• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • নবম-দশম শ্রেণি
  • হৃদযন্ত্রের যত কথা এবং অন্যান্য
হৃদযন্ত্রের যত কথা এবং অন্যান্য

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

হৃদযন্ত্রের যত কথা এবং অন্যান্য

রক্ত উপাদানের অস্বাভাবিক অবস্থা

মানুষের রক্তের বিভিন্ন উপাদানের তারতম্য ঘটলে যে অবস্থার সৃষ্টি হয়, তাকে রক্তের অস্বাভাবিক অবস্থা বলা হয়। যেমন-

১. পলিসাইথিমিয়া: হিমোগ্লোবিনের মাত্রা এবং রক্তকোষের সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় অত্যাধিক বৃদ্ধি পাওয়া।

২. অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা: হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিক অবস্থার তুলনায় কমে যাওয়া।

৩. লিউকেমিয়া: নিউমোনিয়া, প্লেগ, কলেরা প্রভৃতি রোগে শ্বেত কোষের সংখ্যা বেড়ে যায়। কিন্তু যদি শ্বেত কোষের সংখ্যা সেসবের চাইতেও অত্যধিক হারে বেড়ে যায়, তাহলে তাকে লিউকেমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সার বলে। লিউকেমিয়ার বেশ কিছু ধরন রয়েছে যেগুলো অনেকাংশে নিরাময়যোগ্য।

৪. লিউকোসাইটোসিস: শ্বেত কোষের সংখ্যা স্বাভাবিক অবস্থার মান থেকে বেড়ে যায়, তাকে লিউকোসাইটোসিস বলে। নিউমোনিয়া, হুপিং কাশি ইত্যাদি রোগে এ অবস্থা হয়।

৫. থ্রম্বোসাইটোসিস: এ অবস্থায় অণুচক্রিকার সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে যায়। রক্তনালির অভ্যন্তরে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়াকে থ্রম্বোসিস বলে। হৃৎপিণ্ডের করোনারি রক্তনালির রক্ত জমাট বাঁধলে তাকে করোনারি থম্বোসিস এবং গুরু মস্তিষ্কের রক্তনালিকায় রক্ত জমাট বাঁধলে তাকে সেরিব্রাল থ্রম্বোসিস বলে।

৬. পারপুরা: ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হলে ত্বকের নিচে রক্তপাত হয়ে এ অবস্থা হতে পারে। এ অবস্থায় অণুচক্রিকার সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়।

৭. থ্যালাসেমিয়া: থ্যালাসেমিয়া একধরনের বংশগত রক্তের রোগ। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে রক্তস্বল্পতা সৃষ্টি হয়। হিমোগ্লোবিনের অস্বাভাবিকতার কারণে লোহিত রক্তকণিকা ভেঙে যায়, ফলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। এ রোগটি মানুষের অটোজোমে অবস্থিত প্রচ্ছন্ন জিনের দ্বারা ঘটে। যখন মাতা ও পিতা উভয়ের অটোজোমে এ জিনটি প্রচ্ছন্ন অবস্থায় থাকে, তখন তাদের সন্তানদের মধ্যে প্রচ্ছন্ন জিন দুটি একত্রিত হয়ে এই রোগের প্রকাশ ঘটায়। সাধারণত শিশু অবস্থায় থ্যালাসেমিয়া রোগটি শনাক্ত হয়। এ রোগের জন্য রোগীকে নিয়মিত রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে রক্তস্বল্পতার হার কমে যায়। এ রোগে আয়রন বা লৌহযুক্ত খাবার খেয়ে বেশি উপকার হয় না বরং রোগের জটিলতা বাড়তে পারে। নিয়মিত রক্ত সঞ্চালন ও অন্যান্য চিকিৎসা করালেও অনেক রোগী অল্প বয়সে মারা যায়।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ