• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

জনসেবা ও আমলাতন্ত্র

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

জনসেবা ও আমলাতন্ত্র

আমলাতন্ত্র Bureaucracy

আধুনিক জাতীয় রাষ্ট্রের উদ্ভব ও বিকাশের সাথে সাথে আমলাতন্ত্রের উদ্ভব ও বিকাশ ঘটে। অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতকে পশ্চিম ইউরোপ ও বিংশ শতাব্দীতে বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের বৃহদায়তন সংগঠন পরিচালনার জন্য আমলাতন্ত্র অপরিহার্য হয়ে পড়ে। রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের স্থায়ী বা অরাজনৈতিক অংশই আমলাতন্ত্র বা সিভিল সার্ভিস (Civil service) নামে পরিচিত। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে প্রাত্যহিক দায়িত্ব পালনের জন্য এই আমলাতন্ত্রের অপরিহার্যতা অনস্বীকার্য। বস্তুত প্রশাসনের রাজনৈতিক অংশ তথা মন্ত্রিসভাকে শাসনকার্য পরিচালনার জন্য অরাজনৈতিক প্রশাসক তথা সরকারের স্থায়ী কর্মচারীদের উপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল থাকতে হয়। রাষ্ট্রপ্রধান ও মন্ত্রিসভার নিচে শাসন বিভাগের যে সমস্ত স্থায়ী কর্মচারী থাকেন (বিশেষত উচ্চপদস্থ) তাদের আমলা (Bureaucrat) বলা হয়, আর আমলাদের দ্বারা পরিচালিত শাসনব্যবস্থাই হলো আমলাতন্ত্র (Bureaucracy)। আধুনিককালে জাতীয় রাষ্ট্রসমূহের বিশাল আয়তন, বিপুল জনসংখ্যা আর ব্যাপক কর্মকাণ্ডের জন্য আমলাতন্ত্রকে নীতিনির্ধারণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভাকে পরামর্শদান, সরকার ও জনগণের মধ্যে সংযোগ সাধন, রাজনৈতিক ব্যবস্থার ধারাবাহিকতা সংরক্ষণ, সমাজ পরিবর্তন ও আধুনিকায়নের মতো অতীব জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ কার্য সম্পাদন করতে হয়।

পূর্ববর্তী

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ