• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • অষ্টম শ্রেণি
  • কৃষিজ উৎপাদন
কৃষিজ উৎপাদন

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

কৃষিজ উৎপাদন

গরু পালনের জন্য একটি আদর্শ গোয়ালঘর

মানুষের মতো পশুপাখিদের আশ্রয়ের প্রয়োজন রয়েছে। সুস্থভাবে বাঁচা এবং অধিক উৎপাদনের জন্য পশুর ঘর তৈরি করতে হয়। পশুর থাকা খাওয়া ও বিশ্রামের জন্য যে আরামদায়ক ঘরে আশ্রয় দেওয়া হয় তাকে গোয়াল ঘর বলে। গোয়ালঘরে পশুকে ২৪ ঘণ্টা আবদ্ধ না রেখে মাঝে মধ্যে আলো বাতাসে ঘুরিয়ে আনা পশুর স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
একটি আদর্শ গোয়ালঘরের স্থান নির্বাচন: পারিবারিক বা বাণিজ্যিক যে উদ্দেশেই গরু পালন করা

হোক না কেন খামারিকে গোয়ালঘরের স্থান নির্বাচনের সময় নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ বিবেচনা করতে হবে-

  • গোয়ালঘর উঁচু স্থানে করতে হবে।
  • পশুর সংখ্যার বিষয়টি মনে রাখতে হবে।
  • গোয়ালঘর মানুষের বাসস্থান থেকে দূরে হবে।
  • গোয়ালঘর বা খামার এলাকা থেকে সহজে পানি নিষ্কাশন হতে হবে।
  • গোয়ালঘরের চারপাশ পরিষ্কার হবে।
  • গোয়ালঘরে যেন সূর্যের আলো পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
  • পশুর জন্য খাদ্য ও পানি সরবরাহের বিষয়টি মনে রাখতে হবে।
  • বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে গোয়ালঘর তৈরির সময় বাজার ও যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয় চিন্তা করতে হবে।

পশুর বাসস্থান বা গোয়ালঘরের অনেক সুবিধা রয়েছে। গোয়ালঘরে একক বা দলগতভাবে পশু পালন করলে ব্যবস্থাপনা অনেক সহজ হয় ও উৎপাদন খরচ কমে আসে। নিম্নে গোয়ালঘর বা খামারে পশু পালন করার সুবিধাসমূহ বর্ণনা করা হলো-

  • পশুর একক ও নিবিড় যত্ন নেওয়া সহজ হয়।
  • পশু থেকে অধিক দুধ ও মাংস পাওয়া যায়।
  • রোদ, বৃষ্টি ও ঝড় থেকে পশুকে রক্ষা করা যায়।
  • পোকামাকড় ও বন্য পশুপাখি থেকে রক্ষা করা যায়।
  • দুগ্ধ দোহন সহজ হয়।
  • গোয়ালঘরে রাখার কারণে পশু শান্ত হয়ে ওঠে।
  • রোগ প্রতিরোধ সম্ভব হয়।
  • চিকিৎসাসেবা সহজ হয়।
  • সহজে গোয়ালঘর পরিষ্কার করা যায়।
  • গোবর ও অন্যান্য বর্জ্য সংরক্ষণ করা সহজ হয়।
  • শ্রমিক কম লাগে ও উৎপাদন খরচ কমে আসে।

গোয়ালঘরের আকার পশুর সংখ্যার উপর নির্ভর করে। পশুর সংখ্যা ১০ এর কম হলে এক সারিবিশিষ্ট ঘর এবং ১০ বা তার অধিক হলে দুই সারিবিশিষ্ট ঘর তৈরি করতে হবে।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ