- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- অষ্টম শ্রেণি
- কৃষিজ উৎপাদন
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
কৃষিজ উৎপাদন
গরুর রোগ ব্যবস্থাপনা
গবাদিপশুর খামারে রোগ ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পশুর রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রোগ ব্যবস্থাপনা করা হয়। পশু খামারে রোগ না হওয়ার জন্য গৃহীত উপায়সমূহকে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বলা হয়। খামারে রোগ দেখা দেওয়ার পর চিকিৎসাসহ অন্যান্য গৃহীত পদক্ষেপের মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
পশুর রোগ প্রতিরোধের উপায়সমূহ: পশুর স্বাস্থ্য ও উৎপাদন ঠিক রাখার জন্য স্বাস্থ্যসম্মত পালন ব্যবস্থার বিকল্প নেই। চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি প্রবাদ হচ্ছে "রোগব্যাধির চিকিৎসা অপেক্ষা প্রতিরোধই শ্রেয়"। তাই পশু খামারের উৎপাদন চলমান রাখার জন্য পশুর রোগ প্রতিরোধের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করতে হবে। নিম্নে পশু খামারে রোগ প্রতিরোধের উপায়সমূহ বর্ণনা করা হলো-
১। গোয়ালঘর ও এর চারপাশ নিয়মিত পরিষ্কার ও শুকনো রাখা।
২। কুকুর, বিড়াল ও অন্যান্য বন্য পশুকে খামারে ঢুকতে না দেওয়া।
৩। খামারে সাধারণ মানুষের প্রবেশ বন্ধ করা।
৪। পশুকে নিয়মিত টিকা দেওয়া।
৫। পশুকে সময়মতো কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ানো।
৬। পশুকে সুষম খাবার সরবরাহ করতে হবে।
৭। খাদ্যের পাত্র ও পানির পাত্র প্রতিদিন পরিষ্কার করা।
৮। পশুকে তাজা খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা।
৯। সম্ভব হলে বিভিন্ন বয়সের গরুকে আলাদা রাখা।
১০। পশুকে অতি গরম ও ঠান্ডা হতে রক্ষার ব্যবস্থা করা।
গবাদিপশুর রোগ হলে করণীয় পশুতে রোগ দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে রোগ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ সময় নিম্নে বর্ণিত বিষয়সমূহ অনুসরণ করতে হবে-
১। রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে অসুস্থ পশুকে সুস্থ পশুর দল থেকে আলাদা করা।
২। অসুস্থ পশুকে চিকিৎসা প্রদান করা।
৩। অসুস্থ পশুকে আলাদা ঘরে পর্যবেক্ষণ করা।
৪। প্রয়োজনে অসুস্থ পশুর রক্ত ও মলমূত্র পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।
৫। রোগাক্রান্ত পশুকে বাজারজাত না করা।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

