• হোম
  • স্কুল ১-১২
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতি || Islamic Education and Culture

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

ইসলামি শিক্ষা ও সংস্কৃতি || Islamic Education and Culture

ইসলামি সংস্কৃতির গুরুত্ব- Importance of Islamic Culture

মুসলিম জাতির জাতীয় জীবনে ইসলামি সংস্কৃতির গুরুত্ব সীমাহীন। কেননা এ জাতির স্বাতন্ত্র্য, স্বকীয়তা, পরিচিতি, অস্তিত্ব- এ সবকিছুই ইসলামি সংস্কৃতির অনুশীলনের ওপর নির্ভর করে।

ইমান সংরক্ষণ: ইসলামি সংস্কৃতি মুমিনের ইমান অক্ষুণ্ণ রাখার রক্ষাকবচ। কেননা, এ সংস্কৃতি ইমানভিত্তিক । তাওহিদ, রিসালাত, আখিরাত প্রভৃতি বিষয়ে সুদৃঢ় বিশ্বাস পোষণ এবং ইমান সংশ্লিষ্ট অনুশীলন এ সংস্কৃতির মূল উপাদান। আল্লাহ তায়ালা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ امَنُوا إِن تُطِيعُوا فَرِيقًا مِنَ الَّذِينَ أوتُوا الْكِتَابَ يَرُدُّوكُمْ بَعْدَ إِيْمَانِكُمْ كَافِرِينَ .

অর্থ: হে মুমিনগণ! তোমরা যদি আহলি কিতাবদের কোনো দলের অনুসরণ কর তাহলে ইমান থেকে বিচ্যুত করে তারা তোমাদের কাফির হিসেবে প্রত্যাবর্তন করাবে (সুরা আলে ইমরান: ১০০)।

ইমানের পূর্ণতাসাধন: ইমানের তিনটি পর্যায় রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে অন্তরে সুদৃঢ় বিশ্বাস পোষণ করতে হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে মৌখিক স্বীকৃতি দিতে হয়। তৃতীয় বা চূড়ান্ত পর্যায়ে পূর্ববর্তী বিশ্বাস ও স্বীকৃতির বাস্তবায়ন করতে হয়। ইসলামি সংস্কৃতি হলো ইমানের এই চূড়ান্ত পর্যায়। কেননা এখানে ইসলামের নীতি ও দর্শন বাস্তবরূপ লাভ করে। যে জন্য এ সংস্কৃতি ইমানের পূর্ণতা প্রদান করে। আল্লাহ তায়ালা বলেন,

يَأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السّلْمِ كَأَفَةٌ وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوتِ الشَّيْطَنِ .

অর্থ: হে মুমিনগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে না (সুরা আল বাকারা: ২০৮)

জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষা: জাতীয় সংস্কৃতি জাতির পরিচিতির প্রতীক। এক জাতি থেকে অন্য জাতির নীতি, দর্শন ও চরিত্র সংস্কৃতির মাধ্যমে আলাদা অস্তিত্ব পায়। ইসলামি সংস্কৃতি মুসলিম জাতির অস্তিত্ব রক্ষা করে। রাসুলুল্লাহ (স) বলেন, beads by অর্থ: যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে (মুসনাদে আহমদ) । এজন্যই হিন্দুদের অনুকরণে তিলক ও পৈতা পরা, খ্রিষ্টানদের অনুকরণে ক্রুস পরা ইত্যাদি মুসলিমদের জন্য হারাম করা হয়েছে । দুনিয়া ও আখিরাতে সাফল্য লাভ: ইসলামি সংস্কৃতি একই সাথে দুনিয়াভিত্তিক এবং আখিরাতমুখী। এতে দুনিয়াকে উপেক্ষা বা অবজ্ঞা করা হয়নি বরং যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আখিরাতকে বলা হয়েছে মূলবিবেচ্য বিষয়। এভাবে ইসলামি সংস্কৃতি দুটি পর্যায়েই প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিয়ে ব্যক্তির পার্থিব সাফল্য লাভ যেমন নিশ্চিত করেছে তেমনি নিশ্চিত করেছে পরকালীন মুক্তি ।

আল্লাহ ও রাসুলুল্লাহ (স)-এর ভালোবাসা লাভ: ইসলামি সংস্কৃতি আল্লাহর বাণী ও রাসুলুল্লাহ (স)-এর জীবনাদর্শভিত্তিক। এ সংস্কৃতির প্রধান উৎস কুরআন ও সুন্নাহ। তাই এ সংস্কৃতির অনুশীলন মানে আল্লাহর নির্দেশ পালন এবং তাঁর প্রিয় হাবিবের জীবনাদর্শেরই অনুশীলন। ইসলামি সংস্কৃতি অনুশীলনের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা ও রাসুল (স) এর প্রতি ব্যক্তির আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এর মাধ্যমে আল্লাহ ও রাসুলুল্লাহ (স)-এর ভালোবাসা লাভ করা যায়। পবিত্র কুরআনে এসেছে-

قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي

অর্থ: মুহাম্মদ (স) আপনি বলুন, যদি তোমরা আল্লাহর ভালোবাসা চাও তাহলে আমাকে অনুসরণ কর (সুরা আলে ইমরান: ৩১)।

একক কাজ: ইসলামি সংস্কৃতির গুরুত্ব সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত অনুচ্ছেদ লেখো ।