- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
ই-গভর্নেন্স ও সুশাসন
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ই-গভর্নেন্স ও সুশাসন
ই-গভর্নেন্সের বিভিন্ন ক্ষেত্র (Spaces of E-Governance)
বিভিন্ন লেখক ই-গভর্নেন্সের বিভিন্ন ক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করেছেন। ডয়েস (Dawes)-ই-গভর্নেন্সের চারটি ক্ষেত্রের উল্লেখ করেছেন। তার মতে, এসব ক্ষেত্র হলো ই-যোগ (E-Service), ই-গণতন্ত্র (E-Democracy), ই-বাণিজ্য (E-Commerce) ও ই-ব্যবস্থাপনা (E-Management)। হিকম ই-গভর্নেন্সের তিনটি ক্ষেত্রের কথা বলেছেন, যথা ই-প্রশাসন (E-
Administration), ই-সেবা (L-Services) ও ই-সমাজ (E-Society)।
নিচে ই-গভর্নেন্সের বিভিন্ন ক্ষেত্র সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:
ই-প্রশাসন (E-Administration): তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে সরকার ও বিভিন্ন প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা, তদারকি, নিয়ন্ত্রণ, সমন্বয়সহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়াই হলো ই-প্রশাসন।
ই-নাগরিক (E-Citizen): তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে যারা সরকারের বিভিন্ন তথ্য ও সেবা গ্রহণ করতে সক্ষম, সেই সব নাগরিককে ই-নাগরিক বলা হয়।
ই-সেবা (E-Service): ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক উপায়ে নাগরিকদের সরকারি তথ্য, কর্মসূচিসহ বিভিন্ন সুবিধা প্রদানকে ই-সেবা বলা হয়। ই-সেবা ক্রমান্বয়ে তথ্য প্রবাহ সৃষ্টি, সরবরাহ, উন্নত সেবা প্রদান এবং উভয়মুখী যোগাযোগ প্রক্রিয়ায় সরকারের সাথে নাগরিকদের সংযোগ স্থাপন ও সম্পর্কের উন্নয়ন সাধন করে।
ই-গণতন্ত্র (E-Democracy): ই-গণতন্ত্র বলতে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে রাজনীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ বোঝায়।
ই-ব্যবস্থাপনা (E-Management): ই-ব্যবস্থাপনা বলতে সরকারি নীতি, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহারকে বোঝায়, যা ই-গভর্নেন্সের বিভিন্ন কার্যক্রম ও সেবার কাজকে ত্বরান্বিত করে।
ই-ব্যবসা (E-Business): ই-ব্যবসা বলতে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে পণ্যদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সেবা প্রদান ইত্যাদি ব্যবসা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড পরিচালনা করাকে বোঝায়।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ