• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • অষ্টম শ্রেণি
  • কৃষি ও জলবায়ু
কৃষি ও জলবায়ু

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

কৃষি ও জলবায়ু

বিরূপ আবহাওয়ায় পশুপাখি রক্ষার কৌশল

যেকোনো দেশেরই তার আবহাওয়া ও ভূপ্রকৃতির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি একটি নির্দিষ্ট নিয়মে চক্রাকারে চলতে থাকে। কিন্তু নিয়মের বাইরে হঠাৎ করে অকালবন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টি, অতিঠান্ডা, ভূমিকম্প ইত্যাদি মানুষ ও পশুপাখির অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। হঠাৎ করে দেখা দেওয়া পরিবেশের এরূপ আচরণকে বিরূপ আবহাওয়া বলা হয়। মনে রাখতে হবে প্রতিকূল পরিবেশ স্বাভাবিক নিয়মে প্রতি বছর আসে কিন্তু বিরূপ আবহাওয়া হঠাৎ করে চলে আসে। পশুপাখির উপর বিরূপ আবহাওয়ার প্রভাব নিম্নে দেওয়া হলো-

  • বিরূপ আবহাওয়ায় পশুর অভিযোজন হতে সময় লাগে।
  • পশুপাখির খাদ্যের অভাব দেখা দেয়।
  • পশুপাখি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।
  • জীবিত পশুপাখির দুধ, মাংস ও ডিম উৎপাদন কমে যায়।
  • অনেক পশুপাখির মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে।

​যেহেতু বিরূপ আবহাওয়া হঠাৎ করে সৃষ্টি হয়, তাই এ সমস্যাকে মোকাবেলার জন্য কোনো পূর্বপ্রস্তুতি থাকে না, ফলে এর সমাধান কঠিন হয়ে পড়ে। বিরূপ আবহাওয়া হঠাৎ সৃষ্টি হলেও তা কখন হতে পারে এ সম্পর্কে বর্তমানে আবহাওয়াবিদগণ পূর্বাভাস দিয়ে থাকেন। তাই সে মোতাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য প্রস্তুতি থাকা আবশ্যক। বিরূপ আবহাওয়া মোকাবেলা একটি স্বল্পমেয়াদি কার্যক্রম। কিন্তু প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলার জন্য দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হয়।

বিরূপ আবহাওয়ায় বিশেষ করে বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের সময় মানুষ নিজেই অসহায় থাকে। তবুও এ সময় পশুপাখি রক্ষার চেষ্টা করতে হবে। হঠাৎ জলাবদ্ধতা ও বন্যার সৃষ্টি হলে অপেক্ষাকৃত উঁচু স্থানে পশুপাখিকে আশ্রয় দিতে হবে। আগেই সংরক্ষণ করা খড়, গাছের পাতা, কচুরিপানা ও দানাদার খাদ্য পশুকে সরবরাহ করতে হবে। অতিবৃষ্টিতে পশুকে ঘরের বাইরে নেওয়া সম্ভব হয় না, তাই এ সময়ও পশুকে উল্লিখিত খাদ্য খেতে দিতে হয়। বিশেষ করে ছাগলের জন্য কাঁঠাল পাতা সংগ্রহ করে তার সামনে ঝুলিয়ে দিতে হবে।

শীতের সময় পশুকে অতিঠান্ডার হাত থেকে রক্ষার জন্য পশুর ঘরের চারপাশে বাতাস চলাচল বন্ধ করতে হবে। ঘরের মেঝেতে খড় বা নাড়া বিছিয়ে দিতে হবে। গরুর বাছুর যাতে নিউমোনিয়া আক্রান্ত না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।

ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে মৃত পশুপাখিকে মাটির নিচে চাপা দিতে হবে। পশু ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক বেঁচে থাকা অসুস্থ পশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

পরবর্তী

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ