• হোম
  • একাডেমি
  • সাধারণ
  • একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
  • মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালি ও বহির্বিশ্ব
মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালি ও বহির্বিশ্ব

পাঠ্যবিষয় ও অধ্যায়ভিত্তিক একাডেমিক প্রস্তুতির জন্য আমাদের উন্মুক্ত শিক্ষায় অংশগ্রহণ করুন।

Back

মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালি ও বহির্বিশ্ব

মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসী বাঙালিদের ভূমিকা

যে সকল বাংলাদেশি মা-বাবা, ভাই, বোন, স্ত্রী, সন্তান এবং নিকট আত্মীয়-স্বজন রেখে ব্যবসায়-বাণিজ্য কিংবা চাকরির উদ্দেশ্যে দেশের বাইরে অবস্থান করে তারাই প্রবাসী নামে পরিচিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এই প্রবাসীদের ভূমিকা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বাঙালি প্রবাসীরা যে যে স্থানে ছিল সেখান থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধকে সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়ে যার যার অবস্থান অনুযায়ী ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে প্রবাসী বাঙালিরা বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্ট সদস্যদের সাথে আলাপ-আলোচনা, মিছিল, মিটিং, সমাবেশ অব্যাহত রাখা, ভারতে আশ্রয় নেওয়া এক কোটি শরণার্থীদের খাদ্য, বস্ত্র ও ঔষধের ব্যবস্থা করা এবং পাকিস্তানের পক্ষে সামরিক সাহায্য বন্ধে কূটনৈতিক তৎপরতায় অবদান রাখে।

প্রবাসীদের ভূমিকার প্রশ্নে প্রথমেই আসে ব্রিটেন প্রবাসীর কথা। তখন ব্রিটেনে প্রায় ৭০ হাজার প্রবাসী বাঙালি ছিল। ব্রিটেনে ২০টি শহরে কমিটি, আঞ্চলিক কমিটি, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক সর্বপ্রকার কর্মকাণ্ড মনিটরিং করার জন্য 'অ্যাকশন কমিটি ফর দি পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ' এবং 'স্টিয়ারিং কমিটি অব দি পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ' নামে দুটি কমিটি গঠন করা হয়। লন্ডনে ১১ নং গোরিং স্ট্রিট ছিল এ কমিটিগুলোর সদর দপ্তর। মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য সংগ্রহের জন্য লন্ডনে হামরোজ ব্যাংকে 'বাংলাদেশ ফান্ড' নামে একটি একাউন্ট খোলা হয়। এই একাউন্টের অর্থ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অস্ত্র, খাদ্য, ঔষধ ক্রয় করে লন্ডন থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে বাংলাদেশে পাঠানো হতো। ১ আগস্ট, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে লন্ডনের ট্রাফলগার্ড স্কোয়ারে ৪০,০০০ লোকের এক সমাবেশের আয়োজন করে প্রবাসী বাঙালিরা। এসব কিছুর প্রধান ব্যক্তি ছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী (পরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট (১২.০১.১৯৭২ ২৪.১২.১৯৭৩)]।

এমনিভাবে ওয়াশিংটনে এম. আর সিদ্দিকের নেতৃত্বে, নিউইয়র্কে মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ মিশন খুলে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গড়ে তোলে প্রবাসীরা। নেদারল্যান্ডে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করার জন্য জহির উদ্দিন এবং আমীর আলীর নেতৃত্বে শক্তিশালী সংগঠন গড়ে উঠেছিল। সবচেয়ে বৃহত্তম কর্মপরিষদ কমিটি গঠিত হয়েছিল ভারতের কলকাতায় এবং আগরতলায়।

সম্পর্কিত প্রশ্ন সমূহ