• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
  • মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালি ও বহির্বিশ্ব
মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালি ও বহির্বিশ্ব

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালি ও বহির্বিশ্ব

মুক্তিযুদ্ধে অন্যান্য সংস্থা (Other organization in the war of liberation)

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বিভিন্ন সংস্থা সাহায্যে এগিয়ে আসে। ২৫ মার্চের কালো রাতে পাকিস্তানি বাহিনী গণহত্যা শুরু করলে প্রাণ ভয়ে প্রায় এক কোটি বাংলাদেশি ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেছিল। এই বিশাল শরণার্থীদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিল বেশ কিছু সংস্থা। এসকল সংস্থার মধ্যে- মিশনারিজ অব চ্যারেটি, ভারত সেবা আশ্রয় সংঘ, নিখিল ভারত মারোয়ারী সম্মেলন, ভারত সেবা সমাজ, ভারত স্কাউট ও গাইডস, বাংলাদেশ মুক্তিসংগ্রাম সহায়ক সমিতি, বাস্তুহারা সহায়ক সমিতি, ভলানটিয়ার কোর, ইন্ডিয়ান রেডক্রস সোসাইটি, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল এসোসিয়েশন, রামকৃষ্ণ মিশন, নারী কল্যাণ সমিতি, চন্দ্রপাড়া সেবা সমিতি, কুচবিহার রিফ্রজি সার্ভিসেস, গুজরাট রিলিফ সোসাইটি, এছাড়া বিদেশি এনজিও যেমন- কাথলিক রিলিফ সার্ভিসেস, কো-অপারেটিভ আমেরিকা রিলিফ এভরিহোয়ার কেয়ার, কারিতাস, সেভ দ্যা চিলড্রেন অক্সফার্ম, টেরেডাস হোমস, সুইডিস মিশন, ইউনাইটেড রিলিফ সার্ভিসেস এবং ওয়ার অন ওয়ান্ট ইত্যাদি সংস্থা বাঙালি শরণার্থীদের সেবায় এগিয়ে আসে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ জোটনিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতির গ্রহণের কারণে বাংলাদেশ অতি সহজেই জাতিসংঘভুক্ত সদস্য দেশগুলোর সহানুভূতি অর্জন করে। ফলে ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর সদস্য পদ, ২২ জুন, ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ILO)-এর সদস্য পদ ১৯ অক্টোবর, ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে ইউনেস্কোর সদস্য পদ, ১৭ মে, ১৯৯২ খিস্টাব্দে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর সদস্য পদসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ