• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
  • বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধ

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধ

প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার গঠন ও মুজিবনগর সরকারের শপথ অনুষ্ঠান

প্রবাসী বাংলাদেশের সরকার গঠন (Formation of Bangladesh Government) ১৯৭১ সালের ১ এপ্রিল তাজউদ্দিন আহমদ, ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম দিল্লি গিয়ে তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মিসেস ইন্দিরা গান্ধীর সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং পরিস্থিতি জানিয়ে সামরিক সাহায্য প্রার্থনা করেন। কিন্তু তখন বাংলাদেশে কোনো আনুষ্ঠানিক সরকার না থাকায় আইনগত অধিকার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তখন তাজউদ্দিন আহমেদ নিজেকে প্রধানমন্ত্রী এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন। ইন্দিরা গান্ধী এই অস্থায়ী সরকারকে স্বীকৃতি দেয়। তাজউদ্দীন সাত দিন দিল্লিতে অবস্থান করে কলকাতায় ফিরে আসেন। সেখানে অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ যারা বাংলাদেশ থেকে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি তাদের সাথে আলোচনা করে একটি বিপ্লবী কাউন্সিল গঠন করেন। এ সময় বাংলাদেশের অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ পূর্বের ধারণ করা রেকর্ডকৃত একটি বাণী শিলিগুড়ি বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচার করার ব্যবস্থা করেন। এই ট্রান্সমিটারের নাম দেওয়া হয় 'স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র'। তাজউদ্দিন আহমেদের রেকর্ডকৃত উক্ত বাণীটি ছিল, "২৫ মার্চ মাঝ রাতে ইয়াহিয়া খান তার রক্তলোলুপ সাজোয়া বাহিনীকে বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর লেলিয়ে দিয়ে যে নরহত্যাযজ্ঞ শুরু করেন তা প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়ে আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন।"

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ