- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- অষ্টম শ্রেণি
- কৃষি ও জলবায়ু
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
কৃষি ও জলবায়ু
প্রতিকূল পরিবেশে পশুপাখি উৎপাদন
প্রাণি তার পারিপার্শ্বিক গাছপালা, পুকুর, নদ-নদী, আবহাওয়া ও জলবায়ু ইত্যাদি নিয়ে গঠিত একটি পরিবেশের মধ্যে অবস্থান করে। পরিবেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুর আচরণ যখন পশুপাখি পালনের উপযোগী থাকে না তখন তাকে প্রতিকূল পরিবেশ বলে। লবণাক্ততা, বন্যা ও খরা পশুপাখি উৎপাদনের জন্য প্রতিকূল পরিবেশ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। পশুপাখির উপর প্রতিকূল পরিবেশের প্রভাব নিম্নে দেওয়া হলো-
- প্রতিকূল পরিবেশে পাখির খাদ্যাভাব দেখা যায়।
- বিশেষ করে বন্যা ও খরার সময় ঘাসের অভাব হয়।
- লবণাক্ত জমিতে ফসল ও ঘাস জন্মায় না।
- পশুর বৃদ্ধি ও দুধ উৎপাদন অনেক কমে যায়।
- পশু পুষ্টিহীনতায় আক্রান্ত হয়।
- অনেক পশুপাখি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে।
বন্যার সময় করণীয়: এ সময় পশুপাখিকে কোনো উঁচুস্থানে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। যেসব এলাকায় প্রতিবছর বন্যা দেখা দেয়, সেখানে কোনো উঁচুস্থানে স্থায়ীভাবে পশুপাখির ঘর তৈরি করতে হবে। বন্যাপীড়িত এলাকায় লেয়ার মুরগির খামার না করে ব্রয়লার বা হাঁসের খামার করতে হবে। কারণ মাত্র এক মাস পালন করে ব্রয়লার বাজারজাত করা যায়। বন্যার সময় পশুকে কচুরিপানা, বিভিন্ন গাছের পাতা, ধানের খড়, কলাগাছ ইত্যাদি খাদ্য হিসেবে সরবরাহ করতে হবে। দেশি মুরগির জন্য আগেই কিছু গম বা ভুট্টা কিনে রাখতে হবে। কারণ মুরগি পানিতে নামে না। এ সময় ছাগল ও ভেড়াকে কলার ভেলা ও নৌকায় রেখেও কিছুদিনের জন্য পালন করা সম্ভব। বন্যার সময় পশুর রোগ ব্যবস্থাপনার দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। পশুর ঘরে যেন কাদামাটি না জমে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। বন্যার আগেই পশুকে সম্ভাব্য রোগের হাত থেকে রক্ষার জন্য টিকা প্রদান করতে হবে।
খরার সময় করণীয়: এ সময় প্রকৃতিতে ঘাস উৎপাদন কমে যায়। এ ক্ষেত্রে পশুকে সুবিধামতো বিভিন্ন গাছের পাতা খাওয়াতে হবে। পশুকে অতি গরমের কারণে খোলাস্থানে বেঁধে রাখা ঠিক নয়। তাই গরমের সময় পশুকে গাছের নিচে ছায়াযুক্ত স্থানে রাখতে হবে। এ সময় পশুকে প্রচুর খাবার পানি সরবরাহ করতে হবে। অন্যান্য খাদ্যের সাথে দানাজাতীয় খৈল, ভুসি, ভাত গোলানো মাড় খেতে দিতে হবে। পশুকে ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক টিকা প্রদান করতে হবে।
লবণাক্ততা, বন্যা ও খরাপীড়িত এলাকায় পশুর জন্য নেপিয়ার, পারা, জার্মান জাতের ঘাস চাষ করা যায়। তা ছাড়া খরার সময় সংরক্ষিত সবুজ ঘাস, আখের উপজাত, কলাগাছ, ইপিল ইপিল গাছের পাতা ইত্যাদি গোখাদ্য হিসেবে বেশ উপযোগী।
বর্তমানে বিশেষ পদ্ধতিতে উৎপাদিত সবুজ শৈবালও পশুকে খাওয়ানো হচ্ছে। তাই খরার সময় এ নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

