• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

রাজনৈতিক দল, নেতৃত্ব ও সুশাসন

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

রাজনৈতিক দল, নেতৃত্ব ও সুশাসন

দ্বি-দলীয় ব্যবস্থার গুণ বা সুবিধা Merits of Bi-party System

দ্বি-দলীয় ব্যবস্থার কয়েকটি সুচিন্তিত গুণ বা ভালো দিক রয়েছে। বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দ্বি-দলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থার গুণ উল্লেখ করে এর সপক্ষে যুক্তি প্রদর্শন করেছেন। নিম্নে দ্বি-দলীয় ব্যবস্থার গুণ বা সুবিধাসমূহ তুলে ধরা হলো:

১. সরকারের স্থায়িত্ব: দ্বি-দলীয় ব্যবস্থা বিশেষভাবে সংসদীয় শাসনব্যবস্থার পক্ষে উপযোগী। কেননা একটি দেশে দুটি দল থাকলে একটি দল নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে দৃঢ় ও শক্তিশালী সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়। ফলে সরকারের স্থায়িত্ব নিশ্চিত হয়। 

২. সুসংগঠিত বিরোধী দল দ্বি-দলীয় ব্যবস্থায় সরকার বা ক্ষমতাসীন দল যেমন শক্তিশালী হয়; তেমনি বিরোধী দলও শক্তিশালী হয়। ফলে শক্তিশালী এবং সুসংগঠিত বিরোধী দল গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।

৩. নীতি নির্ধারণ ও পরিচালনায় সুবিধা: দ্বি-দলীয় ব্যবস্থায় একটি দল সরকার গঠন করে এবং অন্য দলটি বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করে। তখন সরকারি ক্ষমতা সরকারি দলের হাতেই কেন্দ্রীভূত থাকে। ফলে যেকোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত স্বেচ্ছায় এবং অতিসহজেই গ্রহণ করা সম্ভব হয়।

৪. সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ দ্বি-দলীয় ব্যবস্থায় ক্ষমতাসীন দলকে অন্য কোনো দলের উপর নির্ভরশীল হতে হয় না। এতে সরকারি ক্ষমতা ক্ষমতাসীন দলের হাতেই ন্যস্ত থাকে। ফলে তারা যেকোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত স্বেচ্ছায় এবং অতি সহজেই গ্রহণ করতে পারে।

৫. প্রার্থী বাছাইয়ে সুবিধা: দ্বি-দলীয় ব্যবস্থায় দুটি দলের সুনির্দিষ্ট দুটি বিকল্প আদর্শ, নীতি ও কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে দুটি দলের মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। ফলে জনগণের পক্ষে নীতি নির্ধারণ ও প্রার্থী নির্বাচন করা সহজতর হয়।

৬. জাতীয় স্বার্থের সংরক্ষক দ্বি-দলীয় ব্যবস্থায় ক্ষমতাসীন সরকারি দল এবং শক্তিশালী বিরোধী দল নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে জনগণের কাছে দায়িত্বশীল থাকে। এজন্য জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের ব্যাপারে উভয় দলকেই সতর্ক থাকতে হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ