- হোম
- একাডেমি
- সাধারণ
- একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
- বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধ
পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধ
বাঙালি নেতৃবৃন্দের ভারতে আশ্রয় গ্রহণ এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা
২৫ মার্চ কালরাতে পাকহানাদার বাহিনীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট প্রভৃতি নারকীয় তাণ্ডব দেখে বাঙালি নেতৃবৃন্দ বিশেষ করে আওয়ামী লীগের প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত সদস্যবৃন্দ তাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, এ. এইচ. এম. কামরুজ্জামান, মাওলানা ভাসানী, তোফায়েল আহমদ, শেখ ফজলুল হক মনি সহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সেখানে তারা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। তারা ভারতের প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন। এদিকে পাকহানাদার বাহিনী ও তার দোসর আল-বদর, রাজাকার এবং আল-শামস বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সবকিছু ছেড়ে, সবকিছু রেখে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করে।
প্রতিদিন এভাবে শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়তে থাকলে ভারতের শরণার্থী শিবিরগুলো অসহায় মানুষের ভীরে জনাকীর্ণ হয়ে পড়ে। বাড়তি লোকের চাপ সামলাতে ভারত সরকার হিমশিম খেয়ে যায়। এমতাবস্থায় বাঙালি নেতৃবৃন্দ 'শরণার্থীদের দেখভাল করার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তারা ভারত সরকারের সাহায্য প্রার্থনা করেন। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার গঠন, মুজিবনগর সরকারের শপথ অনুষ্ঠান এবং স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় উক্ত নেতৃবৃন্দের অবদান অপরিসীম। এছাড়া উক্ত নেতৃবৃন্দ ভারত থেকে একদিকে যেমন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় সহায়ক ভূমিকা রেখেছেন, অন্যদিকে বাংলাদেশের পক্ষে বহির্বিশ্বের কাছে জনসমর্থন আদায়ে ভূমিকা রেখেছেন। এসবের পেছনে ভারত সরকারের ত্যাগ ও সহমর্মিতা অতুলনীয়।
সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ

