• হোম
  • স্কুল ১-১২
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতি || Islamic Education and Culture

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতি || Islamic Education and Culture

ইসলামি সংস্কৃতির পরিচয়- Introduction to Islamic Culture

সংস্কৃতির পরিচয়

সংস্কৃতির আরবি প্রতিশব্দ (সাকাফাহ) বা (তাহযীব)। একে উর্দুতে বলা হয় ‘তামাদ্দুন’। সংস্কৃতি একটি জাতি বা সমাজের দর্পণ। এর মাধ্যমেই একটি জাতি বা সমাজের শৈল্পিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাহিত্যিক দিকের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। কোনো জাতির পরিশীলিত ও পরিমার্জিত কার্যকলাপের বহিঃপ্রকাশকে সংস্কৃতি বলে ।

ইসলামি সংস্কৃতির পরিচয়

ইসলামি সংস্কৃতি একটি আদর্শিক সংস্কৃতি। ইসলামের নীতি ও আদর্শের আলোকে এ সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। ইসলাম মানবজাতির জীবনযাপনের যে বিধিব্যবস্থা দিয়েছে তার ব্যাবহারিক দিক হলো ইসলামি সংস্কৃতি।

প্রখ্যাত মুসলিম দার্শনিক 'ক্রিড অব ইসলাম' গ্রন্থের লেখক আল্লামা আবুল হাশিম বলেন, “মানুষের শারীরিক ও মানসিক বৃত্তিসমূহের ইসলামি নীতি, আদর্শ ও শিক্ষাসম্মত উৎকর্ষসাধন পদ্ধতি এবং ব্যাবহারিক জীবনে তার বাস্তবরূপ হলো ইসলামি সংস্কৃতি।" দুনিয়া ও আখিরাতের এক মহত্তম সমন্বয় হচ্ছে ইসলামি সংস্কৃতি। মানুষের চিন্তা, স্বভাব, আচরণ, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রম এর অন্তর্ভুক্ত। এ সব বিষয়েই আল্লাহর নির্ধারিত আইন রয়েছে। ইসলামি সংস্কৃতি এ সব আইনের সমষ্টি।

সহজ ভাষায় বলা যায়, ইসলামি সংস্কৃতি হলো মুসলিম জাতির জীবনপদ্ধতি, যা কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে নির্ধারিত ও পরিচালিত হয় ।

ইসলামি সংস্কৃতির উৎস

ইসলাম আল্লাহ তায়ালা প্রদত্ত বিশ্বমানবতার জন্য এক মহান জীবনবিধান। আল্লাহর প্রিয়নবি হযরত মুহাম্মদ (স)-এর মাধ্যমে তিনি তা এ পৃথিবীতে উত্তমরূপে বাস্তবায়ন করেছেন। এর মধ্যে কোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটেনি। ইসলামি সংস্কৃতির বাস্তব রূপকার মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স)-এর ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى إِنْ هُوَ إِلَّا وَحى يُوحى .

অর্থ: সে (মুহাম্মদ স.) কখনো নিজের থেকে কোনো কথা বলে না, বরং তা হচ্ছে ওহি যা পাঠানো হয় (সুরা আন্- নাজম: ০৩-০৪)।

সুতরাং আল-কুরআনের বিধি-বিধানের পাশাপাশি মুহাম্মদ (স)-এর সুন্নাহ এবং এ দুটির মৌলিক নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ইজমা ও কিয়াসও ইসলামি আইনের উৎস। একই সাথে এ সব বিধি-বিধানের বাহিরে কোনো ধরনের নীতি ইসলাম গ্রহণ করে না এবং সমর্থনও করে না। ইসলামি সংস্কৃতির উৎস হলো চারটি— আল কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াস ।

ইসলামি সংস্কৃতির লক্ষ্য

ইসলামি সংস্কৃতির লক্ষ্য হলো এমন এক বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলা যেখানে মানুষ পরস্পরের সাথে হাসিমুখে কথা বলবে, একে অপরকে ভালোবাসবে, পরস্পরকে সাহায্য-সহযোগিতা, আদর-স্নেহ ও সম্মান প্রদর্শন করবে। যেখানে কেউ কারো সম্পর্কে গিবত করবে না, অপরের হক নষ্ট করবে না, অবৈধ লেনদেন করবে না, যিনা ব্যভিচারসহ যাবতীয় অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকবে। এতে সমাজ থেকে চুরি, ডাকাতি, মারামারি বিলুপ্ত হবে, মানুষের চরিত্র হবে উত্তম নৈতিকতাসম্পন্ন। অর্থাৎ ইসলামি সংস্কৃতির লক্ষ্য হলো ইহজগতকে একটি সুষ্ঠু ও শান্তির আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তোলা আর এর প্রতিদানরূপে পরকালে আল্লাহর পুরস্কার লাভ করা। ইসলামি সংস্কৃতির লক্ষ্য নির্ধারণে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা বলেন, অর্থ: বল আমার নামাজ, আমার কুরবানি, আমার জীবন, আমার মরণ (সবকিছুই) বিশ্ব প্রতিপালকের জন্য (সুরা আন্-আম: ১৬২)।

একক কাজ: ইসলামি সংস্কৃতি সম্পর্কে ৫টি বাক্য লেখো ।