যায় এবং অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়তে পারে। তাই সকল কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে নৈতিকতা সম্পর্কে অবহিত এবং যথাযথভাবে রপ্ত হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
কম্পিউটার ইথিক্স ইনস্টিটিউট ১৯৯২ সালে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিষয়ে দশটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে। সেগুলো হচ্ছে:
১. তুমি কম্পিউটার ব্যবহার করে অন্যের ক্ষতি করবে না।
২. তুমি অন্যের কম্পিউটার সংক্রান্ত কাজে হস্তক্ষেপ করবে না।
৩. তুমি অন্য কারও ফাইলে অনধিকার প্রবেশ করবে না।
৪. তুমি চুরির উদ্দেশ্যে কম্পিউটার ব্যবহার করবে না।
৫. তুমি মিথ্যা তথ্যের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করবে না।
৬. তুমি লাইসেন্সবিহীন সফটওয়্যার ব্যবহার ও কপি করবে না।
৭. তুমি বিনা অনুমতিতে কম্পিউটার সংক্রান্ত অন্যের রিসোর্স ব্যবহার করবে না।
৮. তুমি অন্যের কাজকে নিজের কাজ বলে চালিয়ে দেবে না।
৯. তুমি তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের আগে সমাজের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে চিন্তা করবে।
১০. তুমি কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় অন্যের ভালোমন্দ বিবেচনা করবে এবং শ্রদ্ধাবোধ প্রদর্শন করবে।
কম্পিউটার, ইন্টারনেট কিংবা মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় উপরে বর্ণিত তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত নৈতিক নির্দেশনাগুলো সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা খুবই জরুরি।
আজকাল ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক ধরনের অনৈতিক এবং অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত হয়। এর মধ্যে বহুল প্রচলিতগুলো হচ্ছে:
হ্যাকিং (Hacking): কোনো কম্পিউটার সিস্টেম, নেটওয়ার্ক বা ডেটায় অননুমোদিতভাবে অধিকার প্রবেশ ও নিয়ন্ত্রণ (Access) লাভ করার উপায়কে হ্যাকিং বলে। এতে ব্যক্তির তথ্যের বা সিস্টেমের ক্ষতিসাধন করা হয় এবং অনেকক্ষেত্রে কোনো ক্ষতি না করে শুধু নিরাপত্তা ত্রুটি সম্পর্কে কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে জানান দেওয়া হয়। যে সব ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গ এ ধরনের কর্মে/অপকর্মের সাথে জড়িত থাকে তাদের হ্যাকার বলে।
ফিশিং (Phishing): ফিশিং করার অর্থ ই-মেইল বা মেসেজের মাধ্যমে ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীকে নকল বা ফেইক ওয়েবসাইটে নিয়ে কৌশলে তার বিশ্বস্ততা অর্জন করা এবং তারপর ব্যবহারকারীর অ্যাকসেস কোড, পিন নম্বর, ক্রেডিট কার্ড নম্বর, পাসওয়ার্ড ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বরের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করে তাদের নানা ধরনের বিপদে ফেলা।
স্প্যামিং (Spamming): অনাকাঙ্ক্ষিত বা অবাঞ্ছিত ই-মেইল কিংবা মেসেজ পাঠানোকে স্প্যামিং বলে। এই কাজ যারা করে তাদেরকে স্প্যামার বলা হয়। যখন কোনো ব্যবহারকারী কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করেন বা কোনো গ্রুপের মেসেজ বোর্ডে প্রবেশ করেন তখন স্প্যামাররা সেখান থেকে ই-মেইল অ্যাড্রেস সংগ্রহ করে ব্যবহারকারীর ই-মেইলে বিভিন্ন প্রতারণামূলক মেসেজ পাঠায়।
সফটওয়্যার পাইরেসি (Software piracy): সফটওয়্যার একটি বুদ্ধিবৃত্তিক প্রযুক্তিপণ্য, যা প্রোগ্রামারগণ পেশাগত দক্ষতা, মেধা আর মননের সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটিয়ে তৈরি করে থাকেন এবং এগুলোর তাঁরাই স্বত্বাধিকারী হন। লাইসেন্সবিহীনভাবে বা স্বত্বাধিকারীর অনুমোদন ব্যতিরেকে এ ধরনের সফটওয়্যার কপি করা, নিজের নামে কিংবা কোনো প্রকার পরিবর্তন-পরিবর্ধন করে ব্যবহারের সুযোগ নেওয়া পাইরেসির আওতায় পড়ে। Business Software Alliance (BSA)-এর সূত্রমতে ব্যবহৃত সকল সফটওয়্যারের প্রায় ৩৬ ভাগই পাইরেটেড সফটওয়্যার। কপিরাইট আইন দ্বারা উন্নত দেশগুলোয় এই ধরনের অপরাধ প্রতিহত করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
প্লেজিয়ারিজম (Plagiarism)
কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোনো লেখা সাহিত্য, গবেষণা বা সম্পাদনাকর্ম হুবহু নকল বা আংশিক পরিবর্তন করে নিজের নামে প্রকাশ করাকে প্লেজিয়ারিজম বলে। অর্থাৎ অন্যের লেখা বা তথ্য স্বত্তাধিকারীর অনুমতি ছাড়া নিজের নামে চালিয়ে দেওয়াই হলো প্লেজিয়ারিজম। প্লেজিয়ারিজম এর বাংলা পরিক্ষা হলো কুব্জীলকবৃত্তি। অনেক সময় কোনো লেখার গুরুত্বপূর্ণ শব্দগুচ্ছ নকল করলে তাও প্রেজিয়ারিজমের আওতায় পড়ে। প্লেজিয়ারিজম একটি বেআইনি কাজ, সম্মিলিতভাবে প্লেজিয়ারিজম প্রতিরোধ করা উচিৎ।
ইদানীং শিক্ষাক্ষেত্রে প্লেজিয়ারিজম অনেক বেশি পরিলক্ষিত হ হচ্ছে। শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো উচ্চতর চিন্তনদক্ষতা অর্জন করা। অর্থাৎ কোন বিষয় তা যতই জটিল হোক না কেন তা বিশ্লেষণ, মূল্যায়ন, সংক্ষেপণ বা নতুন ধারণা প্রবর্তন করার দক্ষতা অর্জন করা হলো শিক্ষা। প্লেজিয়ারিজম বা কুঝীলকবৃত্তির কারণে শিক্ষার্থীদের এই দক্ষতা অর্জনের কাজটি বাধাগ্রস্থ হয়। শিক্ষাক্ষেত্রে প্লেজিয়ারিজমকে নীতিগতভাবে একটি জটিল সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্লেজিয়ারিজম বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে। এখানে কয়েক প্রকারের প্লেজিয়ারিজমের উল্লেখ করা হলো।
১) ক্লোন (Clone) প্লেজিয়ারিজম। এতে একজন ব্যক্তি কোনো পরিবর্তন ছাড়াই কোনো বিষয়বস্তু বা কনটেন্ট হুবহু কপি (নকল) করে এবং এটিকে ভার নিজের বলে দাবি করে।
২) রিমিক্স (Remix) প্লেজিয়ারিজম: এই পদ্ধতিতে একজন ব্যক্তি বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এবং সবগুলিকে একত্রিত করে একটি ডকুমেন্ট তৈরি করে, তারপর এটিকে নিজের তৈরি করা বলে দাবি করে।
৩) হাইব্রিড (Hybrid) প্লেজিয়ারিজম: এই ক্ষেত্রে নিখুঁতভাবে উদ্ধৃত কোনো উৎস ডকুমেন্টকে উদ্ধৃতি ছাড়াই একটি নতুন ডকুমেন্ট হিসাবে অনুলিপি করে নতুনভাবে সাজানো হয়।
৪) রিসাইকেল (Recycle) প্লেজিয়ারিজম: এটি সঠিক উদ্ধৃতি ছাড়াই নিজের পূর্ববর্তী কোন কনটেন্ট বা ডকুমেন্ট থেকে ধার নেওয়া বা পুর্নব্যবহার করার কাজকে বোঝায়। Recycle প্লেজিয়ারিজমকে স্ব-চৌর্যবৃত্তি (self-plagiarism)ও বলা হয়।
৫) 404 Error প্লেজিয়ারিজম। এতে একজন বাক্তি বিভিন্ন উৎস থেকে কনটেন্ট অনুলিপি করে একটি নথি তৈরি করে এবং উদ্ধৃতিসহ একক নথি হিসেবে প্রস্তুত করে। কিন্তু যদি উদ্ধৃতিসমূহ ভুল বা ভুয়া হয় এবং এগুলো অস্তিত্বহীনতার পরিচয় দেয় তাহলে এটিকে 404 Error প্লেজিয়ারিজম বলা হয়।
৬) Aggregator প্লেজিয়ারিজম। এই ক্ষেত্রে লিখিত কনটেস্ট বা ডকুমেন্টে যথাযথ সকল উদ্ধৃতি অন্তর্ভুক্ত থাকে কিন্তু এতে কোনো মূল কাজ থাকে না।
৭) রি-টুইট (Re-tweet) প্লেজিয়ারিজম: সঠিকভাবে উৎসসমূহ উদ্ধৃত করে লিখিত কনটেন্ট বা ডকুমেন্টটি নিখুঁত বলে প্রতীয়মান হওয়ার পরও যদি এটি অন্য কোন মূল-কনটেন্ট এর কাঠামো বা শব্দের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয় তবে এটিকে বলা হয় রি-টুইট প্লেজিয়ারিজম।
প্লেজিয়ারিজম কারণসমূহ
বর্তমান যুগে কপি (Copy) এবং পেস্ট (Paste) ফাংশনের সাহায্যে বিনা পরিশ্রমে অতি সহজে ইন্টারনেট হতে যেকোনো ব্যক্তি কোনো আর্টিকেল, লেখা বা তথ্য আংশিক বা সম্পূর্ণ অনুলিপি করে বা তা নিজের নামে প্রকাশ করা সহজ।
প্লেজিয়ারিজম সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ধারণার অভাব, অর্থাৎ উৎস উল্লেখ না করে কারও লেখা ব্যবহার করলে সেটা যে সেই প্রতারণা সে সম্বন্ধে ধারণা না থাকা। ইন্টারনেটের বিপুল তথ্যভান্ডার থেকে কপি করে নিজের বলে প্রকাশ করলে কেউ বুঝতে বা জানতে পারবে না এরূপ আত্মবিশ্বাস থাকা। নিজে সময়, মেধা ও শ্রম ব্যয় না করে সহজে অন্যের তৈরি করা বিষয় ব্যবহারের প্রবণতা।
প্লেজিয়ারিজম শনাক্তকরণের উপায়
আমাদের কনটেন্ট তৈরি ও গবেষণার কাজের মৌলিকত্ব নিশ্চিত করতে, একাডেমিক সততা বজায় রাখতে এবং চৌর্যবৃত্তির সাথে জড়িত থাকার ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি এড়াতে প্লেজিয়ারিজম চেক করা জরুরি (checker) 1 প্লেজিয়ারিজম চেক করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ- Grammarly, Plagi-um, Plagiarisma, Plagiarismchecker, Zerogpt, Quillbot, Quetext, Turnitin ইত্যাদির নাম উল্লেখ করা যেতে পারে। এসব সফটওয়্যার আমাদের কনটেন্টকে ইন্টারনেটে বিদ্যমান কনটেন্টের সাথে তুলনা করে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত কোনো মিল থাকলে তা শনাক্ত করতে সহায়তা করে এবং চূড়ান্তভাবে জমা দেওয়ার আগে আমাদেরকে প্রয়োজনীয় সংশোধন করার সুযোগ দেয়।
প্লেজিয়ারিজম এর ফলে উদ্ভূত সমস্যাবলি
- অন্যের কনটেন্ট অনুলিপি করায় লেখবের নিজস্ব চিন্তন দক্ষতা হ্রাস পায়।
- প্রকৃত লেখক তাঁর ন্যায্য স্বীকৃতি হতে বঞ্চিত হন। অনেক ক্ষেত্রে আর্থিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হন।
- ব্যাগক প্লেজিয়ারিজমের ফলে নতুন চিন্তা-ধারণা সৃষ্টি ব্যাহত হয়।
- ইচ্ছাকৃতভাবে প্লেজিয়ারিজনের ফলে নৈতিক অবক্ষয় হয়।
- সময়, শ্রম ও মেধা প্রয়োগের মাধ্যমে কাজ করার প্রবণতা হ্রাস পায়।
প্লেজিয়ারিজম প্রতিরোধের উপায়
প্লেজিয়ারিজম একটি বেআইনী কাজ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে প্লেজিয়ারিজম প্রতিরোধে কঠোর নীতিমালা রয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রে কপিরাইট আইনসহ প্লেজিয়ারিজম আইনও রয়েছে। বাংলাদেশে প্লেজারিজম আইন না থাকলেও কপিরাইট আইন আছে। এর আওতায় জনগণ আইনি সহায়তা পেতে পারেন। এছাড়া দেশের স্বাভাবিক আইনি ব্যবস্থায় একজন লেখক অথবা কোনও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান চাইলেই সিভিল কোর্টে অভিযোগ দিয়ে মামলা দায়ের করতে পারেন। সেটা ছাড়াও ১৯০৮ সালের যে দেওয়ানি কার্যবিধি আছে সেই কার্যবিধি মৌলিক আইন হিসেবে কাজ করে। ফলে এই আইনের বিভিন্ন স্তরে যে বিধিবিধান আছে সেই বিধিতে প্লেজিয়ারিজমের ভিত্তিতে যে কেউ চাইলেই অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। এছাড়া প্লেজিয়ারিজম সামগ্রিকভাবেও প্রতিরোধ করা উচিত। এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্লেজিয়ারিজম সম্পর্কে শিক্ষার্থীদেরকে সঠিক ধারণা দিতে হবে। অন্যের লেখা সরাসরি অনুলিপি করা, উদ্ধৃতি ছাড়া প্যারাফ্রেজ করা এবং অন্যদের গবেষণার ফলাফল নিজের নামে ব্যবহার করা ইত্যাদি কর্মকাণ্ড এক ধরনের চৌর্যবৃত্তি, এ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ