- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
ই-গভর্নেন্স ও সুশাসন
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
ই-গভর্নেন্স ও সুশাসন
বাংলাদেশে ই-গভর্নেন্স-এর কার্যক্রম Activities of E-governance in Bangladesh
বাংলাদেশে ই-গভর্নেন্স কার্যক্রম জোরেশোরেই শুরু হয়েছে। বর্তমান সরকার ভিশন-২০২১ এর অধীন বাংলাদেশকে ডিজিটাল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। দেশের ই-গর্ভনেন্স কার্যক্রমের সমন্বয় করছে পরিকল্পনা কমিশন পরিচালিত Support to ICT Task force Programme-SICT নামের একটি প্রকল্প। বাংলাদেশ সরকার ই-গভর্নেন্সের মাধ্যমে জনগণকে যেসব সেবা প্রদান করছে তা নিম্নরূপ:
১. ই-মেইল সার্ভিস সরকার ই-গভর্নেন্সের আওতায় ই-মেইল (ইলেক্ট্রনিক মেইলিং) সার্ভিস চালু করেছে। ফলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের মাধ্যমে পারস্পরিক যোগাযোগ সহজ হয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহেও জনগণ এ সার্ভিসের মধ্য দিয়ে ডকুমেন্টস, চিঠিপত্র আদান-প্রদানের সুবিধা ভোগ করছে।
২. ফাইল ট্রাকিং: ফাইল ট্রাকিং সিস্টেমের প্রবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ফাইল ট্রাকিং সিস্টেম প্রবর্তনের মাধ্যমে বিভিন্ন অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা দূরীকরণে কার্যকর সুপারভিশন সম্ভব হবে।
৩. জেলা ওয়েব পোর্টাল দেশের সকল জেলায় ডিজিটাল কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা তথ্য বাতায়ন বাংলা ভাষায় তৈরি করা হয়েছে। তথ্য বাতায়নের নির্দিষ্ট লিংকে জনগণের অভিযোগ করার সুযোগ রয়েছে, যা দ্রুত গ্রহণ ও নিষ্পন্ন করা হয়।
৪. ভিডিও কনফারেন্স: Group Discussion Support System (GDSS) মূলত একটি আধুনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে যেকোনো গ্রুপ ডিসকাসন সরাসরি না করে ভিডিও কনফারেন্সের সাহায্যে আরও উন্নতভাবে করা যায়। সরকার তাই দ্রুত, সহজ ও কম খরচে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়া সম্পাদনের জন্য ই-গভর্নেন্সের আওতায় GDSS-এর উপর অধিক গুরুত্ব দিয়েছে।
৫. সমন্বিত ডাটাবেজ সাপোর্ট: বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরকে বিভিন্ন ধরনের ডাটা ও তথ্য নিয়ে কাজ করতে হয়। তাই সরকার একটি কার্যকর ই-গভর্নেন্স সিস্টেম গড়ে তোলার স্বার্থে একটি সমন্বিত ডাটাবেজ সাপোর্ট ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
৬. ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র বাংলাদেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তথ্য ও সেবা কেন্দ্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার নয়া দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এর ফলে গ্রামাঞ্চলের মানুষ খুব সহজেই সরকারি ফরম, নোটিশ, পাসপোর্ট ও ভিসা সংক্রান্ত তথ্য, চাকরির খবর, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলসহ অন্যান্য সরকারি সেবা লাভ করতে পারবেন।
৭. জেলা ই-সেবা কেন্দ্র জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে প্রদেয় সবরকম সেবা সহজে ও দুর্নীতিমুক্ত উপায়ে জনগণের কাছে পৌছানোর লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের অফিসে জেলা ই-সেবা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এতে জনগণের হয়রানি কমেছে, সময় ও অর্থের সাশ্রয় হয়েছে।
৮. জাতীয় ই-তথ্য: জনগণ যাতে এক জায়গায় সবরকমের তথ্য পেতে পারে সেই লক্ষ্যে এ প্রকল্পের আওতায় জাতীয় পর্যায়ে ই-তথ্য সেল গঠন করা হয়েছে। এতে কৃষি, শিল্প, স্বাস্থ্য, আইন ও মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য, ছবি, ভিডিও চিত্র সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
৯. ই-পুলিশি ব্যবস্থা জনগণের সাথে পুলিশের সেতুবন্ধন তৈরি করতে ই-পুলিশ প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। ই-পুলিশ ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণ সব ধরনের পুলিশি সহায়তা পাবেন। যেমন- অনলাইনে জিডি করা, ই-মেইল করা ইত্যাদি।
১০. একসেস টু ইনফরমেশন (A-21) প্রোগ্রাম: তথ্য ও সেবা সকল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে ইউএনডিপির (UNDP) অর্থায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে Access to Information (A-21) কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ