- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
- প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং ভার্সাই সন্ধি
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং ভার্সাই সন্ধি
কাইজার দ্বিতীয় উইলিয়াম (Kaiser William II 1859-1941) (১৮৫৯-১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ)
১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে জানুয়ারি বার্লিনে জন্মগ্রহণ করেন কাইজার উইলিয়াম। ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দে বিসমার্কের বিদায়ের পর তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। এজন্য তাকে সাবেক প্রুশিয়ান সাম্রাজ্যের সর্বশেষ সম্রাট বলা হয়। সিংহাসনে আরোহণ করেই কাইজার দ্বিতীয় উইলিয়াম পূর্বসূরি-বিসমার্কের আত্মরক্ষামূলক পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে গিয়ে আক্রমণাত্মক নীতি গ্রহণ করেন। ফলে উপনিবেশ নিয়ে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের সাথে জার্মানির দ্বন্দ্ব ও প্রতিযোগিতা বৈশ্বিক রাজনীতিকে উত্তপ্ত করে তোলে। জার্মানির আক্রমণাত্মক মনোভাবের চূড়ান্ত পরিণতি প্রথম মহাযুদ্ধ। এখানে উল্লেখ্য যে, কাইজার দ্বিতীয় উইলিয়াম অস্ট্রিয়ার যুবরাজ ফ্রান্সিস ফার্দিনান্দের অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিলেন, যার কারণে ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে সার্বিয়ায় যুবরাজ নিহত হওয়ার পর কাইজার অস্ট্রিয়াকে সব রকমের সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে অস্ট্রিয়া সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে; নয়তো একা অস্ট্রিয়ার পক্ষে যুদ্ধের ঘোষণা দেওয়ার সামর্থ্য বা সাহস কোনোটিই ছিল না। এদিক থেকে বিবেচনা করলে কাইজার উইলিয়াম প্রথম বিশ্বযুদ্ধের জন্য দায়ী- একথা জোরালোভাবেই বলা যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি ও তার মিত্রদের পরাজয় ঘটলে ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দে কাইজার দ্বিতীয় উইলিয়াম নেদারল্যান্ডে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং সেখানেই ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে ৮২ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

