• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • অনার্স
  • আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার আর্থসামাজিক পটভূমি
আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার আর্থসামাজিক পটভূমি

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তার আর্থসামাজিক পটভূমি

আন্তর্জাতিকতাবাদ কি?

ভূমিকা: আন্তর্জাতিকতাবাদ রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়। জাতীয়তাবাদের বৃহত্তম রূপই হচ্ছে আন্তর্জাতিকতাবাদ। আন্তর্জাতিকতাবাদের অনুপ্রেরণায় পৃথিবীর অনেক দেশই পৃথক জাতীয়তাবাদী আশা-আকাঙ্ক্ষা ছেড়ে আন্ত র্জাতিক ভ্রাতৃত্ববোধে আবদ্ধ হয়ে আছে।

আন্তর্জাতিকতাবাদের সংজ্ঞা: আন্তর্জাতিকতাবাদ হচ্ছে জাতীয়তাবাদের আন্তর্জাতিক রূপ। আন্তর্জাতিকতাবাদ বলতে এমন এক ব্যবস্থাকে বোঝায় যেখানে বিশ্বের সকল জনগণ একাত্ম ও মিলনের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদের ঊর্ধ্বে উঠে সকল জাতিকে একতার বন্ধনে আবদ্ধ করে।

প্রামাণ্য সংজ্ঞা: বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানিগণ বিভিন্নভাবে আও র্জাতিকতাবাদের সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। নিম্নে কিছু উল্লেখযোগ্য সংজ্ঞা তুলে ধরা হলো:

বাট্রান্ড রাসেল বলেন, "আন্তর্জাতিকতাবাদ হচ্ছে এমন একটি মানসিক পরিস্থিতি যেখানে জাতির সীমানা প্রায় এক না হলে সীমানা প্রকৃত আন্তর্জাতিকতা গড়ে ওঠে না।"

গোল্ডস্মিথ বলেন, "আন্তর্জাতিকতাবাদ এমন এক অনুভূতি যে, একজন ব্যক্তি শুধু একটি রাষ্ট্রের সদস্য নয়, কিন্তু বিশ্বের একজন নাগরিক।" (Internationalism is the feeling that the individual is not only a member of his state but a citizen of the world.)

Dictionary of social Science এর ভাষায়, "আন্তর্জাতিকতাবাদ হলো এমন একটি মানসিক অনুভূতি ও বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধের চেতনা যা মানব জাতির মধ্যে ঐক্য ও বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি করে।

ড. এ. কে. মহাপাত্র বলেন, "আন্তর্জাতিকতাবাদ হলো সাম্য ও সহযোগিতার ভিত্তিতে এক প্রীতিপূর্ণ বিশ্ব সমাজ প্রতিষ্ঠা। বৃহৎ, ক্ষুদ্র, সবল, দুর্বল নির্বিশেষে বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা।”

উপসংহার: সুতরাং উপরিউক্ত আলোচনার পরিশেষে বলা যায় যে, আন্তর্জাতিকতাবাদ বিশ্বভ্রাতৃত্ব সৃষ্টি এবং সকল জাতি রাষ্ট্রের মধ্যে ঐক্যের মিলবন্ধন সৃষ্টি করে। জাতীয়তাকে নির্দিষ্ট গণ্ডীর বাইরে রেখে বৃহত্তর এক জাতি-গোষ্ঠী তৈরি করে।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ