- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
রাজনৈতিক দল, নেতৃত্ব ও সুশাসন
নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of leadership)
নেতৃত্বের ধারণা এবং নেতৃত্বের ধরন ও প্রকৃতির আলোচনা থেকে স্পষ্টতই বুঝা যায় যে, নেতৃত্বের কতকগুলো স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিম্নে নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরা হলো:
১. সামাজিক গুণ: নেতৃত্ব একটি অসাধারণ সামাজিক গুণ যা দ্বারা অন্যকে আকৃষ্ট করা যায়। এই অনন্য সাধারণ গুণ সবার মধ্যে থাকে না। কেবলমাত্র সংগঠন, দল বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই গুণের প্রকাশ ঘটে।
২. মোহনীয় গুণ: নেতৃত্ব হলো অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং মোহনীয় গুণ যা সমাজকে প্রভাবিত করে অনুপ্রেরণা দেয় এবং উদ্বুদ্ধ করে। জনগণ নেতার এরূপ গুণে মুগ্ধ হয়ে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে।
৩. চেষ্টালব্ধ: নেতৃত্বকে অনেকেই জন্মসূত্রে প্রাপ্ত গুণ বললেও নেতৃত্ব মূলত অর্জিত গুণ বা নৈপুণ্য। উন্নত প্রশিক্ষণ এবং অনুশীলনের মাধ্যমে এই গুণ অর্জন করা সম্ভব। আর এরূপ নেতৃত্বই দক্ষ, অভিজ্ঞ ও স্থায়ী হয়।
৪. আনুগত্য। আনুগত্য ও শ্রদ্ধা নেতৃত্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। কর্মী ও অনুসারীরা নেতার প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করে এবং নেতাকে শ্রদ্ধা করে থাকেন। নেতা সমাজে প্রধান ব্যক্তির মর্যাদা লাভ করেন। কেননা, নেতা তার অনুসারীদের কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হন। নেতা সকলের পক্ষে বক্তব্য দেন এবং সকলের প্রতিনিধিত্ব করেন।
৫. নেতার সাথে জনগণের একাত্মতা নেতৃত্ব এমন মোহনীয় এবং আকর্ষণীয় গুণ যার ফলে অনুসারীরা নেতার ধ্যান-ধারণার সাথে একাত্ম হয়ে পড়ে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী লাসওয়েল (Laswell)-এর মতে, "সাধারণ জনগণ নেতার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে এবং তার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে।"
৬. কর্তৃত্বধারী গুণ বিশেষ: নেতৃত্ব এমন কর্তৃত্বধারী গুণ যা জনসাধারণকে আনুগত্য স্বীকারে উদ্বুদ্ধ করে এবং সঠিক পথে পরিচালিত করে। নেতার এরূপ গুণ জনগণ তথা অনুসারীদের ওপর প্রভাব বিস্তারে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ