• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

ই-গভর্নেন্স ও সুশাসন

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ই-গভর্নেন্স ও সুশাসন

সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ই-গভর্নেন্সের সুবিধা Advantage of E-governance to Establish Good Governance

সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ই-গভর্নেন্সের অনেক সুবিধা রয়েছে। তন্মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সুবিধা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

১. সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি: ই-গভর্নেন্স প্রবর্তিত হলে সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে। সরকার ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাহায্যে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করলে যেমন নাগরিকগণ দ্রুত অবগত হতে পারে তেমনি নাগরিকগণও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের (ফেসবুক, টুইটার) সাহায্যে তাদের দাবিদাওয়া সরকারকে জানাতে পারে।

২. সরকারের স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি: ই-গভর্নেন্সের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো তথ্যের অবাধ প্রবাহ। এর ফলে একদিকে সরকারি কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা (Transparency) বৃদ্ধি পায় এবং অপরদিকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী তথা সরকারের দায়িত্বশীলতা (Responsibility) বৃদ্ধি পায়, যা সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য।

৩. দুর্নীতি হ্রাস: ই-গভর্নেন্স সরকারি প্রশাসনে দুর্নীতি হ্রাস করে। কেননা সরকারের সকল তথ্য সহজেই জনগণ জানতে পারে এবং ডাউনলোড করে রাখতে পারে। এর ফলে সরকারের প্রশাসন দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করতে পারে না।

৪. সরকারি কাজের গতি বৃদ্ধি: ই-গভর্নেন্সের আর একটি সুবিধা হলো এটি সরকারি কাজের গতি বৃদ্ধি করে। সরকার তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তথা সিদ্ধান্তগুলো অল্প সময়ে সরকারি বিভিন্ন অফিস ও নাগরিকদের ইলেকট্রনিক মাধ্যমে (যেমন-ইন্টারনেট, মোবাইল, টেলিফোন, ফ্যাক্স) জানাতে পারে। এতে কাজের গতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।

৫. ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধে সাহায্য করে ই-গভর্নেন্স সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধে সাহায্য করে। ই-গভর্নেন্সের কারণে সরকার ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ কোনো কাজে অবৈধ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কারণ ই-গভর্নেন্সে সরকারি তথ্যগুলোকে ফাইলবন্দি করে রাখা যায় না।

৬. নাগরিকদের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করে ই-গভর্নেন্সের অন্যতম উল্লেখযোগ্য আর একটি সুবিধা হলো এটি নাগরিকদের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করে। বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে তথ্য অধিকার আইন দ্বারা নাগরিকদের যে তথ্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে তা ই-গভর্নেন্স সুনিশ্চিত করে। থ্য অধিকার ও

৭. দেশের সার্বিক উন্নয়ন সর্বোপরি ই-গভর্নেন্স দেশের সার্বিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কারণ ই-গভর্নেন্সের মাধ্যমে সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে সহজে তথ্যের আদান-প্রদান হয়, যা সরকার ও নাগরিকদের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

৮. সরকার ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগ: ই-গভর্নেন্সের অন্যতম সুবিধা হলো সরকার ও জনগণের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যোগাযোগ স্থাপন। জনগণ ই-মেইল, ইন্টারনেট ব্যবহার করে সরকারের সকল মন্ত্রণালয়, প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। এতে দেশের উন্নয়ন ও ভালো পরিবেশ ত্বরান্বিত হয়।

৯. মানব সম্পদের উন্নয়ন ই-গভর্নেন্সের ফলে দেশের মানব সম্পদের উন্নয়ন ঘটে। সরকার ই-গভর্নেন্সের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ সাধন করে। ফলে বেকার ও অদক্ষ জনগোষ্ঠীর তথ্যপ্রযুক্তির জগতে প্রবেশ করে নিজেদের তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষায় দক্ষ করে তোলে। ফলে মানব সম্পদের উন্নয়ন ঘটে।

১০. পরিবেশগত সুবিধা: ই-গভর্নেন্সের ফলে বিভিন্ন পেশাজীবী ও সচেতন জনগণ ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনেক বিষয়ে অবগত হয়। এ কারণে কাগজের ব্যবহার কমে আসছে। এ পরিবেশগত দিকটা অনেকাংশে উন্নত হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ