• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
  • মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালি ও বহির্বিশ্ব
মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালি ও বহির্বিশ্ব

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালি ও বহির্বিশ্ব

মুক্তিযুদ্ধে গ্রেট ব্রিটেনের ভূমিকা

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম নির্যাতন, গণহত্যা, ভারতে আশ্রয় নেওয়া এক কোটি শরণার্থীর করুণ অবস্থা, বাঙালিদের সংগ্রাম, অগ্রগতি সম্পর্কে বিশ্ব জনমতকে জাগ্রত করে তুলতে ব্রিটেনের প্রচার মাধ্যম বিশেষ করে বিবিসি ও লন্ডন থেকে প্রকাশিত পত্র-পত্রিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লন্ডন ছিল বহির্বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারের প্রধান কেন্দ্র। পাকিস্তানের বর্বরতার বিরুদ্ধে ব্রিটেন কঠোর মনোভাব গ্রহণ করেন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অধিকাংশ সদস্যের স্বাক্ষর গ্রহণ করে বাংলাদেশের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করা হয়। আগস্ট মাসে ব্রিটেনে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ মিশন চালু হয়।

লন্ডনের ডেইলী টেলিগ্রাফের সাংবাদিক সায়মন্ড ড্রিংস জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকার গণহত্যার সংবাদ সর্বপ্রথম বিশ্বসভায় উপস্থাপন করেন। এছাড়া বিবিসির সাংবাদিক মার্ক টালী মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস নিরলস পরিশ্রম করে গণহত্যা এবং রণক্ষেত্রের সংবাদ সংগ্রহ করে বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেন। লন্ডন টেলিভিশনের প্রতিনিধি শিলা, যিনি অত্যন্ত দুঃসাহসিকতার সাথে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধের চিত্র সারা পৃথিবীতে প্রচার করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন বাংলার মুক্তিযুদ্ধ কাল্পনিক কিছু নয়। এই নারী সাংবাদিক এক সময় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রায় এক সপ্তাহ বাংকারে বসে যুদ্ধের ছবি তুলেছেন।

জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত সংগীতশিল্পী জর্জ হ্যারিসন নিউইয়র্ক শহরে ৪০ হাজার লোকের সমাগমে বাংলাদেশের বৃদ্ধে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডভিত্তিক গণসংগীত পরিবেশন করে বিশ্বজনমত সৃষ্টিতে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। খ্রিষ্টাব্দের ৪ ফেব্রুয়ারি ব্রিটেন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ